Header Ads

গাছেরা কাঁদে, কষ্ট পায় বিজ্ঞানীরা প্রমাণ রেকর্ড করেছে, রিক্ত মানুষের শেষ অবলম্বন গাছ

তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক
গবেষনায় অবিশ্বাস্য তথ্য উঠে এলো! 
কষ্ট পেলে কাঁদে গাছও, বিজ্ঞানীরা 
রেকর্ড করলেন নিজেরা গাছের 
কান্নার সেই চিৎকার শব্দ!

বিজ্ঞানীদের মতে, আসলে গাছেরা এই ধরনের শব্দ করে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে৷ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতেই অন্য প্রাণি বা প্রতিবেশী উদ্ভিদদের এই বার্তা দিতে চায়, সতর্ক করতে চায় অসুস্থ, মৃতপ্রায় গাছ৷

ধরুন আপনার হাত ধারাল কোনও জিনিসে ফালা হয়ে গেছে, অথবা, কোথাও হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন, হাঁটু এক্কেবারে রক্তাক্ত৷ ছোট হলে নিশ্চই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসত, কিংবা হয়ত চিৎকার করে কেঁদেই ফেলতেন৷ বড় বলে এখন পারেন না৷ কিন্তু, জানেন কি, গাছের আঘাত লাগলে, গাছ কষ্টে থাকলে, ওরাও চিৎকার করে কাঁদে? সাহায্যের জন্য আকুতি জানায়?

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে অবাক করা এক তথ্য৷ তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের পরীক্ষালব্ধ ফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘সেল’ পত্রিকায়
 
সেখানেই গবেষকের রেকর্ড করেছেন গাছেদের কান্নার সেই শব্দ৷ গাছেদের কান্না রেকর্ড করার দৃষ্টান্ত বিজ্ঞানে এই প্রথম।

গাছেদের উপর  পরীক্ষা চালিয়েছেন ওই গবেষকেরা৷ সেখানে দেখা গিয়েছে যে কোনও সুস্থ গাছ সাধারণত ঘণ্টায় ১ বার ‘ক্লিক’ বা ‘পপ’ জাতীয় শব্দ করে৷ তবে পুরোটাই আলট্রাসোনিক সাউন্ড৷ তাই মানুষের কান তা শুনতে পায় না৷ গাছেদের করা শব্দ রেকর্ড করার জন্যে গবেষকেরা বিশেষ ধরনের আলট্রাসোনিক সাউন্ড রেকর্ডার ব্যবহার করেছেন৷ কিন্তু, এখানেই শেষ নয়৷

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, গাছগুলিকে টানা ২ দিন জল না দিয়ে রেখে দেওয়ার পরে, অথবা তার কোনও ডাল ছেঁটে ফেলা হলে দেখা গিয়েছে গাছটি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ বার ‘ক্লিক’ বা ‘পপ’ জাতীয় শব্দ করেছে৷ সবচেয়ে বেশি শব্দ করেছে চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে৷ তারপর গাছটি আসতে আসতে মরে যেতে শুরু �( শবরী চৌধরী, ব্যাঙ্গালোর   সৌজন্যে প্রাপ্ত) প্রসঙ্গত ভারতের বিজ্ঞানী জগদীশ বসু প্রমাণ কর গেছেন গাছেদের প্রাণ আছে। এই গাছেদের প্রতি বর্তমান প্রজন্ম র কোনো ভালবাসা নেই, আছে শুধু  অবহেলা আর অনাদর।গাছ  অক্সিজেন দেয় , বৃষ্টি দেয়  ,গাছ ছাড়া প্রাণ বাঁচে না।গাছের অপর নাম জীবন।সেই জীবন কে অস্বীকার করে মানুষ , মানুষ কে আজ ভোগ বিলাস আত্ম কেন্দ্রিক মানসিকতা  গ্রাস করেছে।গাছ  কেটে ধংস  করা হচ্ছে , বৃষ্টি নেই ,গরম বৃদ্ধি পেয়েছে।গাছ অক্সিজেন ,বাতাস দেয় জল    ঠান্ডা বাতাস সজীব মাটি সব দেয়   গাছেদের জন্যে আর মানুষের প্রাণ কাঁদে না, এই সমাজ  লাগাম ছাড়া  আর দুর্নীতি অবক্ষয় এর চূড়ান্ত  সীমায় পৌঁছিয়ে গেছে এই মানুষ কে কেউ বাঁচাতে পারবে না  ,অন্য গ্রহ থেকে যদি এমন কোনো জীব এসে বাঁচাতে পারে। এই  নিস্ব রিক্ত মানুষের  শেষ অবলম্বন ছিল আমাদের অবহেলা অনাদরের গাছ। তাও আজ   শেষের পথে।, ( সম্পাদক অমল গুপ্তের সংযোজন)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.