Header Ads

শিলচর এর আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির খেলা চলছে

নয়া ঠাহর। শিলচর 
নৈরাজ্যের পীঠস্থান এবং রাজনৈতিক আখড়া হয়ে উঠেছে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কশিট কান্ডের উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের বরখাস্ত করার দাবিতে সরব হল বিডিওয়াইএফ।

টিডিসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হবার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উপলব্ধ পরিক্ষার্থীদের প্রভিশনেল মার্কশিট। অনেক ছাত্র আবার তা ডাউনলোডও করেছেন। ভুভারতে নজিরবিহীন এমন তুঘলকি কান্ডের জন্য আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলল বরাক ডেমোক্রেটিক ইউথ ফ্রন্ট।

এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ যুব শাখার মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে বরাকের সব জাতি জনগোষ্ঠীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল এই আসাম বিশ্ববিদ্যালয় অদক্ষ প্রশাসক ও রাজনৈতিক তোষামোদের জন্য ক্রমাগত তলিয়ে যাচ্ছে। তার প্রশ্ন এই অবস্থা দেখার জন্যই কি দীর্ঘ দশবছর ধরে আন্দোলন করেছিলেন বরাক বাসী ? পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হবার আগেই যদি এইভাবে মার্কশিট চলে আসে তবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাজ কি ? কল্পার্ণব বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের  চূড়ান্ত অবহেলা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অন্যতম নিদর্শন এই ঘটনা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে এই ব্যাপারে কোন সদুত্তর নেই। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত উপাচার্য নিশ্চুপ। জারি হয়নি কোন বিজ্ঞপ্তিও। যুবফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক বলেন যে এইভাবে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। তার বক্তব্য যুবফ্রন্ট এসব কোন অবস্থায় মেনে নেবেনা।

কল্পার্ণব এদিন আরো বলেন যে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন ‌না ,একটি বিশেষ দলের রাজনৈতিক সভা সমিতি করতে হিল্লি দিল্লি ঘুরে বেড়ান। তিনি এবং আর কিছু প্রশাসকদের সৌজন্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়‌ একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি শেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যেখানে শিক্ষাগুরুদের শ্রদ্ধা জানানোর কথা ,সেদিনও মঞ্চে ঐ দলের নেতা মন্ত্রীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছুর মূলে বর্তমান উপাচার্যের  ভূমিকা রয়েছে,শাসক দলের তোষামোদ করাই যার অন্যতম কাজ। কল্পার্ণব বলেন যে উল্লেখিত ঘটনা প্রমান করেছে যে প্রশাসক হিসেবে তিনি সম্পুর্ণ ব্যর্থ । অন্যথা অবিলম্বে তার তরফে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার কথা ছিল। 

বিডিএফ যুবশাখার মূখ্য আহ্বায়ক এদিন বলেন যে তাঁরা অবিলম্বে পুরো ঘটনার তদন্ত করে দোষী আধিকারিক ও কর্মীদের শাস্তি দেবার দাবি জানাচ্ছেন। এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের করনীয় কি তাও অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাতে হবে। অন্যথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে যুব ফ্রন্ট। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি।
 
বিডিএফ যুব শাখার পক্ষ থেকে দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.