Header Ads

গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্ট পরিবেশের ক্ষতি করে সরকারের অনুমোদন না নিয়ে প্রকল্প করছিল


নয়া ঠাহর ,শিলচর
গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের জন্য অবিলম্বে বিকল্প জমি খুঁজে প্রস্তাব পাঠাক রাজ্য সরকার,সরকারি উদ্যোগে ডলুতে ফের লাগানো হোক চাগাছ - বিডিএফ।

পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়াই ডলুতে গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের জমি নির্বাচন এবং তড়িঘড়ি করে ৪০ লক্ষ চাগাছ উপড়ে ফেলার মতো হটকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার তথা ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালকে ভর্তসনা সহ সমস্ত প্রক্রিয়া বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবার পাশাপাশি অবিলম্বে শিলচরে বিকল্প জমি নির্বাচন করে নতুন ভাবে বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে দাবি জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে যে জমি থেকে চাগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছিল সেখানে সরকারি উদ্যোগে চা গাছ লাগানোর দাবিতেও সরব হল বিডিএফ।

এদিন বিডিএফ কার্যালয়ে এক সভা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে ২০২২ সালে যবে থেকে এই অনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হয় তখন থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব রয়েছে বিডিএফ। পরিবেশগত প্রভাব নিরুপন না করে এই উদ্যোগ যে নেওয়া বেআইনি সরকারি তরফে তা জানা স্বত্তেও তড়িঘড়ি করে কেন ১৩০ টি এক্সকেভেটর লাগিয়ে চা গাছ উপড়ে ফেলা হল তা রীতিমত রহস্যজনক এবং এর পেছনে কারুর ন্যস্ত স্বার্থ জড়িত ছিল কিনা তা নিয়েও তদন্ত হওয়া দরকার। তবে শেষ অব্দি আদালতে যে ন্যায়বিচার মিলেছে সেজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

জয়দীপ এদিন বলেন যে গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট শিলচর তথা বরাকের জন্য খুবই জরুরী। তিনি বলেন শিলচরের বর্তমান বিমানবন্দর বায়ুসেনার অধীনস্থ তাই এখানে প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে। তার বক্তব্য - ভৌগলিক অবস্থানের জন্য আন্তর্জাতিক বানিজ্যের একটি কেন্দ্রবিন্দু হবার সবধরনের সম্ভাবনা রয়েছে শহর শিলচর তথা এই উপত্যকার । এবং এর জন্য যেমন মহাসড়ক এবং জলপথের উন্নয়ন জরুরী তেমনি আকাশ পথে পন্য তথা যাত্রী পরিবহনের জন্য একটি অত্যাধুনিক বিমানবন্দর এখানে স্থাপন করাও প্রাথমিকতা। জয়দীপ বলেন এই উপত্যকায় এরজন্য জমির অভাব নেই। পরিত্যক্ত খরিল বাগান যেমন রয়েছে, তেমনি বরাকের তিন জেলার মধ্যবর্তী বদরপুরেও জমি নির্বাচন করা যেতে পারে। তিনি বলেন সরকার এবং উপত্যকার জনপ্রতিনিধিদের এর জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নিতে হবে। এবং শুধু জমি নির্বাচনই নয়, এয়ারপোর্ট হলে সেই জমি তথা সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশ সমীক্ষা এবং অন্যান্য সমস্ত নিয়ম নীতি মেনে যত শীঘ্র সম্ভব কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে নতুন প্রস্তাব পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারকে। জয়দীপ বলেন অন্যথা বিডিএফ এই দাবিতে আগামীতে প্রতিবাদী কর্মসূচি নেবে।

জয়দীপ এদিন আরো বলেন যে ডলুর যে জমি থেকে রাতারাতি ৪০ লক্ষ চাগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছিল ,সরকারি উদ্যোগে সেখানে অবিলম্বে আবার চাগাছ রোপনের দাবি জানাচ্ছে বিডিএফ। একই সাথে এই প্রক্রিয়ায় যেসব শ্রমিকরা বাস্তুচ্যুত এবং জীবিকা হারিয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের দায়িত্বও নিতে হবে সরকারকে - এই দাবিও তিনি তুলে ধরেন এদিন।

বিডিএফ এর পক্ষ থেকে হৃষীকেশ দে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.