সালোকসংশ্লেষ কমছে ,অরণ্যে উষ্ণায়ন আতংক
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি,কলকাতা ::ঘনিয়ে আসছে ভীষণ বিপদ বাতাস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নিতে পারছে না গাছেরা।অক্সিজেন ও ফিরিয়ে দিতে পারছে না।এর পরিণাম মৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে জীব কুল। গাছের পাতা ঝরে পড়ছে সবুজ কমছে।বিজ্ঞানীদের সতর্কবাণী সালক সংক্লেশ কমতে শুরু করেছে।উষ্ণায়নের জেরে প্রাণ হারাচ্ছে ক্রান্তীয় অরণ্য।এই অরণ্য পৃথিবীর ফুসফুস।এরা বাতাস থেকে বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস শুষে নেয় অক্সিজেন ফিরিয়ে দেয় পৃথিবীকে। প্রকৃতি সবুজ থাকে।তাই হচ্ছে ফটো সিনথেসিস বা সালোক সংশ্লেষ। দাবানল বেপরোয়া ভাবে অরণ্য নিধন, বুনো প্রাণী হত্যা , বন্যা, খরা ,অতিবৃষ্টি , ভূমিকম্প তারই পরিণতি তাপ প্রবাহ বৃদ্ধি। বিশ্ব জুড়ে উষ্ণায়ন।বিশ্বের নামি নেচার পত্রিকা তে দাবি করা হয়েছে তাপ মাত্রা বাড়তেই থাকবে।বিপদ সীমা ছড়াচ্ছে।এর পর গাছেরা সলোক সংশ্লেষ ক্ষমতা হারাচ্ছে বিপদ ঘরে পৌঁছিয়েছে। সলক সংশ্লেষ কমলে বাতাসে অক্সিজেন ফিরিয়ে দেওয়া কমবে। ফলে বাস্তু তন্ত্র ভেঙে পড়বে। কার্বন ডাইঅক্সাইড, জল ও সূর্য্য লোক মিলিয়ে যে রেসিপি তৈরি করে গাছেরা খায়,তাই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। যত তাপ বাড়বে ,অক্সিজেন পরিমাণ কমবে।সবুজ ধংস হবে। কার্বন ডাইঅক্সাইড বিষ ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না। এর পরেও কি মানুষ সচেতন হচ্ছে? এ সি রুম ও নিরাপদ নয়। কার্বন বিষ ঢুকবে।দেশের ৯০শতাংশ নদীর হল বিষাক্ত , গঙ্গা যমুনা ব্রহ্মপুত্র সহ দেশের সব বড় নদনদী র জল দূষিত হয়ে গেছে।সব জঙ্গল প্রায় নির্মূল হতে চলেছে। সবুজ পাহাড় প্রকৃতি জলা জঙ্গল কার্বন বিষে দূষিত হয়ে গেছে।ঠান্ডা বাতাস পাচ্ছে না নিশ্বাস নিতে পারছে না প্রকৃতি। বিশ্বের বিশাল আমাজন ফরেস্ট পৃথিবীর প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষকে অক্সিজেন যোগায়,সেই বিশাল জঙ্গল ধংস চলছে, ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে অরণ্য। মানুষ এই বিপদ সম্পর্কে সচতন নয়। এক ফোঁটা জলের জন্যে হাহাকার। মাটির নিচে জল হ্রাস পাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই