অসম বাংলাদেশের মত বাংলা বিদ্বেষ মাথা তুলছে প্রতিবাদ নেই বিজেপি নীরব
বিজয়। চক্রবর্তী। ই তিমধ্যে দশমী বিহিতপূজো সমাপ্ত হয়েছে।দর্পণে মা গঙ্গায় নিলয় হয়ে কৈলাসের পথে গমন করেছেন।নবপত্রিকা(কল্পবধূ) বিসর্জন দিয়ে ভক্ত বৃন্দ মণ্ডপে মণ্ডপে মৃন্ময়ী মায়ের বিসর্জনের আয়োজনে ব্যস্ত হয়েগেছেন।শুরু হবে বিজয়ার শুভ আলিঙ্গন ,মহিলাদের সিঁদূর খেলা।প্রতিবারের মতো এবারো আনন্দের বন্যায় ভাসবে সমাজ, দেশ ,প্রদেশ, মহাদেশ।
কিন্তু ,আনন্দ আমার মনকে ছুঁতে পারছে না।ব্যথাতুর মন।অন্য বৎসর বাংলা দেশের সজাতির উগ্র হিন্দু বিদ্বেষীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ার খবরে এবং দূর্গামূর্তির ভাঙার খবরে মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠত।কিন্তু, এবার হিন্দুস্থানের অঙ্গ রাজ্য আসামে বাঙালিদের কয়েকটি পূজো মণ্ডপে উগ্র বাঙালি হিন্দু বিদ্বেষী লাচিত সেনা, AASU পূজোর বেনারে বাংলা হরফ ব্যবহার করা নিয়ে যে তান্ডব চালালো ,বেনার ছিড়ে ফেললো তা TV র পর্দায় এবং সামাজিক মাধ্যমে দেখে মনেই হচ্ছে না আমি ভারত নামক হিন্দুস্থানের হিন্দুত্ববাদী সরকার শাসিত কোনো অঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা।মনে হচ্ছে ভারতের আসাম নামক এই অঙ্গ রাজ্যটি আর ভারতের নয় ,কোনো উগ্র হিন্দু বিরোধী রাষ্ট্রের অধীনে।মনে হচ্ছে আসাম যেন তালিবানের আফগানিস্তান।
সপ্তমীতে বীরলাচিতের কলঙ্ক উশৃঙ্খল অসমীয়া যুবকদের সংগঠন লাচিত সেনা ঐতিহ্যশালী ,ইতিহাস প্রসিদ্ধ ,বাঙালি প্রধান শহর তেজপুরে একটি পূজো মণ্ডপে বাংলায় লেখা বেনার ছিড়ে উদ্যোগতক্তাদের সাথে তাণ্ডপ করলো,বিশ্বনাথ চার অলির কলকাতা বাজার নামক মলের বাংলা হরফের বেনার ছিড়ে তাণ্ডপ করলো, অষ্টমীতে ডিব্রুগড়, নবমীতে গোয়াহটি মহানগরের বশিষ্ঠ এর বাঙালি বস্তির মিলন সঙ্ঘের পূজো মণ্ডপের বেনার ছিড়ে AASU নামধারী গুণ্ডার দল তাণ্ডপ করলো।এই ধরনের তাণ্ডপ আগে বাংলাদেশে হত।এবার আসামে অনুরূপ তাণ্ডপ। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, আসামের কোনো অসমীয়াবুদ্ধিজীবী, শিল্পি, কবি-সাহিত্যিক এই তালিবানি কাণ্ডের নিন্দা করলেন না।নীরব অসম সাহিত্য সভাও।নীরব শাসক বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল।আসামের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো নীরব থাকাই স্বাভাবিক -বাংলাভাষী হিন্দু যেন তাঁদের চক্ষুসুল।কিন্তু, শাসক দল!তাঁরা নীরব কেন?বাঙালি হিন্দুদের ভোটেই ত তাঁরা আসামের ক্ষমতায়।শাসক দল বিজেপি কি তাহলে হিন্দুত্বের মুড়কে উগ্র অসমীয়া জাতীয়তাবাদী?
হিন্দুত্ব বাদী সরকারের আমলে আসামে হিন্দুদের অন্যতম উৎসব দূর্গা পূজোকে ভণ্ডুল করার প্রয়াস দেখে মন ব্যথাতুর।
TV র ঠাণ্ডা ঘরে বসে যে সকল অসমীয়াবুদ্ধিজীবী তুফান সৃষ্টি করেন তাঁদের নীরবতালজ্জ্বা জনক ও নিন্দনীয়।অসম সাহিত্য সভা ,হিরেন গোঁহাই আদি বুদ্ধিজীবীর নীরবতা বাংলা ভাষা বাঙালি বিদ্বেষের নামান্তর।তাঁদের নীরবতাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করছি।নিন্দা করছি হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার ও আসাম সরকারকেও ,তাঁরা বাঙালি হিন্দুর অন্যতম উৎসবকে ভণ্ডুল করা উৎশৃঙ্খ যুবকদের শায়েস্তা করার ন্যূনতম প্রয়াস না করায়।আসামের বিজেপি সরকার কি ভুলে গেছে যে বাঙালি হিন্দুদের ভোটেই তাঁরা শাসনের অমৃত ভোগ করছে।
বাঙালি হিন্দুদের প্রতি আমার নিবেদন ,যেসব সংগঠন আপনাদের জাতি ও ভাষাকে সম্মান প্রদর্শন করে না সে সব সংগঠনের সংশ্রব ত্যাগ করে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করুন।মেরুদণ্ড সুজা করে জাতির পক্ষে দাঁড়ান।
উদ্যোক্তাদের প্রতি আমার আহবান,হামলাকারীদের বিরুদ্ধে FIR সংস্লিষ্ট থানায় FIR দায়ের করুন ।
জাগো বাঙালি জাগো।মনে রাখবেন বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, লড়াই করে বাঁচতে হবে।কাপুরুষ মরে বার বার, পুরুষ মরে একবার।ইহুদীদের থেকে শিক্ষা নিন।
পাগলা কুকুরকে মুগর দেখাতে কৃপণতা করলে কুকুর কামড় দেবেই।
ইতি
বিজয় চক্রবর্তী।
কোন মন্তব্য নেই