বরাকের দূর্ভাগ্য দুজন সাংসদ পেলো কোনো জন নেতা পেল না
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি:বরাক উপত্যকার ভাগ্য খারাপ ,দুদুজন বিজেপি সাংসদ কপালে জুটল কিন্তু সংসদের ৫৪৩জন সদস্যের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে বরাক তথা অসমের জ্বলন্ত সমস্যা তুলে ধরার সৎ সাহস বা যোগ্যতা কোনটি নেই বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। করিমগঞ্জ ও শিলচরে সাংসদ যোরহাটের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ কে টেক্কা দিতে পারবেন না। সেই ক্ষমতা নেই। ভারতের ৫৪৩ সাংসদ সদস্যদের মধ্যে অসমের গৌরব গগৈ অসমের গর্ব , তাঁকে হারানোর জন্যে বিজেপি সরকার সব চেস্টা করেছিল। আশা করা গিয়েছিল বরাক রাজনীতিতে নিজস্ব অধিকার বজায় রাখবে। ভোট গণনা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী বিশিষ্ট আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী। বিজেপি জয়ী প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল হলে বিজেপি কে লজ্জাতে পড়তে হতে পারে।। অসম বিধান সভাতে একজন বাঙালি কমে গল। সেই জায়গা পূরণ হবে কিনা সন্দেহ আছে। শিলাদিত্য দেব রাজ্যের অন্যতম পারদর্শী নেতা ছিলেন। তাকে বসিয়ে দেওয়া হল। ডাক্তার রাজদীপ রায় ছিলেন বিচক্ষণ নেতা তাকেও বসিয়ে দেওয়া হল। । ইংরাজিতে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখার ক্ষমতা উভয় নেতার ছিল। রাজ্যে আর বাঙালি নেতা থাকলো না। দেশের নব নির্বাচিত সংসদ আগামী ৫বছর পরিবেশ নিয়ে ভাববে কিনা।না পিকেট গরম আর লুটপাটে নেমে যাবে কিনা।সত্যিই মোদী সরকার পরিবেশ নিয়ে ভাববেন তো?তার রাজনীতিক ইচ্ছা আছে তো? না শুধুই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিই সার হবে। করিমগঞ্জ সাংসদ কৃপা নাথ মাল্লা দিল্লিতে পৌঁছিলে ঢাক ঢোল বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়।হলুদ রঙের পোশাক পড়া এক ব্যক্তি হাতে হাতে ৫০টাকার নোট তুলে দিলেন । বড় কায়দা করে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দিলেন টাকাটা ভিডিও তে স্পষ্ট দেখা গেল। নবনির্বাচিত সাংসদ এর মনোবৃত্তি আঁচ করা গেল। টাকা ছিটিয়ে মন জয়। করিম গঞ্জ এর সার্বিক উন্নয়ন কি ভাবে করবেন মাল্লা।
কোন মন্তব্য নেই