শিলং এ উত্তর পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যে স ভার সফল অধিবেশন
নয়া ঠাহর শিলং। :*১৯ শে* মে,২০২৩ শুক্রবার মেঘালয়ের রাজধানী শৈল শহর শিলংয়ে *রিলবং হিন্দু ধর্মসভা মিলনায়তনে* সকাল ১১ টা থেকে *উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভার* দ্বারা আয়োজিত এবং *মেঘালয় বাঙালি সমাজ* -এর সহযোগিতায় এক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। অধিবেশনের মূল বিষয় ছিল : ' *আমার ভাষা , আমার পরিচয় , ১৯শে স্মরণ' ।*
.......................
অধিবেশন চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল! *প্রারম্ভিক অধিবেশনে* *রিলবং স্পোর্টস এন্ড কালচারাল ক্লাবের Women's Wing এর অধ্যক্ষা শ্রীমতী রীতা ঘোষ* এই অভূতপূর্ব মহতী সম্মেলনের প্রশংসা করে আজকের অনুষ্ঠানের *সভাপতি পদ্মশ্রী মানস চৌধুরীকে* আসন গ্রহণ করে স্বাগত ভাষণ দিতে অনুরোধ জানালেন।
সভাপতি অত্যন্ত সাবলীলতায় উত্তর-পূর্ব ভারতের বাংলা সাহিত্যসভার সভাধ্যক্ষ *শ্রী কমল দত্ত* মহাশয় , আসামের বিধায়ক *শ্রী কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ* সহ আরো ক'জন গণ্য-মান্য ব্যক্তিকে উল্লেখ করে , সভাকক্ষে উপস্থিত সকলকে সবিশেষ আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানালেন।
এবার উপস্থিত সভাবৃন্দের দ্বারা ভাব গম্ভীর পরিবেশে সম্পন্ন হলো শহীদ তর্পণ!আত্মবলিদানকারী অমর শহিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পালন করা হলো এক মিনিটের নীরবতা।
উত্তর-পূর্ব বাংলা সাহিত্যসভার প্রয়াত প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি *স্বর্গত শ্যামল রায়* এর বিদেহী আত্মার শান্তিকামনায় পালন করা হয় মৌনতা।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বিস্তারিত ভাবে উত্তর-পূর্ব তথা শিলংয়ের বাঙালিদের দুর্দশার কারণ হিসেবে দেখালেন,বিভিন্ন প্রদেশের বাংলাভাষীদের সাথে ভাবগত দূরত্ব! সকল সমস্যাই হয়ে উঠেছে স্থানীয় সমস্যা ! এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন যে ,*একই দুর্দশার শিকার বিভিন্ন স্থানের বাঙালিদের আলিঙ্গন করে, জোটবদ্ধ হয়ে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে।* তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন যে ,১৯৬০ এর ২রা জুলাই অবিভক্ত আসামের পার্বত্য নেতারা সেই আন্দোলনে বাঙালিদের সাথে যোগদান করেছিল । কিন্ত আজ ৬২ বছর পর আমরা ওদের উন্নতি লক্ষ করি আর নিজেদের অবনতির জন্যে অসহায়তা অনুভব করি। প্রায় প্রত্যেক উপজাতি,জনজাতি পেয়েছে তাদের রাজ্য, কিন্তু আমরা কি পেলাম ..এই বক্তব্য দিয়ে ইতি টানেন।
..........................
