৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ভাবনা, দেশে মাথা পিছু ২৮টি গাছ গ্রীনল্যান্ড এ ৪৯৬৪টি,গাছ
অমল গুপ্ত ,কলকাতা ৫জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস নিয়ে সারা বিশ্বে উদযাপন করা হয়।পরিবেশ প্রকৃতি নদনদী প্রাণী জগৎ রক্ষার অঙ্গীকার করা হয় এই দিনে। দেশের পরিবেশ চিত্র ভয়ানক খারাপ।দেশের পাহাড় প্রকৃতি নদনদী মাটির নিচে জল ভান্ডার দ্রুত ফুরুচ্ছে। আমাদের দেশের চরিত্র নেই।চরিত্র হীন মানুষের হাতে দেশের পরিবেশ সুরক্ষিত থাকতে পারে না। দেশ প্রেম না থাকা মানুষের হাতে প্রতিদিন জঙ্গল নিধন হচ্ছে।পশুপাখি নিধন চলছে। দেশের পবিত্র নদী গঙ্গা আজ দূষিত নদী,২৫১০,কিলোমিটার নদীতে বারাণসীর মর্নিকনিকা ঘাটে প্রতিদিন গড়ে ১০০টি করে মৃতদেহ পোড়ানো হয়। করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মৃত দেহ গঙ্গা তে ফেলা হয়েছে
।কানপুরের জুতো কারখানার বিষাক্ত আবর্জনা গঙ্গা তে ফেলা হয়। গঙ্গা আজ পবিত্র নদী নয়।ব্রহ্মপুত্র সহ হিমালয়ের রেঞ্জ থেকে উৎপত্তি এই সব নদীর জল আর্সেনিক বিষে ভরে গেছে।দেশের ৪৫টি ছোট বড় নদী আজ দূষিত।সরকারি রিপোর্ট সেই দাবি করেছে। সাগর তো বিশ্বের বড় ডাস্ট বিনে পরিণত হয়েছে।লাখ লাখ তিমি মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। কোটি কোটি প্লাস্টিক তেল ওইআবর্জনা মিশছে জলে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৪০,শতাংশ মানুষ ভয়ানক জল সংকটে ভুগবে। নীতি aayog সেই সতর্কবার্তা দিয়েছে।দেশের জঙ্গল শেষের পথে।ভারতে প্রতি মানুষ পিছু ২৮টি গাছ আছে। ছোট্ট দেশ গ্রীনল্যান্ড a আছে ৪৯৬৫,টি করে গাছ।এই দেশে গাছ রোপণ করা হয় না কাটা হয়।আর রোপন করা গাছের ৭০শতাংশ মরে যায়। একটু জল আর সেবার অভাবে মারা যায়।জাতীয় সড়কের পাশে কোটি কোটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।জাতীয় প্রকল্প নির্মাণের নামে কোটি কোটি গাছ কাঁটা পড়েছে। যোশী মঠ আজ ধ্বস এর কবলে সব গাছ কেটে ফেলার কারণে। গাছ নেই তাই বৃষ্টি নেই।মেঘ নামে না।পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে।গত দশ দিনে রাজস্থানের মরু সহর বৃষ্টিতে ডুবছে। বঙ্গ ,অসম মেঘালয় ত্রিপুরা প্রচণ্ড তাপ প্রবাহ র কবলে পড়েছে।৪০ডিগ্রি সেলশিয়াস গরমে পুড়ছে মানুষ।খাল বিল জলাশয় নদনদী সব শুকিয়ে যার্চ্ছে, পাহাড় প্রকৃতি সব সব শেষের পথে।দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর নির্বাচনী ইশতহারে পরিবেশ স্থান পাই না।বৃষ্টির জল সংরক্ষণ হয় না।মানুষ আজ ঘুমচ্ছে। বন্দে ভারত, বুলেট ট্রেন নিয়ে ভারত আনন্দে মাতোয়ারা,নতুন সংসদ ভবন নিয়ে চলছে উচ্ছাস। কিন্তু
পিছনে দরজা তে টুকি মারছে পরিবেশের মৃত্য দূত। জীবনের কলতান শুকিয়ে গেছে। শিহরে বিপদ মানুষ আজ ও বুঝে উঠতে পারছে না।আগামী কি ভয়ঙ্কর দিন আসছে। এবার পরিবেশ দিবসে target প্লাস্টিক দূষণ রোধ করুন দেশ বাঁচান , যে বিশ্বে 50. শতাংশ প্লাস্টিক জমা হচ্ছে. নদ নদী আকাশ বাতাস এর মিশছে।শ্বাস প্রশ্বাস ঢুকে পড়ছে।গভীর সমুদ্রে তিমি মাছের পেটে ,আর মানুষের মস্তিষ্কে প্লাস্টিকের মাইক্রো কনা প্রবেশ করছে। ক্যানসার। ,শ্বাস প্রশ্বাস হাপানি র মত রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিপদ ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে দেশ কে রক্ষা করার কেউ নেই।সরকারি ধক্কা নিনাদ আছে। ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ জল আছে আজ গুয়াহাটি মত মহানগরে মানুষ এক ফোঁটা জল পাচ্ছে না। বিধান সভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দইমারি বলেছেন "লোড শেডিং হলে গাছের তলায় বসুন ,ফ্যান চালাবেন না*। মানুষের দুর্বিষহ জীবন নিয়ে চূড়ান্ত উপহাস। অসমে জঙ্গল জীব জগত রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় অধ্যক্ষ কিছু করুন.
বাংলা খবরের কাগজে আজকে হেড লাইন মৃত্যু ট্রেন করো মণ্ডল এক্সপ্রেস যাত্রীদের মরদেহ মর্গে ফ্রিজার নেই, মরদেহ পচে যাচ্ছে।এই আমাদের ভারত বর্ষ।আমাদের জন্মভূমি।
কোন মন্তব্য নেই