Header Ads

ইন্ডিয়া জোট মানে বাম কংগ্রেসে ভোট

*চাই ইন্ডিয়া (INDIA)জোটঃ চাই বাম-কংগ্রেসে ভোট।*-------------নীতীশ বিশ্বাস -----------
     সারা ভারতের বাঙালি অঞ্চলে নির্বাচনকে সামনে করে ক্যা (CAA)র ভয়ংকর রুল বা নিয়ম  কার্যকর করার কথা, বিজেপি সোচ্চারে বলা শুরুকরেছিল। বিশেষ করে RSS ও তার সন্তানদল তথা হনু, মনু সহ গোটা গো-বাহিনী এ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের প্রতিরোধে তারা সামান্য  পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ।তবে যদি নির্বাচনে আবার তারা  এমনি ভাবে জিতে আসে  এবার পশ্চিম বাংলাকে তারা আসাম করে তুলবেই ।সম্প্রতি যোগীজির রামরাজ্যের পিলভিটে ৪জন  বাংলাভাষী  ডাক্তারকে বাংলাদেশী বলে জেলে পুরেছে। ( এখানে গোপনে বলে রাখি তারা কিন্তু  সনাতনী হিন্দু !) । আর সারাভারতে এই  বাহিনী বাঙালি-উদ্বাস্তুদের জোরকরে ভয় দেখিয়ে ক্যা (CAA)র ফর্ম পুরনের চেষ্টা করছে। তা সত্ত্বেও ১১ই মার্চে জারি করা এই CAA-রুলের ভিত্তিতে ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত একটিও ফর্ম জমা পড়েনি। এই সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় অফিসার শ্রী রামদয়াল মীনা তা এক বাঙালি  আইনজীবীর RTIএর জবাবে জানিয়েছেন। । এমন কি আমাদের বিভীষণ বা মীরজাফর রূপী  মূল চারনেতাদের কেউই নিজেরাও জমা করেনি। তাই আমাদের মতুয়া, নমঃশূদ্র /আদি বাসী ও সংখ্যালঘু (Sc,ST,OBC )দলিত আত্মীয়দের প্রতি আবেদন তারা কেউ  এসব আইনের নামে বে-আইনী চক্রান্তে মাথা না গলিয়ে  পরিষ্কার ভাবে বুঝে নিন,দলিত বাঙালিরা ( বাঙালি মুসলীম ও দলিতরা) দেশভাগ চাননি। ব্রিটিশের কাছে মুচলেকা দেওয়া RSS নেতার অনুগামী  জনসংঘ নেতা শ্যামাপ্রসাদসহ নানা দলের বর্ণবাদী নেতৃত্ব সেদিন ধনী ও জমিদারদের শ্রেণী স্বার্থে এ কাজ করেছিল। এদের সঙ্গে ছিলেন জিন্নাহর নেতৃত্বে বনেদী মুসলিম শক্তি ও নেতাজি বিদ্বেষী দক্ষিণপন্থী পশ্চিমাদের একাংশ  আর  এদের গুরু  সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক শক্তি। এই সুবিধাবাদীরা ব্রিটিশের পদতলে বসে যৌথ চক্রান্তে বিপ্লবী বাংলাকে সেদিন বিভাজিত করেছে । এই পরিস্থিতিতে বাঙালি উদ্বাস্তুদের পক্ষে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করি আমাদের পূর্বপুরুষ ও আমরা সকলেই ভারতের নাগরিক। আমাদের আত্মবলিদানের ফলে দেশ স্বাধীন হয়েছে ।কোনো চক্রান্তেই আমাদের কাউকে  বেনাগরিক বলার কোন নৈতিক অধিকার কোন সরকারের নেই । তাই CAA/ NRC/ D-voter  করার চক্রান্ত বন্ধ ক’রে আমাদের ভোটে নির্বাচিত যেকোন সরকারকেই সমস্ত বাঙালি উদ্বাস্তুকে বিনাশর্তে  নাগরিকত্বের ঘোষণা দিতে হবে । ক্যা’র ফর্মপুরনের  নামে  কোনো উদ্বাস্তুকেই বিদেশি হিসেবে  আত্মঘোষণার এই নাগপাশে ঢোকা নোর চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা বলছি কোনো সরকার যদি উদ্বাস্তুদের কল্যাণ চান তা হলে, সব কিছুর আগে বিজেপির নেতৃত্বেNDAএর  আনা ২০০৩ এর নাগরিক আইনের সংশোধনের নামে সেদিনের অমানবিক ও অন্যায় সংশোধন বাতিল করতে হবে। আপনারা  জানেন এর পরবর্তী সংশোধনে  ২০০৪ এ পশ্চিম পাকি স্তানী উদ্বাস্তুদের দেওয়া সুযোগও তারা  বাঙালি উদ্বাস্তুদের  দেয়নি।  তাই আমাদের দাবি সরকার কে নিঃশর্ত  নাগরিকত্বের  ঘোষণার-দিনপর্যন্ত আগত সমস্ত বাঙালি উদ্বাস্তুদের বৈধ নাগরিক হিসেবে আইনী ঘোষণা দিতে হবে।  
