Header Ads

বরাক 4 সেপ্টেম্বরে black day পালন করবে নাগরিক অধিকার সমন্বয় কমিটি

নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসাম 
( সি আর পি সি সি, আসাম)
-

 নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসামের আহ্বানে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন গুরুত্বপূৰ্ণ সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শিলচরের ইলোরা হেরিটেজ হলে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে অসাংবিধানিক ভাবে তৈরি করা নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বরাক উপত্যকার তিন জেলায় কালো দিবস পালন করা হবে। সংগঠনের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার ভট্টাচার্য সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন যে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরে শিলচরে, ২৫ সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জে ও ৩০ সেপ্টেম্বর হাইলাকান্দিতে ধিক্কার মিছিল সহ বরাক উপত্যকার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে লাগাতার সভা, সমিতির আয়োজন, ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার সাথে যুক্ত হওয়া ও বরাক উপত্যকার তিন জেলার ১৫ জন বিধায়ক ও দু’জন সাংসদকে একটি মুখোমুখি আলোচনায় বসতে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য ও সংগঠনের কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিরঞ্জন দত্তের সভাপতিত্বে পরিচালিত যৌথ সভার শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যখ্যা করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্হ। সংগঠনের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অরুণাংশু ভট্টাচার্য সভার প্রস্তাবনা পাঠ করে আলোচনার সূত্রপাত করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় যে আসাম সরকার রাজ্যের উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির কুচক্রান্তকে বাস্তবায়িত করতে একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। ডিলিমিটেশন আইনের স্বাভাবিক নিয়মে যেখানে ২০২৬ সালে গোটা দেশে এক সাথে জনসংখ্যার নিরিখে বিধানসভা ও লোকসভার সীমানা পুনর্নির্দ্ধারণের কাজ শুরুর উল্লেখ রয়েছে এবং গত ২৩ মাৰ্চ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরণ রিজিজু এই কথাই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ গত মার্চ মাসে ডিলিমিটেশন আইন উলঙ্ঘন করে আসামে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া নিয়ম বহির্ভূত ভাবে শুরু করে দেওয়া হয়। রাজ্যের জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সাথে আলাপ আলোচনা না করেই গত ২০ জুন তড়িঘড়ি করে খসড়া প্রকাশ করে দেওযহয়। এই খসড়ায় বরাক উপত্যকার দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা আসন কমিয়ে দেওয়া সহ সীমানা নির্ধারণে ভৌগোলিক সামঞ্জস্যতা, প্রশাসনিক কাজের সুবিধা ইত্যাদি প্রশ্নকে উপেক্ষা করা হয়। এর প্রতিবাদে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিশিষ্ট নাগরিক সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে স্মারকপত্র প্রদান সহ গত ২০- ২১ জুলাই গুয়াহাটিতে নির্বাচন কমিশনের গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেও নির্বাচন কমিশন এতে কোন গুরুত্ব দেয় নি এমনকি সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীন সময়েও গত ১১ আগষ্ট চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেয়। যে বিজ্ঞপ্তি উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির কুচক্রান্তের বাস্তবায়ন ছাড়া আর কিছু নয়। প্রস্তাবনায় নির্বাচন কমিশনের বিতর্কিত ডিলিমিটেশনের বিজ্ঞপ্তি কোনও অবস্থাতেই মেনে নেয়া হবে তা স্পষ্ট করেই বলা হয়।
প্রস্তাবের সপক্ষে একে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী নেকিব হুসেন চৌধুরী, বদরপুর সুরক্ষা সমিতির পক্ষে মইনুল হক, প্রস্তাবিত ডিলিমিটেশন বিরোধী মঞ্চের পক্ষে বাসুদেব শর্মা, এ জে ওয়াই সি পি এর জেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন লস্কর, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের গৌতম প্রসাদ দত্ত, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি'র পক্ষে অরিন্দম দেব, নাগরিক স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হরিদাস দত্ত, ডিলিমিটেশন বিরোধী সংগ্রামী ঐক্যমঞ্চের পক্ষে সামসুল হক বড়ভূঁইয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের কার্যকরী সভাপতি বিশ্বজিত দাস, আবিসা'র বাহারুল ইসলাম, জমিয়ত ইসলামি এর বদরপুর শাখার পক্ষে প্রাক্তন অধ্যক্ষ হিফজুর রহমান, মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন'র আলতাফ খান, এবসো'র হারাধন দত্ত, ইয়াসি'র সঞ্জীব রায়, এ আই ডি এস ও'র গৌর চন্দ্র দাস প্রমুখ। যৌথ সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সীমান্ত ভট্টাচার্য, সি পি আই (এম) এর জেলা সম্পাদক দুলাল মিত্র, সি পি আই নিতিশ দে, এস ইউ সি আই ( কমিউনিস্ট ) দলের শ্যামদেও কুর্মী, ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক মিহির নন্দী, বি ডি এফ এর হৃষিকেশ দে, সি পি আই (এম এল) লিবারেশন এর জেলা সম্পাদক হায়দর হুসেন চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও সভায় প্রস্তাব প্রদান করেন নির্মল কুমার দাস, সুব্রত চন্দ্র নাথ, ভবতোষ চক্রবর্তী,  হিল্লোল ভট্টাচার্য, মধুসূদন কর, আইনজীবী আব্দুল হাই লস্কর, আলী রাজা ওসমানী, মাধব ঘোষ, নকুল রঞ্জন পাল, খাদেজা বেগম লস্কর, সম্পা দে, গোপাল পাল, প্রভাস চন্দ্র সরকার, পরিমল চক্রবর্তী, চাম্পালাল দাস, দিলীপ নাথ সহ বিশিষ্ট জনেরা। 
সংবাদদাতা 
বিজিত কুমার সিংহ

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.