গরমে চা উৎপাদন কমছে
আগামী মাসে চা উৎপাদন কমে অর্ধেকের আশঙ্কা
একটানা বৃষ্টিহীন দিন দেখে চলছে রাজ্যের উত্তর প্রাপ্ত। বৃষ্টির ফোঁটা না পেয়ে দু'দিন কুঁড়ির একটি পাতার দেখাও ঠিকঠাক মিছিল না চা বাগিচায়। তাতেই যেন চা বলয় জুড়ে পড়ছে দীর্ঘশ্বাস। চা বাগান পরিচালকদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন টি এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া'র সদর দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী মাসে চা পাতার উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে। অর্থাৎ চা শিল্প ফের বড়সড় সংকটের মুখে।
চা পাতার উংপাদন কমে যাওয়ার নেপথ্যে একটি অংশ দায়ী করেছে চা
পর্যায়ের কীটনাশক নিয়ে কড়া নির্দেশকে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে চা বাগান রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ নিয়ে করা অবস্থান নিয়েছে চা পর্ষদ। তার জেরে বহু বাগানে প্রচারিত কীটনাশক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাপপ্রবাহের জেরে এবং বৃষ্টি না থাকার কারণে চা গাছে রোগপোকার আক্রমণ বাড়ছে। চা শিল্পের একাংশের দাবি, শক্তিশালী রাসায়নিক কীটনাশক দিলে পোকা মারা সম্ভব হত এবং উৎপাদন বাড়ত। যদিও টি অ্যসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া'র তরফে চায়ের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশের বিবৃতিতেই দাবি করা হয়েছে কীটনাশক নিয়ে চা পর্যদের কড়াকড়িকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
অ্যসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রবীরকুমার ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা সংস্থার তরফে যে কীটনাশকের নিষিদ্ধ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং নিয়ম-নীতি জানানো হয়েছে সেটাকে স্বাগত জানাই। ভাল চা তৈরি করতে আমরা বদ্ধপরিকর তৈবে চা শিল্পে এখন খুবই আশঙ্কার। সময় আবহাওয়ার কারণে বড় ক্ষতির মুখে চা শিল্প।
কোন মন্তব্য নেই