রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। আর পঞ্চা বর্মন
*_হ্যা দুই বন্ধু_*
=============
*জোড়াসাকোর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর খলিশামাড়ির পঞ্চানন বর্মা।*
সাহিত্য গবেষণায় খুতখুতে রবীন্দ্রনাথ পঞ্চানন বর্মাকেই একমাত্র বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উত্তরবঙ্গের শাখা রংপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ গঠন করে তার দায়িত্ব দিয়েছিলেন পঞ্চানন বর্মাকে। শিলাইদহের লোকেন পালিতের বাড়িতে সাহিত্য আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ আর পঞ্চানন বর্মার প্রথম দেখা হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ এরপর তুমুল প্রভাবিত হয়েছেন বন্ধু পঞ্চানন বর্মার কাজ দেখে। জাগগানে অত্যাচারী জমিদার দেবী সিংহের কথা শুনে নিজে জমিদার ভেবে মনে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আর বন্ধু পঞ্চানন বর্মার ক্ষত্রিয় গ্রামীন ব্যাংকের মডেল অনুসরণ করে রবীন্দ্রনাথ পতিসারে এক গ্রামীন সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ যে বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তারপরের বছরই ক্ষত্রিয় আন্দোলনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল পঞ্চানন বর্মার হাতে। আর রবীন্দ্রনাথ তা দেখে লিখেছিলেন এতদিন বাংলাদেশের মাটি ক্ষাত্র শক্তির অভাবে ডুবতে বসেছিল আর আজ বন্ধু পঞ্চাননের হাত ধরে যেত তীব্র গরমের পর বর্ষার জলের ধারার মত আমাদের শান্ত করল এই ক্ষাত্রশক্তি। আসলে দুই বন্ধুই যে উগ্রবাক্ষন্যবাদী শক্তির আক্রমনের স্বীকার হয়েছিলেন। রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রথম চিকিৎসক তথা কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রতিষ্টতা ডাক্তার গোপাল চন্দ বর্মার মেয়ে কনিকা বর্মা কে রবীন্দ্রনাথ এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন খোদ পঞ্চানন বর্মা। আর তারপর সব ইতিহাস। কনিকা রায় বর্মার বড় ছেলে অজিত রায় হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্র সংগীতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী অজিত রায় একমাত্র শিল্পী যে রবীন্দ্র শতবর্ষে দুদিন ধরে টানা গান শুনিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। স্নেহধন্য এই কণিকা বর্মা রায়ের পরিবারের তিন প্রজন্মেরই একমাত্র বিরল রেকর্ড আছে। যে তারা জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্র বাসভবনে বীজ কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত শুনিয়েছিলেন। বিহারের কিশানগঞ্জের চুরলি স্টেট জমিদারি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের পরিবারে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জমিদারি তুলে দিয়েছিলেন এক রাজবংশী ব্যক্তির হাতে। আর এই রাজবংশী জমিদার বাড়ির মেয়ে কিরণমালা রায় হচ্ছেন মুক্তবনা পদার্থ বিজ্ঞানী অজয় রায়ের মা তথা শহীদ ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ঠাকুরমা। তাই আজ আশাকরি রবীন্দ্রনাথ আর পঞ্চানন বর্মার বন্ধুত্ব নিয়ে হোক নতুন করে গবেষণা ।
( তথ্যসূত্র - _ঔপনিবেশিক উত্তরবংগে আন্দোলন ও বাংলা সাহিত্যে তার প্রভাব - ড আব্দুর রহিম গাজি, উপনিষদের আলোকে রবীন্দ্রনাথ - ডক্টর অজয় রায়, মুক্তমনা ও হিমাংশু বর্মা ( প্রাক্তন আমলা )_
*পাৰ্থ নিয়োগীৰ ফেচবুকৰ পৰা শ্ৰী তিলক বৰ্মনৰ পোষ্ট*
কোন মন্তব্য নেই