Header Ads

বাঙলার গর্বের জায়গা কফি হাউস নয় অন্য কিছু

বাংলার গর্বের জায়গা কফি হাউজ নয়। 

বাংলার গর্বের জায়গা কোনটা জানেন? 

যে বাড়িতে বসে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র একটা ব্যবসাবিমুখ জাতিকে লক্ষ্মী আরাধনা করার জন্য মুখে রক্ত তুলে খাটতেন। স্ট্যাটাস মাড়ানো ছাত্র মুখের সামনে চা এনে ধরলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলতেন, 

"সব ইংল্যান্ডের বাচ্চা হতে চায়! চা কেন, ডাবের জল আনতি পারো না?!" 

বাংলার গর্বের জায়গা কোনটা জানেন? 

যে বাড়িতে বসে গোবর গুহ কুস্তির প্যাঁচ কষতেন। যে বাড়িতে আশি বছর বয়সে জিম করতে করতে মনোহর আইচ বলতেন, 

"বাঙালির দুর্বল জায়গা কোনটি জানো? রান্নাঘর। ঐটি ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকবে। আমারে দ্যাখো। একটা দাঁতও পড়ে নাই। চোখে কম দেখি না।কানে কম শুনি না। আজকালকার পোলাগুলানরে দেখি, এক মাইল হাঁটতে গিয়া ভিরমি খায়।" 

 বাংলার গর্বের জায়গা কোনটা জানেন? 

১৯৪৬। দাঙ্গা বিধ্বস্ত কলকাতা। সোহরাওয়ার্দীর জল্লাদের দল সিভিল ওয়ারে নেমেছে।যুগলচন্দ্র ঘোষ ট্যাক্সিতে যাচ্ছেন। 

রাস্তার পাশে লাশের পর লাশ পড়ে আছে। পাশে বসে থাকা ডাক্তার যুগল ঘোষকে সপাটে চড় মেরে বললেন, পারবে এসবের প্রতিশোধ নিতে?না পারলে একটা শাড়ি আর চুড়ি কিনে দিচ্ছি, পরে ঘরের মধ্যে বসে থাকো। 

পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা গোপাল পাঁঠা যুগল ঘোষের নেতৃত্বে বাঙ্গালী হিন্দু দেখালো, প্রতিরোধ কাকে বলে 

বাজি এভাবে পাল্টে যেতে দেখে উদ্বিগ্ন সোহরাওয়ার্দী ফোন করে কাকুতিমিনতি করতে লাগলেন সেই ডাক্তারকে। উত্তর পেলেন, 

"বেঙ্গলমে দো হি গুন্ডে হ্যায়। এক আপ, সোহরাওয়ার্দী, আউর এক ম্যায়, ডক্টর সুরেশ ব্যানার্জি। আপনে শুরু কিয়া থা, খতম ম্যায় করুঙ্গা!" 

সুরেশ ব্যানার্জি নামটা আগে শুনেছ? নামের আগে ডক্টর, খেয়াল করেছ বাঙ্গালী? যারা পড়াশোনা করে, তারা নাকি শান্তশিষ্ট, সাত চড়ে রা কাড়ে না! 

তোমার পূর্ব ইতিহাস কি তাই বাঙালি?! 

সিগারেট মুখে ধোঁয়া ছেড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা মারা আর ভেনেজুয়েলায় মেঘ হলে কলকাতায় কেন মিছিল হবে না, সেই নিয়ে বাজে বকে সময় নষ্ট করা কোনো জাতির গৌরবের বিষয় নয় বাঙালি। অর্ধ এশিয়ায় নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করে মতিলাল শীল তোমার গর্ব, স্যার বীরেন মুখার্জি তোমার গর্ব, আইনস্টাইনের সঙ্গে এক মঞ্চে বসা সত্যেন বসু তোমার গর্ব , তোমার পরিচয়, তোমার জাতির ঐতিহ্যবাহী, কফি হাউজের ওই আড্ডাবাজ খিস্তি খেউড় করা অপদার্থের দল নয়।। 

তুমি যে পূর্বপুরুষদের জন্য গর্ব করো, তারা এভাবে সময় নষ্ট করেননি, সিগারেট খেয়ে স্বাস্থ্যও নষ্ট করেন নি। তাঁরা কুস্তি লড়েছেন, ব্যবসা করেছেন, মার খেয়ে পাল্টা মেরেছেন। তাদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েই গত সত্তর বছর ধরে তুমি মরেছো। আরো সত্তর বছর এভাবেই ডুবলেই তুমি ডোডো পাখির মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। 

তাই কি চাও? 

