Header Ads

আলোর উৎসব ও রামপ্রসাদ

 

আলোর উৎসব ও রামপ্রসাদের কালী।
              খগেনচন্দ্র দাস। 
              ৯১০১৫৪১২৮৬

            প্রাচ্য দর্শনের গোড়ার কথাই অন্ধকারের ওপারে থাকা আলোর সন্ধান করা "তমসো মা জ্যোতির্গময়ঃ"। হিন্দু ধর্মীয় তত্ত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই যে  দেবী-দেবতা বা যে কোন ধর্মগ্রন্থের নিজস্ব ব্যাখ্যা অ-স্বীকৃত নয়। তাই কালীভক্ত রামপ্রসাদ সেন ও অন্যান্য মনীষীদের দৃষ্টিকোণ থেকে উৎসব দুটি অবলোকন করা যাক। রামপ্রসাদ গেয়েছেন----
"যত শোন কর্ণপুটে সবই মায়ের মন্ত্র বটে।
কালী পঞ্চাশৎ বর্ণময়ী বর্ণে বর্ণে বিরাজ করে।।"
      অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রখ্যাত কালীসাধক গীতিকার,গায়ক কিম্বদন্তি পুরুষ রামপ্রসাদের এই বাণী ঘিরেই আজকের আলোচনা। মূর্তি পূজক হিসেবে পাশ্চাত্যের মানুষদের কাছে স্বামী বিবেকানন্দকে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়েছিল। স্বামীজী পশ্চিমাদের অর্বাচীন প্রশ্নের শাস্ত্রসম্মত জবাবও দিয়েছিলেন। মূর্তির মধ্য দিয়ে ভারতবাসী কোন্ অমূর্ত কে দেখেন তা বোঝাতে তিনি বলেছিলেন---"অব্রহ্মনা ব্রহ্ম দৃষ্টা অনুসন্ধানম্।" ভারতীয়গণ এটা জানেন যে এই প্রতিমা তাঁদের অনুসন্ধেয় নিরাকার, নির্গুণ ব্রহ্ম নন; কিন্তু এই মৃণ্ময় প্রতিমার মধ্য দিয়েই আমরা ভারতবাসী,সেই নির্গুণ সত্তার অনুসন্ধান করি। স্বামীজী পাশ্চাত্যের তাৰ্কিকদের যত মোক্ষম জবাবই দিন না কেন পূজায় সমবেত ভক্তগণ সে বিষয়ে কতটা লক্ষ রাখেন সেটা তাঁরাই জানেন। বস্তুত ঈশ্বরের অর্থাৎ ব্রহ্মের কোন প্রতিমা হয় না,হতে পারে না। তাই বলা হয়েছে---"ঈশ্বরস্য প্রতিমা নাস্তি।" কারণ প্রতিমা মানেই অনুরূপ সাদৃশ্য থাকা অন্য একটি দ্বিতীয় সত্তা; আর যিনি সর্ববৃহৎ তাঁর প্রতিরূপ কি করে সম্ভব?মহাভারত রচয়িতা কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস আরও একধাপ এগিয়ে দ্ব্যৰ্থহীন ভাষায় বলেছেন ---
"রূপং রূপবিবর্জিতস্য ভবতো যদ্ধ্যানেন কল্পিতং
স্তুত্যাঽনির্বাচনীয়তাঽখিলগুরো দূরীকৃতা যন্ময়া।
ব্যাপিত্বং চ নিরাকৃতং ভগবতো যৎতীর্থযাত্রাদিনা 
ক্ষন্তব্যং জগদীশো তদ্বিকলতাদোষত্রয়ং মৎকৃতং।"
(হে প্রভো তুমি রূপবিবর্জিত; আমি তোমাতে আমার ধ্যানের রূপ আরোপ করেছি। হে অখিলের গুরু আমার স্তুতিতে তুমি যে অনির্বচনীয় সে সত্তা থেকে দূরে গেছি। তীর্থযাত্ৰা করে তুমি যে সর্বব্যাপী তাও অস্বীকার করেছি। হে জগদীশ্বর,তুমি আমার এই তিন দোষ ক্ষমা কর।  (ধর্ম ও সমাজ, ড০ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ, পৃঃ৪৫-৪৬)
