রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাব শিষ্য অমিত শাহের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের উপর জোর
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, কলকাতা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একজন প্রকৃত শিষ্য হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কারণ তিনি রবি ঠাকুরের দর্শন, শিক্ষা ও রাজনীতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাসী। এমনকি তিনি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তাঁর পথপ্রদর্শক হিসেবেও মেনে চলেন।
রাজনীতি, সামাজিক জীবন, শিল্প এবং স্বদেশপ্রেমের জন্য রবি ঠাকুরের মুক্ত চিন্তা তাঁকে বার বার অনুপ্রাণিত করেছে। অমিত শাহ রবীন্দ্র লেখনীর একজন প্রকৃত ভক্ত। তাঁর লেখনির মাধ্যমে এমন এক মুক্তু বিচারধারা ফুটে ওঠে, যা এখন পাওয়া যায় না। গুরুদেবের চিন্তা ভাবনাকে নিজের পথ প্রদর্শক হিসাবে দেখে এসেছেন অমিত শাহ। তাঁর মুক্ত চিন্তা ভাবনায় বারবার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
মহান কবি ও দার্শনিকের লেখা থেকে উদ্ভূত রবীন্দ্রনাথের প্রতি শাহের শ্রদ্ধা এতটাই যে, মহান ব্যক্তিত্ব বর্ণনা করার জন্য ‘মহামানব’ শব্দটি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারাকে গ্রহণ করে যা সত্যিকারের চেতনায় মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদানের উপর জোর দিয়েছিল, অমিত শাহ জোর দিয়েছিলেন যে জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি)রবি ঠাকুরের সেই দর্শনের আদলে তৈরি করা হবে। যা মূলত একটি শিশুর চিন্তাভাবনা এবং গবেষণা ও অন্বেষণের ক্ষমতাকে তুলে ধরতে সহায়তা করবে।
এপ্রশঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বদা মাতৃভাষায় শিক্ষার উপর খুব জোর দিয়েছেন। একটি শিশু যদি তার মাতৃভাষায় কথা বলতে না পারে তবে তার চিন্তাভাবনা এবং গবেষণার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় প্রণীত নতুন শিক্ষানীতি গুরুদেবের চিন্তাধারা গ্রহন করা হয়েছে এবং মাতৃভাষায় শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বাস করতেন যে বিদেশী শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে মহিমান্বিত করা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার এই নতুন ধারণাটি তুলে ধরেছিলেন শিক্ষার বিপরীতে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা। এগুলই এনইপিতে অনুরণিত হয়।
শান্তিনিকেতনে আধুনিক শিক্ষার কৌশলগুলির সাথে প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থাকে একীভূত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতৃভাষায় শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রেরণা যুগিয়েছিলেন তিনি। রবি ঠাকুর জানতেন যে কেউ তার মাতৃভাষা ছাড়া তার অভ্যন্তরীণ আত্মাকে অন্বেষণ করতে পারে না। মাতৃভাষায় শিক্ষার উপর শাহের জোর রবি ঠাকুরের শিক্ষা থেকেই অনুপ্রানিত।
বাংলার জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথ কীভাবে সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনাকে এত বাকপটুভাবে প্রকাশ করতে পারেন তা জেনে শাহ বরাবর বিস্মিত হন।
শাহ বিশ্বাস করেন, রবীন্দ্রনাথপ্রকৃত অর্থে একজন বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং শুধুমাত্র ভারতে শিল্পে নয়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখেছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই