5 জুন,বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ভাবনা ,দেশ ভাবছে কি ?
অমল গুপ্ত, কান্দি জেল রোড ,মুর্শিদাবাদ,5জুন প্রতিবছর ঢাকঢোল বাজিয়ে বিশ্ব পারিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়। কিন্তু বৃক্ষ রোপনের নামে ফটো সেশন দেখা যায়। টিভি তে ছবি বেরই।রোপণ করা শিশু গাছের যত্ন নেওয়া হয়না জল পরিচর্যার অভাবে উদযাপন উৎসবের পরেই মারা যায়। ,1972সালে 5জুন সুইডেনের স্টকহোম a প্রথম পরিবেশ সচেতন বিশ্ব নেতাদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে 5জুন দিবসটি বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে। রাষ্ট্র সংঘ গত 1973সালের 5জুন বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলে বিশ্ব উষ্ণতা বেড়েই চলেছে 2030 সালের মধ্যে বিশ্ব র তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রিন হাউস নির্গমন বেড়ে যাবে। এই মাত্রা দুই ডিগ্রি পৌঁছিয়ে গেলে বিশ্বে র সর্বনাশ হবে তাপমাত্রা আটকানো যাবে না।বৃষ্টি পাত কমে গেছে।প্লাস্টিক ব্যবহার বেড়েই গেছে। দেশে প্লাস্টিক মুক্ত দূষণ মুক্ত পরি বেশ অঙ্গীকার করে মোদী সরকার 10বছর কাটিয়ে দিল।ফল শূন্য। গঙ্গা দূষণ রোধ ফল শূন্য। দেশকে সবুজ করে দেবে ফল শূন্য। 10বছরে প্রকল্প নির্মাণের নামে মোদী সরকার লাখ লাখ গাছ কেটেছে। একটি বৃক্ষ রোপণ করা হয়নি। বিশ্বের সাড়ে সাতশো কোটি মানুষ মাত্র হ্যাঁ মাত্র তিন শতাংশ পানীয় জল ভাগ করে ব্যবহার করে। ভারতে জলের আকাল চলছে।ভারতের নিতি অয়োগ দেশ বাসীকে সতর্ক করে বলেছে 2030, 40সালের মধ্যে ভারতের 50শতাংশ মানুষ জল কষ্টে ভুগবে। ইতিমধ্যে দেশের বড় বড় নগর ব্যাঙ্গালুরু ,কলকাতা , হায়দরাবাদ , পুণে ইত্যাদি নগরের ভূগর্ভের জল ভান্ডার শুকিয়ে যাচ্ছে।কলকাতায় নিয়ম নীতি অবজ্ঞা করে বহুতল আবাসন নির্মাণ চলেছে। বেআইনি ভাবে ভু গর্ভ থেকে জল উত্তোলন করা হয়।অসম বিধানসভায় এই সম্পর্কে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে.পশ্চিমবঙ্গে এই আইন হয়নি।পশ্চিমবঙ্গের প্রতি জেলার নদনদী গুলি থেকে বালি তোলা হয় পাহাড় কাটা হচ্ছে।পাহাড় গুলির সবুজ ধংস চলছে। প্রতিরোধ করার কেউ নেই। দেশে এক হিসেবে 500কোটি গাছ রোপণ করলে পরিবেশ এর ভারসাম্য ফিরে আসবে। ভারতে সবাই গাছ কেটে উজাড় করে দেয় গাছ লাগায় না।একটি পূর্ন বয়স্ক গাছ চার জন মানুষকে সারাবছর অক্সিজেন জোগায়। একটি গাছ অক্সিজেন জোগায়, ছায়া ফল মুল দেয় কার্বন বিষ শুষে নেয়। সারা বিশ্বে প্রতি মাথা পিছু হাজার তিনেক গাছ আছে। ভারতে মাত্র,28টি, করে গাছ আছে।ভারতে কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্য আন্দামান দ্বীপের এক অংশে 90,33,শতাংশ গাছ আছে।তারপর মিজোরাম আছে,85,41শতাংশ।অরুণাচল প্রদেশ আছে 79,33শতাংশ, মেঘালয় 76,শতাংশ,, মনিপুর 74,34,এবং নাগাল্যান্ড 73,93, শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ ,অসম এ সবুজ দিগন্ত বিস্তৃত জঙ্গল ক্রমশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বর্তি সুন্দর বন সাগরের গভীর জঙ্গল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল , সাগরে কিনারে ম্যানগ্রোভ গাছ মাটি ধরে রাখে মাটি ক্ষয় না।সেই বহুমূল্য মান গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। আন্দামানে দেখেছি ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের শিকড় জালের মত জড়িয়ে আছে ভেতর দিয়ে পর্যটকদের বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে পাঁচ হাজার বর্গ কিলোমিটার ম্যানগ্রোভ গাছ আছে।
