Header Ads

বাংলার ধান কাটার সোনালি প্রাণের উৎসব

  Moumita  Das,কান্দি  মুর্শিদাবাদের 
_নবান্ন উৎসব_ 

নবান্ন অনুষ্ঠানে নতুন অন্ন পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাক ইত্যাদি প্রাণীকে উৎসর্গ করে এবং আত্মীয়-স্বজনকে পরিবেশন করার পর[১] গৃহকর্তা ও পরিবারবর্গ নতুন গুড় সহ নতুন অন্ন গ্রহণ করেন।[২] নতুন চালের তৈরি খাদ্যসামগ্রী কাককে নিবেদন করা নবান্নের অঙ্গ একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা।কান্দি রাজ বাড়ির নবান্ন অগ্রহায়ণ মাসে প্রথমে পালন করা হয়। এবং কান্দি দুহালিয়া কালিবাড়ির নবান্ন অগ্রহায়ণ মাসে ৮তারিখে হয়। ও কান্দিতে আরো একটি মন্দির রয়েছে সেটি হলো বাবা রুদ্রদেবে মন্দির এই মন্দিরে নবান্ন উৎসব শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাসের ১০ তারিখ। অলোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃতের আত্মার কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে "কাকবলী"।[৩] অতীতে পৌষ সংক্রান্তির দিনও গৃহদেবতাকে নবান্ন নিবেদন করার প্রথা ছিল।[২] নবান্ন উৎসব হিন্দুদের একটি প্রাচীন প্রথা। হিন্দুশাস্ত্রে নবান্নের উল্লেখ ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করা রয়েছে।[১] হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষ অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন।নবান্ন" শব্দের অর্থ "নতুন অন্ন" বা "নব অন্ন"। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদ্‌যাপনের প্রথা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.