মণিপুর যেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : মণিপুরে মটার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। ইতিহাস বলছে আদি বারমা প্রদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ মণিপুরে প্রবেশ করেছিল। মণিপুরের আদি বাসিন্দা নয় তারা। প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিন-মায়ানমারের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ব্যাপকহারে পপি গাছের উৎপাদন শুরু করে। সেই গাছের আঠা থেকে প্রক্রিয়াকরণ করে হেরোইন মর্ফিন প্রভৃতি মারাত্মক নেশা জাতীয় দ্রব্য উৎপাদন করে। পপি ফুলের বীজটাই হল পোস্ত। এই নেশা দ্রব্য বিক্রি করে কোটি কোটি ডলার আয় করে। আর সেই ডলার থেকেই বিদেশী অস্ত্রশস্ত্রের জঞ্ঝানি। তাদের ৯৯% কুকি সম্প্রদায়ের ও খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ। তারা জোর করে পপি উৎপাদনের জন্য স্থানীয় পাহাড়গুলোতেই বসবাস শুরু করেছে। মেইতি সম্প্রদায়ের ৫৩% মণিপুরী হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমতলে বাস করতেই বাধ্য হয়েছে। মণিপুরে এই সংঘর্ষের আড়ালে আছে ব্যাপকহারে মাদকদ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র, যা নিয়ে আজ রাজনীতি চলেছে।
কোন মন্তব্য নেই