Header Ads

মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে সীমা নির্ধারন আন্দোলনকে দুর্বল করতে চাইছেন

নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসাম ----------
 নয়া ঠাহর  ,শিলচর 
আজ নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসাম এর পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে শিলচরের ইলোরা হেরিটেজ হলে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ডিলিমিটেশনের বিরুদ্ধে আগামীকাল শহীদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ধিক্কার সমাবেশ আয়োজন করা হবে জানানো হয়।  সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্হ বলেন বরাক উপত্যকার জনগণ দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা আসন কমিয়ে দেওয়াকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রী মুখে যাই বলুন না কেন তিনি সি আর পি সি সি, আসাম এর আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী পরোক্ষ ভাবে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ডিলিমিটেশনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ আটকে দিতে চাইছেন। সংগঠনের সম্পাদক কিশোর কুমার ভট্টাচার্য বলেন পুলিশ প্রশাসন ২০ সেপ্টেম্বর ধিক্কার মিছিল আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। তারা বলছে সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন তাই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যাবে না। তিনি বলেন যে এই যুক্তির কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্টে মামলা ডিলিমিটেশনের খসড়া প্রকাশের পর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল অথচ মামলা চলাকালীন সময়েই নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেয়। তাই নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টের মামলা চলাকালীন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেনি। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন থাকলেও এটা নিয়ে যে কোন ধরনের কিছু করতে তাদের কোন আপত্তি নেই। ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চন্দ্র নাথ বলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যে এসব হচ্ছে তা তিনি নিজেই শিকার করেছেন। নিজেদের নির্বাচনী স্বার্থে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ ব্যাপারে নিরপেক্ষতাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সংগঠনের সম্পাদক সঞ্জীব রায় বলেন গত ১৩ সেপ্টেম্বর সংগঠনের চেয়ারম্যান তপোধীর ভট্টাচার্য ও তাঁকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডি আই জি'র উপস্থিতিতে বলে দেওয়া হয় ২০ সেপ্টেম্বরের ধিক্কার মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। পরবর্তীতে তারা গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা সহ বিভিন্ন বিষয় জোরালো ভাবে উত্থাপন করলে পুলিশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেষ পর্যন্ত ধর্ণার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি বলেন আগামীকালের ধর্ণা আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য লিখিত ভাবে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক হিল্লোল ভট্টাচার্য, হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন এর সভাপতি সিহাব উদ্দিন আহমেদ, এস ইউ সি আই ( কমিউনিস্ট ) দলের ভবতোষ চক্রবর্তী, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি'র প্রদীপ নাথ, ইয়াসি'র সভাপতি সঞ্জীব রায়, সংগঠনের কাছাড় জেলা সম্পাদক মধুসূদন কর, সি পি আই এর লোকনাথ দেবরায়, এ আই ইউ ডি এফ এর নবদ্বীপ দাস, হিন্দুস্থানী পরিষদের বীরভদ্র সিং প্রমুখ। সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে আগামীকালের ধর্ণায় সি পি আই ( এম ), তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমী পাৰ্টি,  প্রস্তাবিত ডিলিমিটেশন বিরোধী মঞ্চ, নাগরিক স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ, সারা আসাম হরিজন উন্নয়ন সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণকে উপস্থিত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে। 
সংবাদদাতা 
বিজিত কুমার সিংহ

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.