Header Ads

পাহাড় প্রকৃতি ধ্বংস প্রচণ্ড জল সঙ্কট মানুষ নির্বিকার

*প্রকৃতির সংসার নিয়ে সৃষ্ট জীব মানুষকে সচেতন হতে হবে...* 

         

নদী,খাল,বিল,ঝর্ণা,সমুদ্র,পাহাড়-পর্বত,সবুজ ধানক্ষেত,ফলমূল বাগান  আর অরণ‍্য, পশু-পাখি,কীট্-প্রতঙ্গ ইত্যাদি সকলকে নিয়েই প্রকৃতির সংসার। একটি ছেড়ে অন্যটি নয়। মানবজাতির সংসার আলাদা হতে পারে না। এটা সত‍্য কথা,এইসবকে কেন্দ্র করে বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেভাবে এই বাংলাকে আহবান করেছেন-সেভাবে বাস্তবাদী জগতের নামী দামী চিকিৎসকরা ইদানিংকালে নূতনভাবে প্রকৃতিকে আহবান করতে চাইছেন- চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা, সবুজ গাছড়া বিহীন ও প্রকৃতিক পরিবেশের অনুপস্থিতির জন্যে বেশিরভাগ শহর,নগর আর গ্রামগঞ্জে লোকেরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের নূতন নূতন বা পুরোনো রোগের  শিকার হোন;তবে এর মধ্যে এলার্জি,মানসিক দুশ্চিন্তা,শ্বাসকষ্ট  ইত্যাদি রোগের প্রকোপ  দ্রত গতিতে বেড়ে চলছে। উনারা জোর দিয়ে বলেছেন,হাজারো রকমের গাছ-গাছড়া রয়েছে,যারা আমাদের চোখের আড়ালে নিরলস ভাবে এই পরিবেশ এন্টিবায়োটিকের মত কাজ করে চলেছে। কিন্তু যান্ত্রিক  সভ‍্যতায় এসব গাছ গাছড়ির অনুপস্থিতির কারণেই আজ পরিবেশ ভারসাম্যহীণ হয়ে পড়েছে। ঊনারা আরও  বলেছেন যে,নিম,তুলসী,হলুদ,আদা,বেল ও অন‍্যান‍ গাছ-পালা, ফলমূলগাছ সহ নানান রকমের বড় বড়গাছ দেখা যায়না সচরাচর। 
       গাছ আমাদের কি কি উপকার করে,গাছ না থাকলে প্রাণী জগতের  কি বিপদ হতে পারে! যেমন- পরিবেশ দূষণ পাহাড় - পর্বতের মাটি  সংরক্ষণ জন্য চাই গাছাগাছড়া। না হলে ভুমিধস  হবে  অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মাটি কাটলে ভুমিধস বর্ষা মৌসুমে হবেই। অন্য দিগে পৃথিবীর ওজনস্তর,সমুদ্রের জলসীমা, হিমবাহ, বন-জঙ্গল সুররক্ষার কথা যেন আমাদের মাথা থেকে সরে যাচ্ছে কি?মোদ্দো কথা হলো"গাছ লাগাও-বন বাঁচাও আর  অকারণে গাছ কেটে না ফেলা ।" আজ পৃথিবীর সামনে কত ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের  হাতছানি নিত্য দেখতে ও শুনতে চলছি । চারিদিকে বনধংসের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্য‍্যয়ের সম্ভাবনা কথা পরিবেশ বৈজ্ঞানিকরা বারবার আমাদিগকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম বতর্মান  সোস্যাল মিডিয়া ও  নানান ভাবে  সজাগ করে দিচ্ছেন।
      এবার  জলজ উদ্ভিদ  ও মাছের পোনা আর কীট্ -পতঙ্গ আদি চরম সঙ্কটে। নদী  নালা, খাল-বিলের  বড় বড় মাছ যেমন-রুই,কাতলা,চিতল,ইত‍্যাদি বিভিন্ন প্রজাতীয় মাছ খুবেই কম বাজারে উঠতে দেখাযায়। দেখা যেত,জেলেরা  প্রায়ই নদী-নালা,বিল-খালের মাছ বদরপুর বাজার, ভাঙ্গা বাজার,পাঁচগ্রাম বাজার,কাটিগড়া বাজার,কালাইন বাজার প্রভৃতিতে নিয়ে আসত। আজাকাল চালানি ও আধুনিক প্রজন্ম বেশিরভাগ  ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র ফিসারির মাছ দেখতেই  অভ‍্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের কপালে ঐ নদী,নালা,বিল-খালের মাছ সচরাচর পান না।
   মানব সৃষ্ট  আইনের বাহিরে  দূর্বল জীব-জন্তু প্রকৃতির বুকে খেলতে খেলতে দু'চারটি লোকালয়ে এসে যায়। জঙ্গলে    তাদের বিচরণ ও তাদের প্রয়োজনীয় আহার বিহার আগে মত জঙ্গলে পরিবেশ নেই। জঙ্গলে ঝি ঝি পোকার শব্দ,পশু-পক্ষীর নানান ধরনের ডাকের সুর পাওয়াটা কঠিন। পক্ষীদের মধ্যে চিল,পেঁচা,শকুন,ছোট,বড় বাঘ-ভল্লুক,হাতি,জঙ্গল বিড়াল,বন‍্য কুকুর,হরিণ ইত্যাদি সাধারণ  জঙলে দেখাটি ভাড়। প্রাচীনত্ব ও ঐতিহ্য জঙ্গলে নেই  বলে চলে। পলিমাটি সিক্ত নদী-নালা,বিলে দুকুল বরাবরের মত স্বাভাবিক ভাবে সবুজ ও গাছ-গাছালি নেই। মানুষ সৃষ্টি বনভূমি তৈরি কিছুটা আছে।জলের মধ্যে নানান শৈবাল,কচুরিপানা ইত্যাদি আগের মত নেই। জলে নদীর মাছের মধ্যে ট‍্যাংরা মাছ,পুঁটি,সরপুঁটি,রুই ও কাতলা ইত্যাদি জেলেরা মাছ মারত এবং বিক্রি করে জীবন -জীবিকা চলত। জল দূষণের ফলে জলজ প্রাণীর সংখ্যা  বতর্মানে কমে গেছে। জঙ্গলে খেঁকশিয়াল ডাক সচরাচর শোনা যায় না। নানান  প্রজাতির সাপ  ইত্যাদি  হারিয়ে যাচ্ছে কি?বটগাছ ও অশ্বত্থ  অন্যান্য গাছগুলিতে ঝাঁকে ঝাঁকে বাদুর বাস করতে দেখা যেত। সরকারের থেকে  আরও বেশি সামাজিক বনসৃজনের প্রয়োজন হারানো    জঙ্গলের এলাকায়। পলিউশন কন্টোল বোর্ড থেকে দূষণ সংক্রান্ত উপযুক্ত সচেতন নজর রাখা প্রয়োজন রাখা নিতান্ত দরকর বলে সচেতনরা মনে করেন। 
          

       --- শুভসুন্দর দেব চৌধুরী

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.