এরপর, আসামের *টংলাস্থিত 'যোগানন্দ সংগীত- নৃত্য মহাবিদ্যালয়* '-এর ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা পরিবেশিত হলো মনোগ্রাহী দেশাত্ববোধক গান এবং নাচ।
সঞ্চালিকা এবারে আহ্বান জানালেন *কার্যকরী সভাপতি শ্রী কমল দত্ত* মহাশয়কে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা দেবার জন্য।
অতিথি পরিচিতির পর *শ্রী সঞ্জয় সাহা* (সাধারণ সম্পাদক, সাহিত্য সভা) সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বললেন, আসামে হয় বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয় সমূহ একেবারেই নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে অথবা রূপান্তরিত করা হচ্ছে অসমিয়া মাধ্যমের বিদ্যালয়ে।
এই সংস্থার মাধ্যমে উত্তরোত্তর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীদের , বাঙালিদের ভাষাগত , রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধে দেবার জন্য , কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই ফলপ্রসূ হলো না ।
তিনি আর্তি জানিয়ে বললেন যেনো এ ব্যাপারে জোরদার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
*আলোচনা চক্রের প্রথম অধিবেশন।*
*সভামুখ্য পদ্মশ্রী মানস চৌধুরী* প্রথম ও দ্বিতীয় , এই দুটি অধিবেশনকে এক করে সভার কার্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রাখলেন এবং সমর্থিত হলেন।অধিবেশনের বিষয়
*'ভাষা শহিদ দিবসের বর্তমান তাৎপর্য '* সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবার জন্য আহ্বান করা হলো , ত্রিপুরার ধর্মনগর থেকে আগত , শিক্ষক এবং লেখক *শ্রী জ্যোতির্ময় রায়কে।* তিনি বিধায়ক ' *শ্রী কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে*' তাঁর স্বজাতি প্রেম ও অধিকার নিয়ে সদাই সরব থাকার জন্য অভিনন্দিত করেন। বলেন, *১৯৬০ এর বরাক উপত্যকা* র ইতিহাস আমাদের মনে আলোড়ন জাগায়, তাই , এতো বছর পরেও আমরা প্রদীপ প্রজ্বলন করে , নৃত্য-গীতে সমৃদ্ধ আনুষ্ঠানের আয়োজন করি কিন্তু আমরা যারা নিজেদের ' সুনাগরিক' বলি , আমাদের আজ আত্ম- জিজ্ঞাসার দিন , আত্মবিশ্লেষণের দিন। নিজেদের ভাষা- সংস্কৃতি রক্ষায় সকল জনজাতি নিজেদের আখের গোছালো আর আমরা কিছুই করে উঠতে পারলাম না ! উদাহরণ দিয়ে বললেন, গোয়ালপাড়ায় ৩০৬টি বাংলা স্কুল ছিল, বর্তমানে টিকে আছে মাত্র ৩ টি !
শেষ বক্তব্যে বললেন যে আমরা নিজের মাতৃভাষাকে ভালোবাসবো এবং অন্য ভাষাকে ও শ্রদ্ধা করবো।
অনতিবিলম্বে শুরু হলো যৌথভাবে *দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অধিবেশন* । *বিষয় : উত্তর-পূর্ব ভারতে বাংলাভাষা সং রক্ষণ করার প্রতিবন্ধকতা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বাঙালিদের পরিচিতি নিয়ে জটিলতা ।*
সভামুখ্য হিসেবে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ,শিলংয়ের সম্পাদক *শ্রী ধনঞ্জয় চক্রবর্তী* আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য *ড: জয়ন্তভূষণ ভট্টাচার্য* কে তাঁর বক্তব্য রাখতে আহ্বান জানান।