         শ্রেণী বিচারে দেবী বা দেবতা তিন রকমের হন-- লৌকিক, পৌরাণিক ও তান্ত্ৰিক। কালী তান্ত্ৰিক দেবী। তন্ত্র শব্দটি শোনা মাত্রেই ভদ্রসমাজে একটা চাপা গুঞ্জন উঠে। এ যেন এক নিষিদ্ধ শব্দ।এরূপ ভাবনার মূল কারণ হল,তন্ত্রের পঞ্চ ম-কারের ব্যাখ্যা নিয়ে  সমাজে প্রচলিত প্রচুর বিভ্রান্তি। পঞ্চ ম-কার অর্থাৎ-- মদ্য,মাংস,মৎস্য,মুদ্রা ও মৈথুন। এগুলোর তান্ত্ৰিকী ব্যাখ্যা ভিন্ন তাই এ আলোচনা স্বতন্ত্র। শুধু একটি শব্দের উল্লেখ করছি-- 'মাংস' তন্ত্রে এর অর্থ রসনা বা জিহ্বা। মাংস সাধনার অর্থ জিহ্বার উপর নিয়ন্ত্ৰণ। "তন্ত্র' শব্দের দুটো ব্যাখ্যা আছে। অর্থাৎ ব্যুৎপত্তিগত বিচারে 'তন্ত্র'কে দুই ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। একটা ব্যাখ্যা হলঃ "তং জাড্যাৎ তাড়য়েৎ যস্তু সঃ তন্ত্রঃ পরিকীর্তিতঃ"। 'ত' হল জড়তার বীজমন্ত্র(dullness, lethargy) 'ত্র' হল মুক্তিদাতা(liberator) যা মানুষকে আধ্যাত্মিক জড়তা থেকে ত্রাণ করে তা-ই তন্ত্র। 
    অপর ব্যাখ্যাটি হলঃ সংস্কৃত তন্ ধাতুর মানে বিস্তারিত হওয়া (to expand) আর 'ত্র' মানে মুক্তিদাতা (ত্রৈ+ড=ত্র) 'ত্রৈ' মানে ত্রাণ করা,মুক্তি দেওয়া। তন্ত্র শব্দের মানে হ'ল যে বিজ্ঞান মানুষকে বিস্তারিত করতে সাহায্য করে অথবা যা সর্বাত্মক বিস্তারের মাধ্যমে মানুষের মুক্তিলাভের পথ প্রশস্ত করে।" ( তন্ত্রই সাধনা সাধনাই তন্ত্র, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজ, পৃঃ ২৩-২৪) জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্তির অর্থই হল সাধকের মানসিক তরঙ্গধারার  বিস্তার ও পরমসত্তার তরঙ্গধারার সঙ্গে সমান্তরালতা সৃষ্টি করে ক্রমে সেই সত্তার সঙ্গে একীভূত হওয়া। এটি মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান সম্মত একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
      কালীর ধ্যান মন্ত্রে বলা হয়েছে--- 
"মেঘবর্ণা বিগতবসনা শবশিবারূঢ়া শ্যামা ত্রিনয়না।
নরশিরখড়্গবরাভয়শোভনা চতুৰ্ভূজা কালিকা রূপিণী।।" ( আনন্দ বচনামৃতম্, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজী,১০-১৩ খণ্ড পৃঃ৮৩-৮৪) এ কোনো বাস্তব বিষয় নয়;একটা প্রতীকী চিত্র মাত্র। এই মহাবিশ্ব যখন সৃষ্টি হয়নি, সৃষ্টি না হওয়া থেকে সৃষ্টি হওয়ার যে বিবর্তন তারই একটি খণ্ডিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই কালী প্রতিমার মধ্য দিয়ে। এখানে স্মৰ্তব্য যে, মহাবিশ্ব সৃষ্টির দার্শনিক ব্যাখ্যার সঙ্গে সর্বশেষ আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার কিছুটা পার্থক্য থাকলেও বিজ্ঞানীগণ ধীরে ধীরে দার্শনিক ব্যাখ্যার দিকেই এগিয়ে চলেছেন। এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে মহাবিশ্বের সমস্তকিছু  একই উৎস থেকে উৎসারিত। "যদি বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সবকিছুই শেষ পর্যন্ত সেই বস্তুটি দিয়ে তৈরি বিজ্ঞানীদের কাছে যার পরিচয় 'এনার্জি' বা শক্তি,তা হলে প্রকৃতি কেন তৈরি করল এত রকমের ক্ষেত্ৰ যেখানে এনার্জি দেখাতে পারে তার ম্যাজিক? কী প্রয়োজন ছিল এই অহেতুক বাহুল্যের? অধিকাংশ পদার্থবিজ্ঞানী এখন এই প্রশ্নের উত্তরে বলছেন,যাদের আপাতভাবে মনে হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্ৰ, তারা কিন্তু একই ক্ষেত্ৰ বা ফিল্ডের বিভিন্ন আকৃতি বা দিক মাত্র। যেসব ফিল্ডের কথা আইনস্টাইন ভাবেননি এবং এখন ভাবা হচ্ছে তারাও একই ফিল্ডের ভিন্ন ভিন্ন বহিঃপ্রকাশ।" (বিজ্ঞানে ঈশ্বরের সংকেত,  ড০ মণি ভৌমিক, পৃঃ ১৩৮) 
         এই যে কালী যাঁকে বিশ্ব প্রকৃতির দ্যোতক বলে ধরা হয়। তারই বর্ণনা রয়েছে এই ধ্যানমন্ত্রের মধ্যে। 'তিনি মেঘ বর্ণা অর্থাৎ তাঁর রং কালো। কিছুই সৃষ্টি হয়নি তাই রঙের প্রশ্নই উঠছে না। কালো মানেই রঙের অনুপস্থিতি বা অভাব, অর্থাৎ যেখানে কোন রং নেই। সৃষ্টির পূর্বের অবস্থায় প্রকৃতি বা কালীর রং কালো হওয়াই স্বাভাবিক। তিনি বিগত বসনা, গায়ে কোন কাপড় নেই। যে সত্তা সর্ববৃহৎ ও  সর্বব্যাপী তাঁকে কি কাপড় দিয়ে ঢাকা সম্ভব? যদি কাপড় দিয়ে ঢাকা যায় তাহলে কাপড় তাঁর চেয়ে বড় হয়ে যাবে। তাই নয় কি? তাই তিনি বিগতবসনা, দিগবসনা। তিনি "শবশিবারূঢ়া"। শিব হচ্ছেন পরম চৈতন্য সত্তা। আর শক্তি বা প্রকৃতি সেই পরম চৈতন্য সত্তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ।  কীরকম অবিচ্ছেদ্য? দুধের সাদা রঙ যেভাবে দুধের সঙ্গে মিশে আছে, দুধ থেকে তার সাদা রঙকে যেমন আলাদা করা যায় না অথবা এক টুকরো কাগজ তাকে যত পাতলাই করা হোক না কেন তার দুটো পিঠ যেভাবে একে অপরের সঙ্গে একীভূত হয়ে আছে, কোন অবস্থাতেই আলাদা করা যায় না সেইরকম শিব ও শক্তি অবিচ্ছেদ্য। তাই বলা হয়েছে "শিবশক্ত্যাত্মকম্ ব্রহ্ম" ( আনন্দ সূত্রম্, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজী, পৃ ১ ) শিব ও শক্তির মিলিত রূপই ব্রহ্ম।সেই পরম চৈতন্য সত্তা শিবের বুক ছাড়া প্রকৃতি আর কোথায় দাঁড়াবেন? তাই অনন্ত শক্তির প্রতীক কালী দাঁড়িয়ে আছেন অনন্ত ব্যাপ্ত পরম চৈতন্য সত্তা শিবের বুকে। 
          প্রকৃতি তাঁর অসীম শক্তি দিয়ে কালের  তিনটি বিভাজন-- অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত তিনটিকেই দেখছেন তাই তিনি ত্রিনেত্র, তিনটি চোখ। "গলাতে রয়েছে উনপঞ্চাশটি কাটা মুণ্ডু। হাতে একটা থাকাতে হল পঞ্চাশটা। বৈদিক যুগের মানুষজন লিখতে জানত না। কারণ তখনও বর্ণ বা লিপি আবিষ্কার হয় নি। শব্দের প্রতীক হিসেবে 'অ' থেকে 'ক্ষ' পর্যন্ত পঞ্চাশটা অক্ষর,তাকে বলা হয় 'অক্ষমালা' বা বর্ণমালা। প্রথম অক্ষরটা 'অ' আর শেষের অক্ষরটা 'ক্ষ' --- সেই জন্য অক্ষমালা। কালীর গলায় অক্ষমালা রয়েছে। অক্ষমালার 'অ'- টা হাতে রয়েছে। মুণ্ডমালার মুখ। উচ্চারণের প্রতীক হিসেবে মুখগুলোকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।"( আনন্দ বচনামৃতম্, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজী, ১০-১৩ খণ্ড,  পৃঃ ৮২) "কালী পঞ্চাশৎ বর্ণময়ী" -বর্ণ বা অক্ষরের প্রতীক। যদিও প্রতিমা তৈরির কোন শিল্পীই আজকাল অতগুলি মুণ্ড কালীর প্রতিমায় দেন না।
         এই প্রতিমায় কল্পিত রূপের সঙ্গে ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের একটি সূক্তের সাযূজ্য পরিলক্ষিত হয়। যেখানে বলা হয়েছে---
" নাসদাসীন্নো সদাসীত্তদানীং নাসীদ্রজো নো ব্যোমা পরো যৎ।
কিমাবরীবঃ কুহ কস্য শর্মন্নম্ভঃ কিমাসীদ গহনং গভীরম্।।" ( যা ছিল না তাও ছিল না। যা আছে তাও ছিল না। কে কাকে কী দিয়ে আবরিত করবে?  রাত্রিও ছিল না দিনও ছিল না। ঋগ্বেদ ১০/১২৯) ছিলেন শুধু চৈতন্য সত্তা,শিব ও তাঁর অভিন্ন সত্তা পরমা প্রকৃতি। 
