Header Ads

হিন্দু , শিখ রা দেশ বিভাজন চাননি চাপিয়ে দেওয়া হয় বললেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি:হিন্দু ,শিখ  জনগোষ্ঠীর মানুষ দেশ বিভাজন চাননি  তাদের চাপিয়ে দেওয়া হয়,বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি  বলেন এই বিভাজনের জন্যে মহম্মদ আলী জিন্না এবং মুসলিম লীগ দায়ী।দেশ বিভাজনেরহিন্দুর বলি হয়েও এখনও যারা  বাংলাদেশে এবং পাকি স্থানে রয়ে গেছেন  অবর্ণনীয়  কষ্ট স্বীকার করে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।সেই সব মানুষ এই দেশে আসতে চাইলে সমবেদনার দৃষ্টিতে পরিস্থিতি উপলব্ধি করা উচিত। আজকের দিনটিকে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস হিসাবে বিজেপি দেশ জুড়ে পালন করছে।সেই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মাছ খোয়া আই টি এ বলেন দেশ বিভাজন হিন্দু   শিখ রা মোটেই চাননি  অখণ্ড ভারতের অংশীদার হয়েই থাকতে  চেয়ে ছিলেন ,কিন্তু জিন্না সাদুল্লা ভাসানীর মত নেতারা দেশ বিভাজন চান।দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় পূর্ব বঙ্গে  হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৩৫শতাংশ।এখন মাত্র ৩ শতাংশ তে দাড়িয়েছে।বাংলা দেশ পাকিস্থানে হিন্দুরা ভালো নেই।নির্যাতনের শিকার। জিন্নার আশ্বাস সত্ত্বেও পাকিস্থানে মহিলাদের বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নেই। ধর্ষনের শিকার হতে হচ্ছে। এই দুই দেশ থেকে আগত অধিকাংশ ভারতে নাগরিকত্ত পেয়েছেন।তবে সবাই নয়,বাকি আছে। ভুক্তভোগী উভয় দেশের  অত্যাচারিত হিন্দু  মানুষ আমাদের জন। তাদের আজও  উপযুক্ত  বিচার  দিতে পারিনি।তাদের চোখে আমরা অপরাধী বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দেশ দুটি থেকে আসা মানুষদের প্রতি সহানুভূতি  , দৃষ্টিতে আমাদের  দেখতে হবে ।দেশ বিভাজন ছিল বড় যন্ত্রণার। প্রসঙ্গত আজও  ওপার থেকে আসা পশ্চিমবঙ্গ ,ত্রিপুরা, অসমের লাখ লাখ মানুষ  আমাদের দেশে  রিফিউজি হিসাবে অবহেলা অনাদরের সঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য  হচ্ছেন। অসমের অবস্থা ভয়াবহ  ডিটেনশন ক্যাম্প এ কিছু আছে।যা  ভু ভারতে নেই। জাতীয় নাগরিক পঞ্জী তে নাম কাটা পড়েছে প্রায় ১৩,লাখ বাঙালি হিন্দুর।যাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।  নাগরিক পঞ্জি র তালিকা আজ পযন্ত চূড়ান্ত হয়নি। ৫৫,হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৫৬হাজার সরকারি  কর্মীকে কে কাজে  লাগিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়। এই কাজে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি হয়েছে।    ক্যাগ এর প্রতিবেদনে এই বিশাল দুর্নীতি প্রকাশ করেছে। দেশ   বিভাজনের বলি হয়েছে বাঙালি রা  এই বাঙালি  দের মেরুদন্ড ভেঙে   ,দেওয়া হয়েছে।আজ দেশ ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। যেদেশে এক বৃহৎ  সংখ্যক মানুষ নাগরিকের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত সেই  দেশ সুখের দেশ নয়। দুর্বল মেরুদণ্ডের দেশ।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.