ড: ভট্টাচার্য উল্লেখ করেন আজ পরিচিতির ব্যাপার নয় , আজ আমাদের অস্তিত্বের সংকট। আজও ১৯শে মে সমান প্রাসঙ্গিক। তিনি স্মরণ করান যে তদানীন্তন গৃহমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ১৯শে মের দুর্ঘটনার পর আসামে ছুটে এসেছিলেন। সমস্যা সমাধানের যে সুত্রটি দিলেন, তার নাম ' শাস্ত্রী ফরমূলা ' যা অসমিয়া- বাঙালি , কারো কাছেই প্রীতিকর হয়নি। তবে তাঁর আশ্বাস বানী এই , যে .. আজ আলোচনার মাধ্যমেই আমাদের সমস্যার সমাধান উঠে আসবে। দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমদের যখন শুনতে হয় যে শিলংয়ের সকল বাঙালি ই 'বাংলাদেশী' ; শুনি , Bengalis are not indigenous " তখনও শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমরা কেনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করি না। কিন্তু একথা অনস্বীকার্য যে আমরা এ অঞ্চলের বাসিন্দা। সকলেই অবহিত আছেন যে শ্রীহট্ট আসামের অঙ্গ ছিল। আরো বলেন যে বিধায়ক কমলাক্ষ কে আজকের দিনে পেয়ে সকলেই খুশী । বিধায়ক একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের , তবে এই সংগঠন রাজনীতির পক্ষপাতি নয়। ড: ভট্টাচার্য সকল বক্তাকে অনুরোধ করেন কোনো রাজনৈতিক কোণ থেকে বক্তব্য না রাখার জন্যে। উপস্থিত সকলেই অভিজ্ঞ এবং জ্ঞানী।বলেন, বিভেদ ভুলে যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে পারি , তবেই যারা প্রাণ দিলেন , তাদের সম্মান দিতে পারবো। আজ মুক্ত আলোচনায় সকলকে সংক্ষিপ্ত ভাষন রাখার , যার যার নিজস্ব স্থান থেকেই মাইকের সাহায্যে বক্তব্য রাখার এবং পুণরাবৃত্তি এড়িয়ে চলার অনুরোধ রেখে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
তারপর
কমলবাবু প্রস্তাব রাখলেন , দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধিবেশনকে যেনো জুড়ে দেওয়া হয় এবং সর্বশেষ সেশন আলাদা ভাবে রাখা হয়।। *সভাপতি এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।এরপর সভামুখ্য মুক্ত আলোচনা'র আহ্বান জানলে।*
শিলচর থেকে আগত *শ্রী মিহির নন্দী* বলেন ' *১৯শে এবং ২১শে'* এখনো যারা সঠিক ভাবে জানেন না , তাদের জেনে নিতে হবে ।আমাদের অঙ্গীকার হউক আগ্রাসনের রাজনীতি থেকে আমাদের মাতৃভাষাকে বাঁচানো। তিনি *পদ্মশ্রী মানস চৌধুরীর* এই সংস্থা গঠন করার উদ্যোগকে প্রশংসা করে প্রস্তাব রাখেন যেনো প্রতি বছরই ১৯শে স্মরণে সকল উ:পূ রাজ্যের বাংলাভাষীদের একত্রিত করে সকলের সমস্যা এক জায়গাতে করে সমাধান করা হয়।
*সভার সভাধ্যক্ষ পদ্মশ্রী মানস চৌধুরী উপস্হিত সকল সদস্যদের নিজ জায়গা থেকে এক এক করে বক্তব্য রাখার আর্জি জানান।*
*বক্তব্য রাখেন:-*
*শ্রীমতী মালবিকা বিশারদ* বাঙালির অস্তিত্ব সংকটের কথা বললেন এবং শিলংয়ে যে পরবর্তী প্রজন্ম কেউ থাকবে না, সেই আশঙ্কা ব্যক্ত করলেন।
গুয়াহাটি থেকে আগত *শ্রী সুভ্রাংশু দেব* ( retired from Indian Revenue Service ) বলেন আমাদের অধিকারের কথা, মর্যাদার কথা ; আমাদের সংবিধান কে ভিত্তি করেই অধিকার লাভের কথায় তিনি জোর দেন।
নাগাল্যাণ্ড থেকে আগত *শ্রী বিষ্ণু ভট্টাচার্য* অত্যন্ত ক্ষোভের সংঙে তাঁর বক্তব্য রেখে বললেন যে তিনি রবাহুত ; এসেছেন জানাতে যে ২০ মে থেকে নাগাল্যাণ্ডে জারি হচ্ছে I.L.P ! প্রায় ৭০,০০০ বাংলাভাষী এবার হবে ঘরছাড়া ! আমরা উত্তর-পূর্বের বাঙালিরা ' Stateless' .. সভার কাছে তাঁর প্রশ্ন " আমরা কেন জনগণ গাই" , কেন নাগাল্যাণ্ড থেকে একজন ও ডাক্তারী পড়তে যায় না ... এসকল বিষয়ে চিন্তার খোরাক দিয়ে তিনি বক্তব্যের ইতি টানেন।
*শ্রী কেশব দাস* (আসাম) বললেন উনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে চলবেন । তিনি হতাশ হয়ে বলেন , মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এমন কি প্রধানমন্ত্রীকে ও বহুবার আমাদের অবস্থার অবগতির জন্যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে , কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আসামের সংসদে ১০জন বাঙালিদের প্রতিনিধি আছেন, একজন ও আমাদের হয়ে কোনো উচ্চ-বাচ্য করেন না।