           এই অভিন্নহৃদয় অদ্বৈত চৈতন্যঘন সত্তার একটি অর্থাৎ শক্তি energy বা প্রকৃতি বিজ্ঞানের আওতায় এসে গেছে ( E=mc2. Energy equals mass times the speed of light squared) চৈতন্যের খোঁজও চলছে। আর এই বিষয়টিকেই ঈশ্বরানুরাগী ভক্ত ও দার্শনিকগণ দেখছেন এভাবে--- 'ঈশ্বর একা ছিলেন, একাকীত্বের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সেই অদ্বৈত ব্রহ্ম তাঁর চিরসাথী পরমাপ্রকৃতির সাহায্যে নিজকে বহুতে রপান্তরিত করেছেন।' আর কবির ভাষায়----
"জাগিল আনন্দ-ব্যাথা,জাগিল জোয়ার,
লাগিল তরঙ্গে দোলা, ভাঙ্গিল দুয়ার,
মাতিয়া উঠিলে তুমি!
কাঁপিয়া উঠিল কেঁদে নিদ্রাতুরা ভূমি!
বাতাসে উঠিল ব্যোপে তব হতাশ্বাস,
জাগিল অনন্ত শূন্যে নীলিমা- উচ্ছাস!
রোমাঞ্চিত হ'ল ধরা, 
বুক চিরে এল তার তৃণ-ফুল-ফল।" ( কাজী নজরুল ইসলামের সিন্ধু-হিন্দোল কাব্যগ্রন্থের সিন্ধু কবিতা, কাজী নজরুল ইসলাম রচনাসমগ্র তৃতীয় খণ্ড পৃঃ ৪৬-৪৭)
         দীপাবলীকে রামচন্দ্রের লঙ্কা বিজয়ের পর গৃহে প্রত্যাবর্তন ও রাজ্যাভিষেকের উৎসবের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষিপ্ৰধান বঙ্গে এই অনুষ্ঠানের অন্য কারণ রয়েছে যা রামায়ণের আরও  বহু আগে থেকেই প্রচলিত। বর্ষা বঙ্গের এক উল্লেখযোগ্য ঋতু। এই ঋতুর পর শরৎকালে  পোকামাকড়ের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি হয় ফলে পোয়াতি ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কৃষক পোকামাকড়ের হাত থেকে তাদের  শষ্য রক্ষার উপায় হিসেবে প্রদীপ সদৃশ কিছু জ্বেলে পোকামাকড় কিছু পরিমাণে কমানোর চেষ্টা করতেন। সেই প্রথাই কালক্ৰমে একটা উৎসবের রূপ নিয়েছে। পূজা-পার্বন উৎসব--মানব কল্যাণে এসব উদ্ভাবন  করেন বিপ্র বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্য শ্রেণি অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা মুনাফা অর্জনের লক্ষ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এইসব উৎসবকে বাজার কেন্দ্রিক করে দেন। মানুষের জীবনে কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে উৎসবের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম কিন্তু রক্তচোষা ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে উৎসবের আনন্দ ম্লান হোক এটা বাঞ্ছনীয় নয়।
তথ্য সূত্রঃ
(১) ধর্ম ও সমাজ-- ড০ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ। 
(২) কাজী নজরুল ইসলাম রচনাসমগ্র, তৃতীয় খণ্ড। 
(৩) আনন্দ সূত্রম্,     শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজ। 
(৪) তন্ত্রই সাধনা সাধনাই তন্ত্র,  শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজ।
(৫) বঙ্গীয় শব্দকোষ, হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়।
(৬) সুভাষিত সংগ্রহ, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজ, ১০-১৩ খণ্ড একত্রে। 
(৬) স্তোত্ৰ মঞ্জুষা, আচাৰ্য পীযুষানন্দ অবধূত। 
(৭) আনন্দ বচনামৃতম্, ১০-১৩ খণ্ড একত্রে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.