Header Ads

মালদহ জেলাতে বাজ পড়ে মৃত্যু ১১, জনের

মালদহে বাজ প্রাণ কেড়ে নিল ১১ জনের

একাধিক প্রাণ কেড়ে নিল বাজ। বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে মালদহে জেলায় বিভিন্ন এলাকায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুই কিশোরী এবং এক নবদম্পতি রয়েছেন। আহত আরও চার। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মৃত ও আহতদের পরিবারকে সরাকরি নিয়মের সব রকম সাহায্য আশ্বাস দিলেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
   মৃতেরা হলেন পুরাতন মালদহের সাহাপুর এবং শহসের বাসিন্দা মনোজিৎ মন্ডল, চন্দন সাহানি, এবং সময় মৃধা। রয়েছেন হরিশচন্দ্রপুরে নয়ন রায় ও প্রিয়াঙ্কা সিংহ রায় তাদের এক মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। মারা গিয়েছেন মানিকচকের অতুল মন্ডল, শালরুল শেখ, ইংরেজবাজারের শোভনগরের পঙ্কজ গাজরের আদিনারৎঅসিত সাহা এবং পতুরায় বালুপুরের সুমিত্রা মন্ডল। এঁদের কেউ ঝড়ে পড়া আম কুড়োতে গিয়েছিলেন কেউ ধান বা পাটের জমিতে কাজ করছিলেন। এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। দু'কিলোমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি বেশি না হলেও পরপর বাজ পড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের অধিকারীরা জানান গত কয়েক দিন থেকে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত ছিল। সেটি ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে ছরছিল। মালদহে গত কয়েক দিন তীব্র গরম ছিল। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্ৰি। তপ্ত বাতাস এবং ওই ঘূর্ণিবর্তের দৌলতে উল্লম্ব কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক গোপনাথ রাহা বলেন, ওই মেঘ থেকে বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকে। তা বাতাসে সরে মালদহের দিকে আসার সময় যথেষ্ট শক্তি অর্জন করেছিল। মালদহের উপরেই অস্থিরতম অবস্থায় পৌঁছোয় ওই মেঘ। আবহাওয়াবিদেরা জানান কিউমুলোকনিম্বাস মেঘের অস্থিরতা যত বেশি হবে বাজার তীব্রতাও তত বাড়বে। তা ছাড়া দূষণ থেকেও বজ্রপাতের আশঙ্কা বাড়ে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.