*শ্রী বিকাশ পাল চৌধুরীর* জিজ্ঞাস্য আমাদের খামতি ( drawback) কোথায় এবং আমরা সামগ্রিক ভাবে কি করতে পারি , এই বিষয়ে যেন আলোকপাত হয়।
নাগাল্যাণ্ড থেকে আগত বাংলার শিক্ষক *শ্রী দিলীপ দাস* বলেন , বাংলাভাষার এই পরিণতির জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। সকলের ছেলে-মেয়েরাই ইংরেজী মাধ্যমে পড়েছে বা পড়ছে । ওরা বাংলা জানে না। তিনি বলেন , উত্তরণের পথ একটিই ... আমাদের পণ নিতে হবে যে ..ছেলে-মেয়েরা " ইংরেজী পড়বে..সংগে বাংলা ও পড়বে।
শিলংয়ের *শ্রী জয়ন্ত লাল দাস* এর বক্তব্যের সারাংশ হলো , আমাদের জোটবদ্ধ হয়ে এগোতে হবে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে এবং এই সংস্থার একটি সংবিধান তৈরী করতে হবে ।
শিলং এর *ড: সমরকান্তি চট্টোপাধ্যায়* আশ্বাস দিয়ে বলেন ভাষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমেই আমাদের শিকড়
শক্ত হবে এবং সমাধান এসকল আলোচনার মাধ্যমে বের হয়ে আসবে।
*শ্রী নীহার কুমার দেবনাথ* অত্যন্ত রাগে -দুঃখে তাঁর হতাশার প্রকাশ করে বলেন যে বহুদূর থেকে আসা প্রত্যেক কেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিস্তারিত ভাবে অভিযোগ গুলি বলার সুযোগ দেওয়া উচিত।
প্রত্যুত্তরে সভার সভাধ্যক্ষ *পদ্মশ্রী মানস চৌধুরী* তাঁর উষ্মা প্রশমিত করতে বলেন সময়াভাবের কারণেই সম্মানীয় প্রতিনিধিদের নিজস্ব স্থানে থেকে মাইকে বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বার বার মঞ্চে ওঠা-নামার সময় বাঁচানোর জন্যেই নেয়া হয়েছে।
এরপর , বাংলাদেশ থেকে আগত *শেখ রেজাউদ্দিন* বললেন যে বাংলাদেশ ভাষাকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা লাভ করেছে। ৭%,লোক ৫৬% লোকের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করাতেই প্রথমে বিক্ষোভ দিয়ে শুরু হয়, যুদ্ধ দিয়ে শেষ হলো। শেষ কথা তাঁর, " বাংলা সবার মুখে থাকুক। "
এবারে সভামূখ্য *শ্রী ধনঞ্জয় চক্রবর্তী* এই যৌথসভার ইতি টেনে বলেন যে মেঘালয়ে বাংলাভাষীদের সংখ্যা খাসি , জয়ন্তিয়া , গারো ভাষীদের পর চতুর্থ স্থানে আছে। কিন্তু বাংলা নিয়ে পড়ছে এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বহুলাংশে কমে যাচ্ছে। কয়েক বৎসরের মধ্যে বাংলা বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক দিচ্ছে , এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা *৩০০০* থেকে কমে গিয়ে *৩৫০* এ নেমে এসেছে। এই প্রস্তাব রেখে উনি সমাপণ করেন যে এক ছত্রছায়ায় এসে , বিচার ব্যবস্থার সাথে বোঝাপড়া করেই আমাদের ভবিষ্যত পন্থা নির্ধারণ করতে হবে।
সভাতে এবার একটি সমন্বয় উপ সমিতি গঠন করবার প্রস্তাব দিলেন আসামের বিধায়ক।
সভাসদস্যরা ড: জয়ন্তভূষণ ভট্টাচার্য, পদ্মশ্রী মানস চৌধুরী সহ সর্বমোট একুশ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রত্যেক রাজ্য থেকে সদস্য নিযুক্ত করার ভার শ্রী চৌধুরীর ওপর ন্যস্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইন আলোচনার মাধ্যমে নাম তালিকাভুক্ত করা হবে।
সভামূখ্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়ে সভা ভঙ্গ করেন।
(সভার বিবরণী নিপুণ ভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন শ্রীমতী সুদিপ্তা ভট্টাচার্য, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল নিউ কলোনি বেঙ্গলী গার্স হাইস্কুল, শিলং)
কোন মন্তব্য নেই