দেশের কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যে কে নিয়ে 17. রাজ্যে ৩৩ শতাংশ বনভূমি আছে। পরিবেশ প্রকৃতি ভারসাম্য রক্ষায় ৩৩শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। ভৌগলিক ভাবে ভারতে ২১,৭২ শতাংশের ;কিছু বেশি জঙ্গল আছে।আর পশু পাখির প্রতি সুবিচার হয়না। তাদের বেঁচে থাকার পরিবেশ নেই। অসম এ 800বর্গ কিলমিটারে জুড়ে কাজিরাংগা জাতীয় উদ্যানে বিশ্বের বিখ্যাত এক খর্গবিশিষ্ট গণ্ডার অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে।প্রতিদিন 300 র বেশী দেশ বিদেশের পর্যটক জীপ সাফারি করেন।ডিজেল পেট্রোল জীপ কার্বন ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করে।জ্বালানি তেলের কার্বন দূষণ জঙ্গলের সবুজ পাতা শুকিয়ে যায়। কাজীরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে 37নম্বর জাতীয় সড়ক গেছে। 24 ঘন্টা গাড়ি চলে। গভীর রাতের নিরবতা ভেঙে যান বাহনের 70,80 ডেসি মেল বিকট শব্দ পশু পাখিদের পাখিদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সরকার যদি জীপ সাফারির গাড়ি গুলি ব্যাটারি চালিত কর দিতে পারে তবে দূষণ অনেক কমে যাবে। কজিরাঙ্গা তে একাধিক পাঁচ তারা বিশিষ্ট হোটেল নির্মাণ চলছে। ভবিষ্যতে জাতীয় উদ্যান থাকবে তো.।দেশের 543জন সাংসদ শপথ নিয়ে সংসদে আলো করে বসবেন। বিগত সাংসদদের মধ্যে 30শতাংশ ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। সাংসদ দের মধ্যে দেশ ও দশের প্রতি দায়িত্ত্ব থাকা সাংসদদের সংখ্যা সীমিত। ব্যাক্তিগত ভাবনা বিলাসিতার ঘেরা তোপের বাইরে বেরোতে পারেনা। দেশের ভয়ানক সমস্যা জল ও জল দূষণ নিয়ে বিন্দু মাত্র চিন্তা ভাবনা নেই। মোদী সরকার বিগত দশ বছর গঙ্গা দূষণ রোধের নামে,,20, হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে।এখনও গঙ্গার প্রতি ফোঁটা জল বিষে পরিণত হয়েছে। যমুনা নদী তো দিল্লির নর্দমা কলঙ্ক। দূষণ ছড়াচ্ছে।নতুন লোকসভা সেই সব জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে দৃষ্টি ফেলবে না ব্যাংক ব্যালেন্স , মদ ,মাংস, বিরিয়ানি বিলাসী জীবনে ডুবে থাকবে, পাঁচটা বছর । পরিবেশ প্রকৃতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। জল বায়ু পরিবর্তন এক মাত্র সবুজ দিগন্ত বিস্তৃত বনানী এই অবক্ষয় সমাজ কে আরও কি ছুদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারে। দেশে তীব্র দাবদাহ চলেছে , ছায়া ঘেরা গাছের ঠান্ডা বাতাস মানুষকে স্বস্তি দিতে পারে কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকের মানুষ ভাবে না। দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্ধকারের দিকে এগোচ্ছে জল হীন দূষণ সবকে গ্রাস করবে জেনেও। পরিবেশ দিবসে রোপণ করা শিশু গাছ গুলির কঙ্কাল দাবদাহে জ্বলবে , মরবে । অসৎ মানুষ নির্বিকার আবার পরিবেশ দিবসের জন্যে অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই।আমরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকবো নবনির্বাচিত সাংসদদের দিকে ,তারা দেশের কথা বন জঙ্গল সংরক্ষণ , ভূগর্ভের জল ভান্ডার জল দূষণ নিয়ে ভাববেন কিনা না আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে যাবে ,দেশের সঙ্গে ডুববে ।
কোন মন্তব্য নেই