Header Ads

ডিমাপুর প্রবেশে ইনার লাইন পারমিট বাধ্যতামূলক করলো নাগাল্যাণ্ড সরকার ক্ষোভ সিআরপিসি-রঅনুপজাতি বাহিরের লোকজনদের তদন্তে টাস্ক ফোর্স কমিটি গঠন২১ এপ্রিল: জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে এক দেশ এবং এক সংবিধানের আওতায় এসেছে বলে দাবী করলেও উত্তর পূর্বাঞ্চলের ক্ষেত্রে কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এক রাজ‍্য থেকে অপর রাজ‍্যে যেতে প্রয়োজন ইনার লাইন পারমিট। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করা হলেও প্রায় দেড়শ বছর পুরনো ব্রিটিশ আমলের আইনকে প্রাধান্য দিয়ে প্রকৃত ভারতীয়দের হয়রানি করা হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছে নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি অসম(সিআরপিসি)। শুক্রবার ন্যাশনাল হাইওয়েতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সচিব সাধন পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক সমীরণ চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য আজমল হোসেন চৌধুরী নতুন করে ডিমাপুরে ইনার লাইন পারমিট লাঘু করে যেখানে বাঙালি, বিহারী, মাড়োয়ারি, পাঞ্জাবি সহ অন‍্য ভাষাভাষী মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এখন ডিমাপুরে প্রবেশ করতে হলে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) লাগবে। এমনকি দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসা দেড় লক্ষাধিক নন-ট্রাইবেল লোকজনদের ক্ষেত্রেও ইনার লাইন পারমিট নিতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ে সেই আইএলপি নবীকরণ করতে হবে। নাগাল্যাণ্ড সরকার ডিমাপুরে প্রবেশের জন্য ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) এবার বাধ্যতামূলক করেছে। এমর্মে ডিমাপুরের জেলাশাসক শচীন জয়সয়াল এক নির্দেশ জারি করেছেন গত ১৯ এপ্রিল। সেই অনুসারে ডিমাপুর জেলায় আইএলপি ছাড়া বসবাস করা বাহিরের লোকজনদের শীঘ্রই আইএলপি সংগ্রহ করতে হবে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী বলে দাবী করে সিআরপিসি। নাগাল্যাণ্ড একটি ট্রাইবেল স্টেট। হলেও প্রবেশপথ হচ্ছে ডিমাপুর। গেটওয়ে রেল শহর সমতল ভূমি ডিমাপুরে কস্মিনকালেও ইনারলাইন পারমিটের প্রয়োজন ছিল না। অর্থাৎ ডিমাপুরে প্রবেশ অথবা বসবাসের ক্ষেত্রে কখনও ইনার লাইন পারমিট প্রথা কার্যকর ছিল না। কিন্তু আচমকা নাগাল্যাণ্ড সরকার ডিমাপুরে ইনার লাইন পারমিট লাঘু করার জন্য নোটিফিকেশন জারি করাতে কার্যত দেড় লক্ষাধিক নন-ট্রাইবেল মানুষ যারা গত ৪৩ বছর ধরে ডিমাপুরে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন , তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। চরম সংকটজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে দেড় লক্ষ জনগণকে। নাগাল্যাণ্ড মিজোরাম অরুণাচল মেঘালয় অবিভক্ত আসাম রাজ্যের অঙ্গ ছিল। বৃহত্তর আসামের কোহিমা জেলা , লোসাই হিল , খাসিয়া জয়ন্তিয়া , গারো হিল এক একটি জেলা ছিল। পরবর্তীতে আসাম থেকে আলাদা হয়ে আলাদা আলাদা রাজ্য গঠিত হয়। সেই সুবাদে আসামের অংশ হিসেবে ডিমাপুরে নন-ট্রাইবেল জনগণ বসবাস করাটা স্বাভাবিক। এছাড়া ডিমাপুর একটি সমতল শহর। তাই ডিমাপুরের মতো সমতল শহরে আইএলপি কার্যকর করার নোটিফিকেশনকে সমর্থন করে না নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি অসম। ঐতিহাসিক দিক পর্যালোচনা করলে ডিমাসা রাজার অধীনস্থ একটি অঞ্চল ছিল ডিমাপুর। জনস্বার্থের পরিপন্থী ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) বাতিলের জোরালো দাবিতে সরব হয়েছে নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি অসম। সাধন পুরকায়স্থরা ক্ষোভের সুরে জানান , ডিমাপুরে বসবাস করা নন-ট্রাইভেল জনগণ ভারতীয় নাগরিক। একই দেশের অখণ্ডতা দেশাত্মবোধ রক্ষার্থে তারা প্রত্যেকেই দায়বদ্ধ ও দায়িত্বভার পালন করছেন। এমন অনৈতিক নোটিফিশনের মাধ্যমে দেশের অখণ্ডতা প্রশ্নচিহ্ণের সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের জাতীয়তাবোধ ঐক্যবদ্ধতার কোনো কিছুই বহাল থাকছে না। উত্তর পূর্বাঞ্চলের ক্ষেত্রে এক দেশ এক নিশান , সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা প্রয়াস কোনো কিছুরই যেন যথার্থ প্রয়োগ হচ্ছে না। ইনার লাইন পারমিট পদ্ধতির মাধ্যমে কার্যত উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনগণকে এক বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিস্থিতির দিকে ঠেলা দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। বৃহত্তর ডিমারাজির ভৌগলিক মানচিত্রে ডিমাপুর শহর অন্তরভূক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। ডিমাসা জনগণের দাবি অনুসারে ডিমা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ার সুবাদে এই শহরের নামকরণ করা হয় ডিমাপুর। কাজেই যে কোনো অঞ্চলের আঞ্চলিক বৈশিষ্ট থাকতেই পারে। সেইসব আঞ্চলিক বৈশিষ্ট ও মান মর্যাদাকে সংরক্ষণের সমর্থন করলেও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নন-ট্রাইবেল মানুষের স্বার্থ সুরক্ষার কথাকে ও গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে। তাই সর্বতোভাবে সমতলভূমি রেল শহর ডিমাপুরে কোনো অবস্তাতেই যেন আইএলপি কার্যকর করা না হয় এরজন্য সংঘবদ্ধভাবে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করার দাবি জানায় সিআরপিসি।এদিকে, গত ১৯ এপ্রিল ইস্যু করা ডিসিডি/আইএলপি-১/২০১৮-ডি/৭২৬-২৯ নম্বরের নোটিফিকেশনে জেলাশাসক শচীন জয়সয়াল উল্লেখ করেছেন ডিমাপুর জেলায় আইএলপি ছাড়া বসবাস করা বাহিরের লোকজনদের শীঘ্রই আইএলপি সংগ্রহ করতে হবে। নাগাল্যাণ্ড সরকারের গৃহ দফতর থেকে ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর এবং ২০২০ সালের ৬ মার্চ ইস্যু করা পরপর দুটি নোটিফিকেশনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার থেকে অনুপজাতি বাহিরের লোকজনদের কাছে ইনার লাইন পারমিট আছে কিনা তা তদন্ত করবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টাস্ক ফোর্স কমিটি। ডিমাপুরে প্রবেশ নতুবা ডিমাপুরের মধ্যে দিয়ে অন্যত্র যাতায়াত করা ট্রানজিট প্যাসেঞ্জারদের ক্ষেত্রে বৈধ টিকিট থাকতে হবে। যারা ডিমাপুরে বসবাস করে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন তাদের ক্ষেত্রে ইনার লাইন পারমিট বাধ্যতামূলক করেছে নাগাল্যাণ্ড সরকার। জেলাশাসক শচীন জয়সয়াল নোটিফিকেশনে আরও উল্লেখ করেছেন ১৯৭৯ সালের ২১ নভেম্বরের পর অর্থাৎ গত ৪৩ বছর ধরে যারা ডিমাপুরে বসবাস শুরু করেছেন তাদেরকে উক্ত নোটিফিকেশন জারির এক মাসের মধ্যে ইনার লাইন পারমিট সংগ্রহ করতে হবে জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে। অন্যথায় বেঙ্গল ইস্টার্ণ ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন ১৮৭৩ (বিইএফআর অ্যাক্ট) অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ডিমাপুরের জেলাশাসক শচীন জয়সয়াল। উক্ত নোটিফিকেশনের নির্দেশ বলবৎ করতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের যৌথ টাস্ক ফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। নোটিফিকেশনের প্রতিলিপি ডিমাপুরের পুলিশ কমিশনার এবং সিভিল এসডিও-এর কাছে প্রেরণ করেছেন ডিসি শচীন জয়সয়াল।

নগাঁও শহরের হয়বরগাঁওস্থিত হনুমান মন্দিরের বারান্দাতে মৃতদেহ উদ্ধার।
সুনীল রায় নগাঁও ২১এপ্রিল :-আজ সকাল বেলা নগাঁও শহরের হযবরগাঁও হনুমান মন্দিরে একজন লোকের মৃতদেহ উদ্ধার হ ওয়া ঘটনাতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মন্দিরের বারান্দাতে রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হয় লোকজনের মৃতদেহ। মৃতদেহটি হযবরগাঁও শান্তিপুরের বাপী ঘোষ বলেচিনাক্ত করে স্থানীয় লোকে। ঘটনার খবর  পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলীতে হযবরগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ উপস্থিত হয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে মরনোত্তর পরীক্ষার‌ জন্য নগাঁও ভোগেশ্বরী ফুকননী অসামরিক চিকিৎসা লয়ে প্রেরন করে।হযবরগাঁও পুলিশে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত আরম্ভ করেছে যদিও ব্যক্তিজনের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয় নাই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.