Header Ads

বাজারে ধস সেনসেক্স পতন

বাজারে ধস, মুছল লগ্নিকারীর ৭.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা

 
অস্থিরতা ছিলই। উঁচু বাজারে হাতের শেয়ার বেছে মুনাফা ঘরে তোলার চাপও ছিল। যে কারণে মঙ্গল এবং বুধবার সেনসেক্স পড়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সূচকের হাজার পয়েন্ট এর ছাপানো ধস কিছুটা অপ্রত্যাশিত ধাক্কা বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দেশে লোকসভা ভোটের মধ্যেই একলপ্তে ১০৬৬.২২ পয়েন্ট মুখ থুপড়ে পড়ে এ দিন ফের ৭২ হাজারের ঘরে নেমেছে সেনসেক্স। তিন দিন ধরে নাগাড়ে মোট পড়েছে ১৪৯১.৩৭। আর এক সূচক নিফটিও ৩৪৫ পয়েন্ট বা ১.৫৫% পতন দেখেছে এবং ফিরে এসেছে ২১ হাজারের ঘরে। 
  বিশেষজ্ঞদের দাবি বিদেশি লগ্নিকারীদের লাগাতার শেয়ার বিক্রি ভারতের বাজারকে টেনে নামানোর অন্যতম কারণ। ডেকো সিকিউরিটিজ এর আশিস নন্দীর মতে আমেরিকায় সুদ কমার নামগন্ধ নেই। তাই চাঙ্গা বন্ড বাজার। এ দেশ থেকে শেয়ারের লুগ্নি তাই সরে যাচ্ছে সেখানে। 
   তার উপর আমেরিকার কেন্দ্রের ব্যাঙ্ক এই পথে না হাঁটলে ভারত সহ অনেক দেশই হাত গুছিয়ে রেখবে। 
   অন্য দিকে ডলার তেতে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটে কাহিল লুগ্নিকারীরা সুরক্ষার খোঁজে তাতে লগ্নি করায়।
   সব মিলিয়ে এই সব ছুতোয় ভারতের উঁচু বাজারে সংশোধন হচ্ছে। 
  বহু শেয়ারের মাত্রাছাড়া চড়ে থাকা দাম কিছুটা নেমে যুক্তযুদ্ধ হচ্ছে।
   তবে বিশেষজ্ঞ বিনয় আগরওয়াল বলেছে প্রথম তিন দফায় দেশে ভোটদানের হার কমে থাকায় বর্তমান শাসন দলের ফল প্রত্যাশিত হবে না বলে জল্পনা ছাড়িয়েছে শেয়ার বাজারে।
   লগ্নিকারীরা ধন্দে পড়ে বিপুল শেয়ার বিক্রি করেছেন। বাজার আসলে সব সময়েই স্থানী শক্তিশালী সরকার চায়।
 সে ব্যাপারে কোনও দ্বিধার ইঙ্গিত পেলেই প্রতীক্রিয়া দেখায়। 
   বিশেষজ্ঞ কমল পারেখের      সতর্কবার্তা বলা হয়, বাজারের প্রতিটি পতন লগ্নির সুযোগ খোলে। তবে এতটা নামার পরেও সুচক এখনও যথেষ্ট উঁচুতে। ফলে  আরও পতনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.