মৌমাছি বিলুপ্ত হলে মানুষের পারমায়ুও কমে যাবে
সুমন প্রতিহার ,কলকাতা-ধান গম যেমন বায়ুপরাগী, তেমন কাজু আপেল,সর্ষে,তিল,কুমড়ো,লাউ, শসা মূলত মৌমাছি নির্ভর। এনভায়রনমেন্ট হেলথ পাসপেক্টিভ এ প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে এক ভয়ংকর তথ্য।বিশ্ব ব্যাপী পাঁচ লক্ষ পরিণত বয়সের আগে ভাগেই মারা পড়ছেন শুধু মাত্র ফল বাদাম ও অনাজের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার জন্যে। কারণ হিসাবে উঠে এসেছে পরাগ সংযোগী পতঙ্গ গুলোর সংখ্যা তলানি তে পৌঁছে গেছে বলে। ক্ষুদ্র পরিবর্তন ও প্রকৃতির মহা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মৌমাছি সহ অন্যান্য পতঙ্গ র ডানার গুঞ্জন কমলে বিশ্ব জুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ গুলোর তালিকায় ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, প্রথম সারিতে।ভারত চীন রাশিয়া খাদ্য সংকটের আভাস পেতে শুরু করেছে। জোয়ারের মত মত এসছে রোগ,লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে হার্ট এটাক, প্রকৃতি পরাগ যোগ ও ফলনের সমীকরণ নিয়ে 2016 সালে সায়েন্স পত্রিকায় গবেষণা প্রকাশ পায়। তাতে বলা হয় 334 টি শস্য, অনাজের চাষ বাদ,33টি পতঙ্গের পরাগযোগের উপর নির্ভরশীল। পরিবেশ প্রকৃতির বদল, বিশ্ব উষ্ণয়ন, বিভিন্ন পতঙ্গের প্রজননের সময়কাল বিগড়ে দিয়েছে। বাসস্থান ধংস, কীটনাশক ব্যবহার পতঙ্গ দের সংখ্যা উল্লেখ যোগ্য ভাবে কমে গেছে। শুধু তাই নয় মৌচাক গুলো ভাইরাস আক্রমনে এলো মেলো হয়ে গেছে। মৌমাছির সংখ্যা কমে গেছে। মৌমাছির সংখ্যা হ্রাস, সঙ্গে বিশ্ব খাদ্য সংকট মৃত্য এই সবের সমীকরণ নিয়ে আইন স্টাইয়েন তত্ত্বে লুকানো আছে । মৌমাছির গুঞ্জনের উপর মানব সভ্যতার আয়ু নির্ভর করছে। পরাগযোগ ছাড়া সর্ষ উৎপাদন হবে না। উৎপাদন হ্রাস পেলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।সেই পথেই যাচ্ছে দেশ। পতঙ্গ রা না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না/ কলকাতা জয় নারায়ণ সেন সম্পাদিত ভারতাজির থেকে সংগৃহীত, কলকাতা অনাথ নাথ সেনের সৌজন্যে প্রাপ্ত/
কোন মন্তব্য নেই