 আর একটি কথা এ দেশের  প্রধান মন্ত্রীর যদি কোনো নথি ছাড়াই জন্ম সুত্রে নাগরিক হয়ে  নির্বাচনে লড়তে পারেন তাহলে  এদেশের মূল নিবাসী আদিবাসী ও এখানকার প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাসকরা  সংখ্যা লঘুদের কোনো  নথি ছাড়া নাগরিকত্বের  বাধা কোথায়?  আসলে এসবই হচ্ছে হিটলার পন্থী ফ্যাসিস্তদের নয়া কর্পোরেট চক্রান্ত। গোটা ভারতের ৮০শতাংশ কে জার্মানির মতো ভোটাধিকার হীন ,উচ্চশিক্ষা ,উচ্চ চাকুরীর  পদাধিকা হীনদের মতো করে সম্পত্তির অধিকারহীন মনুশাসিত ভারতের শূদ্রে পরিনত করার চক্রান্ত করছে । যার মাধ্যমে দলিত আদিবাসী, পিছড়েবর্গ ও সংখ্যা লঘুদের নাগরিক ও মানবিক সব অধিকার হরণ করবে।  একথা  বুঝেই ১৯২৭ সালে ডঃ আম্বেদকর  ২৫শে ডিসেম্বর চৌদাপুকুর অভিযানের সময় ব্রাহ্মন্য বাদীদের  সমাজ-সংবিধান তথা  মনুসংহিতা দাহ করেছিলেন।  এবার বিজেপি ও তার প্রত্যক্ষ (NDA ভুক্ত) ও পরোক্ষ (TMC/BJD-র মতো ) সমর্থক দলগুলি যদি  অধিক সীট নিয়ে ক্ষমতায় আসে তাহলে আম্বেদকরের মহান সংবিধান আর রক্ষা করা যাবে না ।  প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর সময় সংবিধান সমীক্ষক কমিশনের মাধ্যমে তারা সে অপচেষ্টা করেছিলো । সে কমিশনের  নাম ছিলো  "সংবিধান সমীক্ষক কমিশন- ২০০০’’। যা গঠিত হয় ওই বছর  ১৩ ফেব্রুয়ারি। এ কমিশনে ১১ জন সদস্য ছিলেন  যার  অধ্যক্ষ হন, সর্বোচ্চ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচার পতি, এস এন ভেঙ্কটচালিয়া। অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন -আইন কমিশনের অধ্যক্ষ বি পি জীবন রেড্ডি, সর্বোচ্চ আদালতের প্রাক্তন বিচারক, রাম এস সরকারিয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি কে পরশরন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিচারক কোন্ডপল্লীপুলিয়া, দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক- সি আর ইরানি, আমেরিকায় প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত আবিদ হোসেন, লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব সুভাষ সি কাশ্যপ, প্রাক্তন সাংসদ ও মহাত্মা গান্ধীর নাতনি সুমিত্রা কুলকর্ণি, মহা-অ্যাটর্নর সোলি সোরাবজি, লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ পি এ সাংমা।(- সূত্রঃ ডঃ এ আর বিশ্বাস।)।  কিন্তু সে চক্রান্ত সেদিন সফল হয় নি; কারণ সরকার বেশিদিন স্থায়ী হয় নি। 
তবে আজ আর সে দিন নেই, আজ ভারতের গণতন্ত্র  তার অস্তিত্বের এক ভয়ংকর প্রান্ত সীমায় উপনীত, এ সময় আপনি যদি কোন সামান্য দোদুল্যমানতা দেখান,  তাহলে  আমাদের  ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে নেমে আসতে পারে  সেই ইতিহাসের  অন্ধকার বিভীষিকা । এই সময়ে তাই আমাদের অভিশপ্ত পূর্ব পুরুষের দুর্ভাগ্য কাটাতে আর আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে এ রাজ্যে আমাদের বামপন্থী ও কংগ্রেস ( প্রকৃত INDIA-)জোটকে ভোট দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। আসুন ঐক্যবদ্ধ  ভাবে আমরা পথে নামি, দেশের সংগ্রাম্রত কৃষক সমাজ আর চির সংগ্রামী ,-শ্রমিকশ্রেণি সহ দেশের সমস্তএ গণতান্ত্রিক শক্তি আমাদের পাশে দাঁড়াবেন । ভারত অভিশাপ মুক্ত হবে, রক্ষাপাবে আম্বেদকরের সংবিধান, আমরাও  রক্ষা পাব এই ফ্যাসিস্ত আগ্রাসনের হাত  থেকে ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.