ওদের নেতা আছেন শেষ পর্যন্ত বিচার পেলেন,বাঙালিদের মেরুদণ্ড দুর্বল বিচার পান না
অমল গুপ্ত ,কলকাতা-। শেষ পর্যন্ত বিচার পেলেন।মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাহসের পরিচয় দিলেন।শিবসাগর ব্যবসায়ীকে হেনস্থা করার বিচার পেলেন। বীর সেনার প্রধান সিংখল চলিয়া কে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অবাঙালি ব্যবসায়ী সমাজ ঐক্য বর্দ্ধ সমাজ ,এই মারোয়ারি সমাজ মিলে মিশে থাকেন। স্রোতের বিপরীতে যায় না।রাজনৈতিকভাবে সচেতন ।মোদী সরকারের পাশে আছেন। অপরদিকে দেশ ভাগের বলি বিহত্তর বাঙালি সমাজ ঐক্বদ্ধভাবে থাকতে পারে না।সেই পরিবেশ অবশ্য নেই.নানা ভাবে বিভক্ত। স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরিয়েছে কিন্তু কানা করিও মূল্য পাই নি। নেতাজির আত্মবলিদান ছাড়া স্বাধীনতা আসতো না। অসম তথা উত্তর পূর্বের জন্যে নেতাজির একবিশাল অবদান ছিল।সেকথা উত্তর পূর্বাঞ্চল ভুলেই গেছে ।পাকিস্থানের হাত থেকে অসমকে রক্ষা করেছিলেন নেতাজি এই এক ঐতিহাসিক সত্যি মন গড়া গল্প নয়। সেই বাঙালি দের শায়েস্তা করার জন্যে আসমে বিশাল ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।এর থেকে বড় লজ্জার কিছু হতে পারে না।কেন্দ্রীয় সরকার গুয়াহাটি হাইকোর্ট কে জানিয়েছে। অবৈধ ভাবে মুসলিম জন গোষ্ঠীর বাংলদেশে সীমান্ত আসা র ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। একথা যেমন সত্যি অপর দিকে বাঙালি হিন্দুদের অনুপ্রবেশ ও কম নয়। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন নাগরিকত্ব আইন লাগু হলে বিদেশি সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু আর কতকাল অপেক্ষা করবে অবহেলিত বাঙালিরা। প্রতিবেশী তৃণমূল সরকারের কিন্তু বাঙালি বাঁচলো না মারলো তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। সংবেদনশীল নয়। কংগ্রেস ঘরানার মূখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বাঙালিদের সমস্যা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন। বাঙালি রা যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে পারতেন তবে বিচার পেতেন।
,
কোন মন্তব্য নেই