Header Ads

কীটনাশক বিভ্রান্তিকে চা উৎপাদনে আশঙ্কা

কীটনাশক বিভ্রান্তিকে চা উৎপাদনে আশঙ্কা

একে গরমে উৎপাদন কম সেই সঙ্গে গাছে লাগছে রোগ পোকাও। চা গাছের সবুজ যেন  রং বদলাতে শুরু করেছে। সবুজ গালিচার কোথাও লাল কথাও ধূষণ ছোপ। সেগুলি সবই রোগ-পোকা। সাধারণ চা গাছের পোকা মারতে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তা বেশ কয়েকটি বাজারে মিলছে না, কোনওটি আবার ভয়ে ব্যবহার করছে না বাগান পরিচলকেরা। কারণ রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ে চা পর্ষদ কড়া নির্দেশ দিয়েছে। সম্পত্তি সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে চা পাতার ক্ষতিকর বা নিষিদ্ধ কীটনাশকের উপস্থিতি মিললে প্রস্তুত চা পাতার পুরোটাই নষ্ট করে দেওয়া হবে এবং প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হবে। এর পরেই কীটনাশক ব্যবহারের প্রবণতা  কমেছে বলে দাবি। 
     ডুয়ার্সের একটি চা বাগানের ম্যানেজারের কথায় তৈরি চা পাতার নমুনা পরীক্ষা হবে কোন কীটনাশকে কোন কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে তা আগে থেকে জানা অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। আপাতত কীটনাশক ব্যবহার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাই রোগ-পোকার আক্রমণও ঠেকানো যাচ্ছে না। এমনিতেই বৃষ্টি না হওয়ার পাতার উপাদান কমেছে বলে দাবি। তার উপরে পোকার আক্রমণে বেসামাল চা বাগিচা। প্রথম ফ্লাশ-এর চা পাতা পোকায় কাটছে, এমনই শোনা যাচ্ছে চা মহল্লায়। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে না পারলে দ্বিতীয় ফ্লাশ-এর পাতা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা। 
  চা পর্ষদের তরফে অবশ্য বিধিনিষেধে  শিথিলতার কোনও অবকাশ নেই বলে দাবি করা হয়েছে। চা পর্ষদের এক কর্তার কথায় কীটনাশক ব্যবহারে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। ক্ষতিকারক এবং  নিষিদ্ধ রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিকল্প কীটনাশকও বাজারে প্রচুর রয়েছে। সেগুলি ব্যবহার করা উচিত। কারণ চা পানকারী সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষাই আমাদের অগ্রাধিকার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.