ইটখোলা তে সংস্কৃত টোলের জমি তে বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করা জমিতে চুপিসারে সার্কেল অফিস
নয়া ঠাহর :ইটখোলায় সংস্কৃত টোলের জমি নিয়ে বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহ নির্মানের পর চুপিসারে এটিকে সার্কল অফিসে রূপান্তরিত করেছে জেলা প্রশাসন- প্রতিবাদে সরব হল বিডিএফ।
জেলা প্রশাসনের আবেদনের ভিত্তিতে ইটখোলায় একটি প্রাচীন সংস্কৃত টোলের এক বিঘা জমি বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহ বানানোর উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন টোলের প্রধান শিক্ষক। এরপর প্রশাশনের উদ্যোগে এই প্রেক্ষাগৃহের কাজ শেষও করা হয়। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে হটাৎ করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এই দালানকে সার্কল অফিসে রূপান্তরিত করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সমগ্র ঘটনাক্রম নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
এক প্রেস বার্তায় প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে সংস্কৃত টোলের কাজকর্ম বর্তমানে সীমিত থাকলেও এই টোলের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ আদিভাষা হিসেবে সংস্কৃত এখনও আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। এই টোলের শিক্ষকের সাথে আলাপের মাধ্যমে তিনি জেনেছেন যে যখন এই জমিতে বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহ নির্মানের প্রস্তাব দেওয়া হয় তখন শিক্ষক তাঁতে আপত্তি করেননি কারণ বিবেকানন্দকে তিনি সংস্কৃত শিক্ষা তথা হিন্দু ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। তাই সেই মর্মে তার তরফে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' তিনি অনতিবিলম্বে জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কি করে এখানে সার্কল অফিসের কাজ শুরু করা হল সে ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই এটা পরিষ্কার যে তাঁকে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুরো অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে যা পুরোপুরি অনৈতিক।
প্রদীপ বাবু এদিন বলেন যে এখানে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হবে জেনে তিনিও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলেন কারণ তাতে সমগ্র উত্তর শিলচরের সাংস্কৃতিক সংগঠকদের সুবিধা হতো ও এলাকার সংস্কৃতি চর্চায় জোয়ার আসত । কিন্তু হঠাৎ করে জেলা প্রশাসনের এমন হটকারী সিদ্ধান্তে তিনিও আশ্চর্য হয়েছেন এবং তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি বলেন অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে এই পূর্ব নির্ধারিত ও নির্মিত দালানগৃহকে 'বিবেকানন্দ প্রেক্ষাগৃহ' হিসেবে জনগণের স্বার্থে উন্মোচিত করুক প্রশাসন ।কারণ সার্কল অফিসে রুপান্তর করতে গিয়ে এতে প্রকারান্তরে স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন বিজেপি দল বা আরএসএস, বজরং দল,বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংস্থা যারা সবসময় হিন্দুত্বের ধুয়ো তুলেন তাঁরা এভাবে বিবেকানন্দের অপমান মেনে নিচ্ছেন কি করে ! তিনি তাঁদের সবাইকে এই ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে যদি জেলা প্রশাসন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করার পরিকল্পনা করে তবে এ নিয়ে আন্দোলনে নামবে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।
কোন মন্তব্য নেই