ইজরায়েলকে আজ গোটা দুনিয়া সম্ভ্রমের চোখে দেখে। কেন? ঘন্টার পর ঘন্টা কফি নিয়ে কোনো হাউজে আড্ডা দেওয়ার জন্য?! 

তোমার পূর্বপুরুষ ব্রিটিশের বুকে কাঁপুনি ধরাতেন, কফি হাউজে আড্ডা দিয়ে? কলকাতাকে একসময় সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা করা হতো, সিগারেট খাওয়ার স্টাইলের জন্য? আজকের আড্ডাবাজ এই জাতকে পরিশ্রমে দেখলেই অনীহা দেখানো এই জাতকে দেখে তাঁরা জুতো না থুতু, কোনটা ছুঁড়তেন? 

উত্তর আছে বাঙালি? 

তাই হে মহাজীবন। বিত্তের সাধনা করো, জ্ঞানের সাধনা করো, সুস্বাস্থ্যের সাধনা করো, শস্ত্রের সাধনা করো। রুখে দাঁড়াতে শেখো, প্রতিরোধ করো, প্রয়োজনে প্রতিশোধ নাও। পাশের বাড়ির ছেলে ক্ষুদিরাম হবে, আর তুমি ভুঁড়িওয়ালা কুমড়োপটাশ, এসব আর নয়। প্রয়োজনে তুমিই ক্ষুদিরাম হবে, প্রয়োজনে তুমিই আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুও হবে। এই লড়াইয়ে প্রত্যেকে এক একজন সৈনিক।

সব জড়তা ছুঁড়ে ফেলে বজ্রনির্ঘোষ করো, শত্রুর পিলে চমকে দাও।তোমরা নব্য ইহুদি, তোমরা হাজার হাজার মহামারি, হুমকি, চোখ রাঙানি সয়ে বেঁচে আছো, আর কতদিন কীটপতঙ্গের মতো বাঁচবে। এটা কোনো বাঁচা?! 

পালাবার জায়গা নেই বাঙালি, উড়িষ্যা  ঝাড়খন্ড কোথাও পালাতে পারবে না। এই মাটিতেই বাঁচতে হবে, এই মাটিতেই বাঁচার মতো বাঁচতে হবে।

এবার একবার বাঁচার মতো বাঁচো, একবার শার্প ব্রেইন উইথ স্ট্রং মাসল , একাধারে প্রাচীন আর্য ঋষির মতো জ্ঞানী আবার বাঘাযতীনের মতো বলের সাধনায় লেগে পড়ো, শিক্ষিত গুন্ডা হয়ে দেখাও । শিক্ষিত গুন্ডাকে সবাই ভয় পায় , আজকের ইজরায়েলকে দেখে বুঝতে পারলো না?। দুর্বলকে কেউ পাত্তা দেয় না, দুর্বলের আওয়াজ কেউ কানে নেয় না, তার ভাষাকে কেউ মর্যাদা দেয় না, তার ধর্ম নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে, তাঁর ধর্মবিশ্বাসকে আঘাত করে অষ্টমীর দিনে বিফ রান্না করতে বা শিবলিঙ্গের মাথায় কন্ডোম পরানোর মতো কাজকর্ম করতে সবাই উন্মুখ থাকে।

আর যে দল যে সম্প্রদায় যে হাউজ তোমাকে মেকি স্ট্যাটাস মাড়িয়ে বিশ্বমানব হতে শিখিয়েছে, তাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফ্যালো। 

সময় নষ্ট করো না। হতে সময় খুব কম। 

উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত। 

বাঙালি শুনছো?

✍️- চয়ন মুখার্জি
Souvik Pal এর ওয়াল থেকে)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.