Header Ads

বাল্যবিবাহ ,রাজ্যে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে

অসমের সিংহভাগ মানুষ তীব্র সংকটে নিমজ্জিত, চৌদিকেই হাহাকার.....
পিন্টু রয়, শোণিতপুর ১২ ফেব্রুয়ারি: অসম রাজ্যের পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাল্যবিবাহ নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। এসব এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রায় সব মানুষের রাতের ঘুম ও দিনের সুখ হারিয়েছে।শুধু তাই নয়, অনেক বিবাহিত যুবক-যুবতী তাদের বাড়িঘর ছেড়ে গোপন স্থানে চলে গেছে, এখন এমনও হয়েছে যে, অনেক কাজী-পন্ডিত এবং বিবাহিত যুবক-যুবতীর পিতা-মাতারও কোনো অজ্ঞাত জায়গায় আত্মগোপন করে আছে । এসব ঘটনার একমাত্র কারণ হচ্ছে ‘বাল্যবিবাহ’। উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিশেষ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশের পর গোটা অসম রাজ্যে বর্তমানে নরুপায় মানুষের ওপর পুলিশ কর্তৃক অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। হঠাৎ করে রাজ্য সরকার, আইন ও পুলিশের এই অমানবিক পদক্ষেপের কারণে গোটা অসম রাজ্যের মানুষের জীবন নরক হয়ে পড়েছে। অত্যন্ত লক্ষণীয় বিষয় হলো হঠাৎ করে সরকার বা আইনের এমন পদক্ষেপ কেন...?? যাইহোক, প্রায় সকলেই জানেন যে বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ, কিন্তু যখন এই অপরাধগুলো সংঘটিত হচ্ছিল তখন সরকার ও আইন কি করছিল...?? বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার বা আইন যদি বাল্যবিবাহ আইনে ব্যবস্থা নিতে হতো, তাহলে আজ থেকে অন্তত কয়েক মাস কিংবা এক বছর আগে সমাচার পত্রর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে রাজ্যবাসীকে অবগত করে দেওয়া উচিত ছিল। রাজ্য সরকার দ্বারা অবগত করা সত্ত্বেও যদি কোনো বাল্যবিবাহ করা হতো, শুধু তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে রাজ্যে বর্তমান চৌদিকে হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না, বরং সরকার ও আইন উভয়কেই আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হতো, এবং জনগণের পূর্ণ সমর্থনও পেত। কিন্তু রাজ্য সরকার অতি কৌশল পূর্বক এই ঘটনার বিরুদ্ধে হঠাৎ এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে হাজার হাজার নিরুপায় জনগণকে চরম শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।অন্যদিকে, রাজ্যের সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা বলছেন যে যখন থেকে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে তখন থেকেই তিনি হাইলাইট এ থাকার জন্য  নিত্য নতুন নতুন ঘটনা বের করছে। পিকনিক এর নিয়ম, মদ পান করা নিয়ম, গাড়ি চালানর নিয়ম ইত্যাদি। বুদ্ধিজীবীরা আরও বলেন যে একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাজ এত নিম্ন হতে পারেনা, তিনি যদি রাজ্যটির উন্নতি এবং প্রগতির বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবুও  যথেষ্ট হত, কিন্তু তা হোলনা । রাজ্যটির বর্তমানের পরিস্থিতি দেখে জায়গায় - জায়গায় সভা আয়োজন হচ্ছে এবং এই সভায় বহু সংখ্যক মানুষ নির্ণয় নিচ্ছে যে বিজেপি কে আরও ভোট দেওয়া হবেনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.