Header Ads

ভুগর্ভস্থর জল ভান্ডার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে ব্যাঙ্গালুরু র পর কলকাতা

অমল গুপ্ত কান্দি ,জেল রোড ,কোলকাতা: গত কয়েকদিন আকাশ ভরা মেঘ , ঝড় তুফান, বৃষ্টি ঠান্ডা মানুষকে ভুলিয়ে দিয়েছে তাপমাত্রা পারদ কি  পর্যায়ে হতে পারে ।   ভুললে চলবে না মানুষের দুর্দশা  অবসান ঘটেনি।জলবায়ু পরিবর্তনের কু প্রভাব সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ কে নাজেহাল করে তুলবে। জল দূষণের সঙ্গে   জলের  প্রচণ্ড অভাব   কলকাতা বাসীকে   অন্ধকার অতলে   ঠেলে দেবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা , বিশ্ব  কৃষি খাদ্য  সংস্থা ভয়ানক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারত বাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে। বিশেষ করে কলকাতা আর ব্যাঙ্গালুরু নাম উল্লেখ করে বলছে এই দুই অত্যাধুনিক শহরের ভূগর্ভের জল ভান্ডার ফুরিয়ে যাচ্ছে। ব্যাঙ্গালোরে র পর কলকাতা  স্থান পেয়েছে। খবরের কাগজে বাহারি বিজ্ঞাপন দিয়ে আকাশ সমান আবাসনের ছবি ছাপা হচ্ছে । কিন্তু কোথা থেকে পানীয় জল পাবে? উত্তর নেই। প্রশাসন কে ঘুষ দিয়ে ভূগর্ভের জল তোলা হবে যা বেআইনি । অসম সরকার ভূগর্ভের জল উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিধানসভা তে আইন করা হয়েছে।  কলকাতা গঙ্গা  র জল স্তর নেমে যাচ্ছে দ্রুত।  বৃহত্তম  টা লা  পার্কের জল সরবরাহ   হলেও  বিরাট অংশে পাইপের জল লিকেজ হয়ে অপচয় হয়। গাড়ি ধোয়া  সহ নানা কারণে জল অপচয়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণের অত্যাধুনিক নগর ব্যাঙ্গালুরু প্রায় জেহাদ ঘোষণা করেছে। একটু জল অপচয় করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা  আদায় করছে প্রশাসন ek। জল অপচয় দেশের মধ্যে সব  চেয়ে বেশি হয় কোলকাতায়।    দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে ভূগর্ভের জল স্তর দ্রুত হ্রাস পারছে। দক্ষিণের রাজ্য চেন্নাই তেলেঙ্গানা ব্যাঙ্গালুরু  এমনকি ঠান্ডা অঞ্চল বলে পরিচিত সিমলা তেও ভূগর্ভের জল স্তর কমছে। সারা বিশ্বের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,  বিশ্ব কৃষি খাদ্য সংস্থার সতর্ক বানী আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫০ শতাংশ ভূগর্ভের জল  ফুরিয়ে যাবে ।৪০ কোটি মানুষ তিব্র জল কষ্টে ভুগবে। ২০২৫সালে এক কোটি ৮০লাখ মানুষ জল পাবেনা। ভারতে ইতিমধ্যে ব্যাঙ্গালুরু হায়দরাবাদ  তিব্র জল কষ্টে ভুগতে শুরু করেছে। দামী কোম্পানির এক বোতল জল ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতে প্রায় ২৭শতাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার তলে বাস করে তাদের কাছে  ৪০০ টাকা বোতলে জল স্বপ্নে ও ভাবতে পারবে না। বিশ্বে এই মুহূর্তে মেক্সিকো শহরের জল ফুরিয়ে গেছে ।  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বে ব্রাজিল এর মত রাষ্ট্রে একাংশে বন্যার প্রকোপ অপর দিকে আরব দেশের একাংশে হাতে  অধিক সম্পদ ভাবছে প্রকৃতি কে পয়সা দিয়ে কিনে নেবে। দুবাইএর সম্পদ শালী একাংশ মানুষ  আকাশে রাসায়নিক ছড়িয়ে বৃষ্টি নামিয়ে আনতে গিয়ে  তিব্র বন্যা নামিয়ে এনে  আল্লার বিরুদ্ধে চলে গেল।  এন্টার্কটিকা র বরফের টুকরো এনে দুবাই মরু শহরের জল সমস্যা দূর করতে গিয়ে প্রকৃতি বিরোধী কাজ করে ঈশ্বরের বিরাগভাজন হল। সম্পদ শালী মানুষএর লোভ  প্রকৃতি কে জয় করার ক্ষমতা দেয় নি। ঈশ্বর খুশি হবে না।প্রতিশোধ নেবেই নেবে।  আর পাপ করবেন না  ।প্রতিদিন ভোরের প্রার্থনার পর একটি করে গাছের চারা রোপণ করুন  ঈশ্বর খুশি হবেন। দুনিয়া সবুজ হয়ে যাবে।সবুজ  ছায়া অক্সিজেন প্রাণ শক্তি সব জীবনে সবুজ প্রাণ শক্তি ফিরিয়ে দেবে।নতুন করে বেঁচে থাকার ইচ্ছা  বেড়ে যাবে। ভারতে সবাই উৎপাদনহীন গনতন্ত্র উৎসব নিয়ে সবাই ব্যস্ত কাউকে কিছু বলা যাবে না । কোন দলের ভাবনা চিন্তার মধ্যে জল নেই। জল বায়ু পরিবর্তন নেই ,সবাই মসনদ বাঁচাতে ব্যস্ত।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.