ভাষা শহীদদের স্বপ্ন আজও অধরা
নয়া ঠাহর শিলচর
B
ভাষা শহিদদের যেসব স্বপ্ন আজও অধরা রয়েছে তা সম্পুর্ণ করাই হবে তাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি - বিডিএফ।
ভাষা শহিদদের অসম্পুর্ন স্বপ্ন সাকার করাই হবে তাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধার্ঘ - উনিশের সকালে শহিদ তর্পন করতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
এদিন সকালে বিডিএফ এর সদস্যরা প্রথমে তারাপুর রেলস্টেশন ও পরে শিলচর শ্মশান ঘাটে উপস্থিত হয়ে শহিদ বেদীতে পুস্পার্ঘ নিবেদন করেন।
পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন রাজ্যের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের মাতৃভাষা হওয়া সত্ত্বেও এখনো বাংলার সরকারি সহযোগী ভাষার স্বীকৃতি মেলেনি। ভাষা আন্দোলনের ৬৩ বছর পরও মেহরোত্রা কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি। এখনো ভাষা শহিদদের সরকারি স্বীকৃতি অধরা। তাদের পরিবারের কেউ সরকারি অনুদান পাননি। কেন্দ্র সরকার ও রেলমন্ত্রক থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া সত্ত্বেও ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরনের ফাইল বিনা কারণে দিশপুরে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন এই সমস্ত ব্যাপারে আমরা এখন অব্দি ব্যার্থ। তাই শহিদদের রক্তঋন আমরা আজও শোধ করতে পারিনি।
প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে উনিশের মে র দিন শুধু মিছিল কিংবা শহিদ বেদীতে ফুলমালা চড়িয়ে এই ঋন শোধ হবে না। তিনি বরাকের প্রত্যেক নাগরিককে আন্দোলনের মাধ্যমে এইসব নায্য দাবি আদায়ে সচেষ্ট হবার এদিন আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন উনিশের রাজনৈতিক তাৎপর্য সবাইকে বুঝতে হবে। এবং সেই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে যাবার উৎসাহ যোগাতে হবে নতুন প্রজন্মকে। সেটাই হবে ভাষা শহিদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এদিনের কর্মসূচিতে বিডিএফ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জয়দীপ ভট্টাচার্য,দেবায়ন দেব,হারাধন দত্ত,পিকলু দাস,রাজেশ রায়,ধর্মেন্দ্র দাস,রামু দাস, দীপঙ্কর পাল,পান্না রায় প্রমুখ।
বিডিএফ এর পক্ষ থেকে আহ্বায়ক দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই