Header Ads

লম ডিং -শিলচরের পাহাড় লাইনেব াবার বার ধস রেল বিভাগ দূর্নীতি ঢাকছে

 বাহারুল ইসলাম। শিলচর :লামডিং শিলচর ব্রডগেজ রেল সম্প্রসারণের নির্মাণ কাজে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল (নির্মাণ) বিভাগ সেই শুরু থেকেই প্রতারণা করে আসছে....বরাক উপত্যকা সহ ত্রিপুরা-মিজোরাম-মণিপুর রাজ্যের লক্ষ লক্ষ জনগণের সঙ্গে।
নির্মাণ কাজের সময়েই...রেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল ছিলো না। নির্মাণ কাজে ছিলো নানা টালবাহানা এবং বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারি।
CRS রিপোর্টে তুলে ধরা নির্মাণ কাজের নানা ত্রুটি যা যাত্রীরেল চালানোর পূর্বে সেরে নেওয়া ইত্যাদি সহ নানা সুপরামর্শ কে কোনরকম গুরুত্ব না দিয়েই রাজনৈতিক স্বার্থে জোরপূর্বক চালিয়ে দিয়েছিলো যাত্রীরেল।
ফলাফল আজ স্পষ্ট বৃষ্টিপাত শুরু হতেই নির্মাণ কাজের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়ছে। কোথাও বাঁশের খুঁটি পুঁতে রেল লাইন কে টিকে রাখতে হচ্ছে, আবার কোথাও পাহাড় বেয়ে রেল লাইনে নেমে আসছে কাঁদা মাটি জল, টানেল ভেসে যাচ্ছে জলে।
পাহাড় লাইনে মিটার গেজ আমলের মতো ব্রডগেজ রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রেও শুরু হলো...রেল যাত্রা বাতিলের খেলা।
ট্রেন্সপোর্ট লবির আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বপ্নের ব্রডগেজ বাস্তবায়নের পরেও সময়সূচি এবং ধস বর্ষা ইত্যাদি বাঁধা হয়.... তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন ছয় হাজার কোটি টাকা কোথাও ব্যয় করা হলো। শুধু রেল এবং রেলগাড়ির বদল হলেও বদলায়নি বরাক বাসীর ভাগ্যে।সহজ হয়ে উঠেনি রেল যাত্রা।
২০২২ এর মে মাসে ভয়ঙ্কর ধস, মাটি সরে যাওয়া, টানেল এর জল প্রবেশ এর পর আর বসে থাকেনি ব্রডগেজ রেল নিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন আন্দোলন করে আসা যুব-ছাত্র সংগঠন (অবিসা)।এবার সরাসরি গুয়াহাটি উচ্চ আদালতে।৪২/২০২২ জনস্বার্থ সম্পর্কিত মামলা।
২০২৪ এর এপ্রিলে আবারও পুনরাবৃত্তি হয় ধস মাটি সরে যাওয়া, টানেলে জল প্রবেশ ইত্যাদি। বর্তমানের এঅবস্থায় আবারও রেল কর্তৃপক্ষের জোড়াতালি দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয় আদালতে। আদালতে আগামী তারিখ...১৩-০৬-২০২৪।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.