মহাকাশ গবেষণা করতে গিয়ে রহস্য মৃত্যু বিক্রম সারা ভাই সহ বহু বিজ্ঞান গবেষকদের তদন্ত কোথায়
তারিখটা ছিলো 30 ডিসেম্বর 1971 কেরলের একটা হোটেলে হটাত করেই মারা যান স্পেস সাইন্টিস্ট বিক্রম সারাভাই। মৃত্যুর কোনো কারন কেউ খুঁজে পায়নি। এমনকি পোস্ট মর্টেমও হয়নি। একইরকম ভাবে নিউক্লিয়ার সাইন্টিস্ট হোমিভাবার মৃত্যুরও কোনোরকম তদন্ত পর্যন্ত হয়নি। 1999 তে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডাইরেক্টর ডক্টর এস, শ্রীনিবাসনের ও মৃত্যু রহস্যজনক ভাবেই হয়। নাম্বি নারায়ণন এর ঘটনা তো সবাই মোটামুটি জানেনই। রকেটরি সিনেমাটা ওনারই জীবনি।
বাকি, কেউ মর্নিং ওয়াকে গিয়ে আর ফেরেনি। কারুর অনেকদিন পর পোরা বডি পাওয়া গেছে। তো কারুর বডি রেল লাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে। 2009 থেকে 2013 র মধ্যে এগারো জন ভারতীয় সাইন্টিস্টের মৃত্যু এরকম রহস্যজনক ভাবে হয়েছে। ইসরোর এডভাইজার তপন মিশ্রার খাবারে বিষ মেশানো থেকে ওনার ঘরে সাপ ছেরে দেওয়া সব হয়েছে।
আপনারা জানলে অবাক হবেন বিগত পনেরো বছরে 197 জন ভারতীয় সাইন্টিস্ট সুইসাইড করেছে আর 1,733 জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুইসাইড নোট কোনো ঘটনাতেই পাওয়া যায়নি। আর অবাক করার মতো ঘটনা হলো, বিগত কংগ্রেস সরকার আমাদের সাইন্টিস্ট দের সুরক্ষা দেওয়া তো দূরের কথা কোনো ঘটনার তদন্ত পর্যন্ত করার প্রয়োজন মনে করেনি। আর সরকারের কথা যদি বাদও দেন তাহলেও প্রশ্ন থাকবে যে, আমাদের দেশের মেইন স্ট্রিম মিডিয়া কেন চুপ থেকেছে ? অথচ এরাই আজ বলে গোদি মিডিয়া 😀😀। হ্যাঁ দুয়েকটা ছুট পুট আর্টিক্যাল অবশ্যই বেরিয়েছিল।
তপন মিশ্রার ঘটনার পর থেকে, মানে 2018 থেকে বর্তমান সরকার ইসরো চীফ সাইন্টিস্ট দের ওয়াই প্লাস সিকিউরিটির ব্যাবস্থা করেছে। তবে আরো টাইট সিকিউরিটির প্রয়োজন আছে বলে আমি অন্তত মনে করি। কারন, যদি লালুর ছেলেরা সিকিউরিটি পেতে পারে তাহলে আমাদের সাইন্টিস্টরা কেন পাবেনা ?
কোন মন্তব্য নেই