Header Ads

বরাক এর জনগণ ,নানাভাবে বঞ্চিত ,দুটি বিধানসভা কেন্দ্র ছাঁটাই এর পর মুখ্যমন্ত্রী কি করে দাবী করছেন বরাক এর ক্ষোভ নেই?


 নয়া ঠাহর    অন্নপূর্ণা  ,eco  সেন্টার  ,Nepal 
বরাক পৃথকীকরণের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর পরোক্ষ সমর্থন অভিনন্দন যোগ্য, আগামীতে জনমতের ভিত্তিতে নেওয়া হবে আন্দোলন কর্মসূচি - বিডিএফ।

সাম্প্রতিক বরাক সফরে এসে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন যে বরাকের জনগন চাইলে পৃথকীকরণের ব্যাপারে তাঁর আপত্তি নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি চান এই উপত্যাকা আসামের সাথেই থাকুক। পৃথকীকরণকে এভাবে পরোক্ষ সমর্থন জানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

আজ সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে ডিলিমিটেশন করে বরাকের  ৪২ লক্ষ লোকের জন্য বরাদ্দ হল ১৩টি বিধানসভা আসন যেখানে ২৪ লক্ষ জনসংখ্যার বোড়োল্যান্ডের জন্য আসন সংখ্যা ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করা হল। তিনি বলেন এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে যে বনধ ডেকেছিল তাতে স্বতস্ফুর্ত সমর্থন জানিয়েছিলেন আপামর বরাকবাসী। একই ভাবে পৃথকীকরণের দাবিতেও জনগনের স্বতস্ফুর্ত সমর্থন পাওয়া যাবে এটা নিশ্চিত। তিনি বলেন সবেমাত্র একমাস হল বিডিএফ পৃথকীকরণের ডাক দিয়েছে। এখনও প্রচার পর্বই শুরু হয়নি। এরপর আসবে কর্মসূচি নেবার পালা। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সারা বরাক জুড়ে সাড়া পড়েছে। অনেকে স্বতস্ফুর্তভাবে যোগাযোগ করছেন। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অব্দি এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। প্রদীপ বাবু বলেন তাঁদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য যে সঠিক এসবই তার উপযুক্ত প্রমাণ।

বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক এদিন আরো বলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্টীকরণের জন্য পাঁচটি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল বিডিএফ এর পক্ষ থেকে। গত একলাখ নিযুক্তির মধ্যে বরাক থেকে কতজন নিযুক্তি পেয়েছেন সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে কোন জবাব দেননি। তিনি বলেন একটি সুত্রে তাদের কাছে খবর আছে যে বরাক থেকে  একহাজার নিযুক্তিও হয়নি। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী জবাব দেননি তাই ধরে নিতে হবে এই তথ্যই সঠিক। এছাড়া রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ বাংলাভাষীদের মাতৃভাষাকে সরকারি সহযোগী ভাষার মর্যাদা কেন দেওয়া হচ্ছে না,কেন ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণকে অনর্থক ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এসব ব্যাপারেও কোন জবাব পাওয়া যায় নি। বোঝা যাচ্ছে যে এসব নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্যমন্ত্রী আগ্রহী নন।  বিদ্যুৎ বন্টনে বরাক বঞ্চনারও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি যদিও করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ব্যাপারে কাজ শুরু করার একটা সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন বরাক বাসী লক্ষ্য রাখবেন এই প্রতিশ্রুতি পালিত হয় কিনা! কারণ ইতিমধ্যে এই মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। 

বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য এদিন বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ডিলিমিটেশন নিয়ে বরাকবাসী খুবই খুশি, সবাই তাঁকে এজন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন। জয়দীপ বলেন যদি তাইই হয় তবে ডিলিমিটেশনের প্রতিবাদে বিডিএফ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ডাকা বরাক বনধ সফল হল কি করে? কেন এখন অব্দি বিভিন্ন দল সংগঠন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে? এমনকি কাছাড় বিজেপির সভাপতির ছেলে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে,মাটির টানে ডিলিমিটেশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিল সংগঠিত করেছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। জয়দীপ বলেন এর আগেও মিজোরাম সীমান্তে আসাম পুলিশ জওয়ানদের হত্যা, কিম্বা চাকরি বঞ্চনা নিয়ে বিডিএফ এর ডাকা বনধকে জনগন স্বতস্ফুর্ত সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি এজন্য বরাক বাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন যে আগামী দিনে পৃথকীকরণের আন্দলনেও একই ধরনের সাড়া পাবেন বলে তাঁরা আশাবাদী। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পৃথক রাজ্যের ইস্তেহার ও প্রচার পুস্তিকা জনগনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান জয়দীপ।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে হৃষীকেশ দে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.