মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকা থেকে আনা চিতা বাঘ গুলি অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে. অসমে গাড়ি চাপায় হরিণের মৃত্যু
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি; মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে দুরন্ত গতির ২০,টি চিতা বাঘ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে এনে ছাড়া হয়েছে।সেখানে ভারতীয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিপদের সম্মুখীন হয়েছে।কয়েকটি চিতা বাঘ ইতি মধ্যে মারা গেছে। চিতা গুলোর গলায় বেল্ট লাগিয়ে রেডিও ট্রান্সমিটার লাগানো হয়েছে।তাদের গতিবিধি জানার জন্যে।গলায় বেল্ট এঁটে বসে যাওয়াতে অসুবিধা হচ্ছে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাছাড়া ১৫০কিলোমিটার গতি সম্পন্ন চিতা বাঘের পরিসীমা কম হয়েছে কুনো অরণ্যে সেখানে , বাঘ গুলোকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করে অন্য অরণ্যে পাঠানো হচ্ছে ।অসমের কাজিরাঙা অরণ্যে দুহাজারের বেশি গন্ডার থাকায় শতাধিক বাঘের অসুবিধা হচ্ছে বলে বন আধিকারিক রা জানিয়েছে। এক অরণ্যে দুই রাজা থাকতে পারেনা। কুনো অরণ্যে ও একই সমস্যা। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ব্রহ্মপুত্র নদ প্রবাহিত।পাশ দিয়ে ৩৭,,নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গেছে।প্রতি বছর বন্যার সময় বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়।এবার আরও এক অভয়ারণ্য মানস একই সমস্যা প্রায় ৫০ শতাংশ ব্রহ্মপুত্র নদের জলে ডুবেছে। সেই অরণ্যে ও গন্ডার আছে।কাজিরাঙার বাঘ থাকা এলাকার ৫০ শতাংশ ডুবেছে। বন্যা থেকে বাঁচার জন্যে বাঘ হরিণ শুয়োর ইত্যাদি জন্তুরা প্রাণের দায়ে ৩৭নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করতে গিয়ে দ্রুত বেগের গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারায়।আবার এই রাস্তা পার হয়ে কর্বিয়ালং জেলার বুড়া পাহাড়ে গিয়ে বাঁচতে গিয়ে ওট পেতে থাকা শিকারিদের হাতে মারা পড়ে। এপর্যন্ত ১২টি হরিণ সহ অন্যান্য জীব মারা পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার হাতি থাকার জঙ্গলে বাঘের স্থান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই