dilimition নিয়ে আগাম সিদ্ধান্ত নেবেন না সরকার কে সতর্ক করলো বি ডি এফ
নয়া ঠাহর শিলচর
সুপ্রিমকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের আগে ডিলিমিটেশনের খসড়া নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না - নির্বাচন আয়োগ তথা সরকারকে সতর্ক করল বিডিএফ।
সমষ্ঠি পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত নির্বাচন আয়োগের প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এই মামলার চূড়ান্ত রায়ের আগে প্রস্তাবিত খসড়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না নিতে নির্বাচন আয়োগ তথা সরকারকে সতর্কীকরন দিল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় এদিন বলেন যে শেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিরোধী পক্ষের উত্থাপিত আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন আয়োগের প্রতিক্রিয়া লিখিত ভাবে পেশ করতে তিন সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। এরপর তাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মামলাকারীদের লিখিত বক্তব্য পেশ করতে আরো দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। পাঁচ সপ্তাহ পর উভয় পক্ষের বক্তব্য নিয়ে শুনানি হবে এবং এই ব্যাপারে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে উচ্চতম ন্যায়ালয়। প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে এই সরকারকে বিশ্বাস নেই। যেহেতু স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি তাই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত রায়ের আগেই প্রস্তাবিত খসড়া চূড়ান্ত করতে পারে নির্বাচন আয়োগ। তিনি বলেন যে তাঁদের উচ্চতম ন্যায়ালয় ও আইনের প্রতি সম্পুর্ন আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত রায়ের আগে এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা কোন অবস্থায় মেনে নেবেননা পঁয়তাল্লিশ লক্ষ বরাক বাসী। তিনি বলেন যে তাঁদের দাবি হচ্ছে বরাক উপত্যকার আসনসংখ্যা কোন অবস্থায় কমানো চলবে না। এবং সমষ্ঠি গুলোকেই আগের অবস্থায় রাখতে হবে।তিনি বলেন যে তাঁরা আশাবাদী যে উচ্চতম ন্যায়ালয় এই মর্মেই রায় দেবেন।
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক এদিন আরো বলেন যে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার শুধু ভোটের স্বার্থে রাজ্যের বাঙালি হিন্দুদের ব্যাবহার করছে। বাঙালিদের প্রকৃত উন্নয়ন নিয়ে এদের কোন মাথাব্যথা তো নেইই উল্টে সবসময়ই বাঙালিদের কোনঠাসা করে রাখার পরিকল্পনা চলছে। তিনি বলেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলে এই সরকার বাঙালি হিন্দুদের ভোট নিল কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই বিল বাস্তবায়নে তাঁরা সম্পুর্ন অনাগ্রহী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বললেন যে রাজ্যের সব ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে কিন্তু গোয়ালপাড়ায় তৈরি হল এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প যেখানে আটকে রাখা হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের। তিনি বলেন যে বিদেশি বিতাড়নের জন্য আসু, গনসংগ্রাম পরিষদ আন্দোলন করল, আসাম চুক্তি হল এবং গঠিত হল আসাম চুক্তি রূপায়ন মন্ত্রক তাঁরা আজ পর্যন্ত একজন বিদেশিকেও বিতাড়িত করতে পারেনি। একই ভাবে ১৬০০ কোটি টাকা ব্যায় করে যে এনার্সি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল তারও কোন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে চূড়ান্ত ব্যার্থ এই সরকার। তিনি বলেন একই ভাবে এই ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়াও সুপ্রিম রায়ে আটকে যাবে বলে তাঁরা বিশ্বাসী।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের মূখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য এদিন বলেন যে ডিলিমিটেশনের এই চলতি প্রক্রিয়া বাতিল করে ২০২৬ সালে সারা দেশের সাথে একযোগে আসামে ডিলিমিটেশন করতে হবে। এটা বরাকের গনদাবি। তিনি বলেন গনতন্ত্রে জনগনই শেষ কথা। যদি জনগনের এই দাবিকে নস্যাৎ করে প্রস্তাবিত এই খসড়াকে চূড়ান্ত করার কোন প্রয়াস নেওয়া হয় তবে বরাক বাসী তা কোন অবস্থায় মেনে নেবেননা। এবং সেই ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন এই উপত্যাকার জনগন।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সজল দেবরায়,বাহার আহমেদ চৌধুরী,হৃষীকেশ দে প্রমুখ।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।
কোন মন্তব্য নেই