Header Ads

বরাকে মেধা নেই বলে রাজদীপ রায় বরাক বাসীকে অপমান করেছেন তাকে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি বিডিএফের

 নয়া ঠাহর,শিলচর :শিলচরে অনুষ্ঠিত কেবিনেট বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে শিলচরের পেনশনার্স ভবনে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন -
১. গত ২৯ শে নভেম্বর, শিলচরে প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছে আসাম মন্ত্রীসভার বৈঠক এবং বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বরাক উপত্যকার জন্য একগুচ্ছ উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। উভয় পদক্ষেপের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বিডিএফ এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২. জিসি কলেজকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরণ,শিলচর মেডিক্যাল কলেজের জন্য সুপার স্পেশালিটি ব্লক, শিলচর ও লক্ষীপুরের সিভিল হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন, শিলচরের জন্য দুটি উড়ালপুল, করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ,মহিষাবিল ও রাঙিরখালের সংস্কার ইত্যাদি সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এগুলোর বাস্তবায়ন বরাকের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জরুরী ভুমিকা নেবে বলে আমরা মনে করি।

৩. বিডিএফ এর ডাকা গত ১৮ নভেম্বরের সফল 'বরাক বনধ'এর প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বরাকের কর্মপ্রার্থীদের ব্যাপারে এদিন বিশদ বক্তব্য রেখেছেন। তবে তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে কিছু বিভ্রান্তির অবকাশ রয়েছে। নিম্নোক্ত বিষয়গুলি আমাদের নজরে এসেছে এবং এসব নিয়ে কথা বলা জরুরী বলে আমরা মনে করি -

ক) মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে এই বনধ ডেকে আমরা বরাকে মেধা নেই বলে আসাম বাসীকে জানিয়েছি এবং বরাকের মেধাবী কর্মপ্রার্থীদের অপমান করেছি।এটি সর্বৈব মিথ্যা একটি অভিযোগ। বরাকে মেধা নেই এই কথাটি আমরা কখনই বিশ্বাস করিনা এবং বরাকের মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে এই দাবিতেই বনধ ডাকা হয়েছিল। আপনারা সবাই আশাকরি জানেন যে 'মেধা নেই বলে বরাক থেকে কম পাশ করেছেন ' এই মন্তব্য কে করেছিলেন। যিনি করেছিলেন শিলচরের সেই সাংসদ রাজদীপ রায় সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই বসেছিলেন। তাই আমাদের নয়, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের সাংসদকে বরাক বাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলুন।

খ) মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে কোন তথ্য না জেনে এই বনধ ডাকা উচিত হয়নি। আপনাদের হয়তো স্মরণে রয়েছে যে গত ১০ নভেম্বর আমরা এখানেই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলাম যাতে আমাদের প্রথম এবং অন্যতম দাবি ছিল যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাকের কজন পেয়েছেন তাদের তালিকা প্রাপ্ত নম্বর সহ সরকারকে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে। এবং বরাক থেকে অন্ততঃ এক হাজার প্রার্থীর নিযুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে ইত্যাদি। আমরা বলেছিলাম সাতদিনের মধ্যে এই দাবিগুলো মানা না হলে ১৮ নভেম্বর বরাক বনধ পালিত হবে। কিন্তু সরকার তাঁতে কর্ণপাত করেননি। আজ মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে যেসব তথ্য দিচ্ছেন তা যদি তখন দিতেন এবং এই তালিকা প্রকাশ করতেন তাহলে হয়তো বিগত বনধ ডাকার দরকারই হতনা। সরকারের তরফে নিস্ক্রিয় ভুমিকাই তাই এজন্য সম্পুর্ন দায়ী। যাইহোক এই বনধে জনগনের স্বতস্ফুর্ত সাড়াকে সম্মান জানিয়ে যে মুখ্যমন্ত্রী যে এই ব্যাপারে তথ্যপাতি দিয়েছেন তাতে তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এর আগে বিধানসভায় বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থও একই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখনও নানা অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে এই তথ্য দেওয়া হয়নি। এনিয়ে এতো গোপনীয়তা কেন ? তাই আমাদের সন্দেহ হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন -

গ ) মুখ্যমন্ত্রী যেসব পরিসংখ্যান দিয়েছেন যদি তা সত্য হয় তবে বরাক থেকে এক বৃহৎ সংখ্যক প্রার্থী এবার উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং বিশেষভাবে শিলচর কেন্দ্রের ফলাফল খুবই উল্লেখযোগ্য। আপাতদৃষ্টিতে এবং যতটুকু খবর আমরা নিয়েছি তাঁতে আদৌ তা মনে হয়নি। যাইহোক আমরা তাঁর দেওয়া তথ্যে আস্থা রেখেই বলছি যে এই দুই পরীক্ষায় বরাকের তিন জেলা থেকে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রাপ্ত নম্বর সহ আগামী সাতদিনের মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হোক, যা আমাদের প্রথম দাবি ছিল। চক্ষু কর্ণের বিবাদভঞ্জন হতে তো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়, যেহেতু খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথ্য দিয়েছেন। বরাকের কর্মপ্রার্থীদের প্রতি সুবিচার হোক এটাই আমাদের অন্যতম দাবি। কোন রাজনৈতিক দলের বিরোধীতা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।

ঘ) মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যপাতি অনুযায়ী ২০২১ থেকে বরাক থেকে যত নিযুক্তি হচ্ছে তত পদ বরাকে নেই তাই তাঁদের অধিকাংশই ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় নিয়োজিত হয়ে চাকুরী করছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী এমনকি পুলিশ বিভাগে যদি বরাক থেকে এতো প্রার্থী চাকরি পেয়ে থাকেন তবে বরাকের অফিস কাছারিতে এসব পদে ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকার কেউ নিয়োজিত থাকার কথা নয়। কারণ বরাকের স্থানীয় প্রার্থীদের প্রথম পছন্দ এই উপত্যকাই হবে এবং এখানের সব পদে নিযুক্তি শেষ হবার পরই কাউকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকায় পাঠানো হবে। বাস্তব চিত্র কি তাই ? আপনারা বিচার করবেন।
এছাড়া এই তথ্য অনুযায়ী আগামীতেও বরাকের এইসব পদে  ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকার কেউ নিয়োজিত হবার কোন সম্ভাবনা নেই। এই ব্যাপারটিও লক্ষ্যনীয় হবে।

ঙ) এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বরাকের তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর পদ স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষণের যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে এই সংরক্ষণ হলে আদতে বরাকের প্রার্থীরাই বঞ্চিত হবেন কারণ নিযুক্তির অনুপাতে এতো পদ বরাকে নেই। যাইহোক এরপর তিনি এও বলেছেন যে যদি বরাকের বিদ্বজ্জন চান যে এভাবে সংরক্ষণ হোক তাহলে মন্ত্রীসভায় একটি বিল পাশ করিয়ে তা অবিলম্বে তিনি করে দিতে পারেন। আশাকরি আপনাদের স্মরণে আছে যে এই ব্যাপারে তিনিই প্রথম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু এরপর তা পালন না করায় তিনি ইচ্ছে থাকলেও আইনি অসুবিধার জন্য তা করতে  পারবেন না বলে তাঁর অক্ষমতা জানিয়েছিলেন। তাঁর এই বক্তব্য আসাম বিধানসভার রেকর্ডে লিখিত রয়েছে।কিন্তু এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে পুরো বিপরীত অবস্থান নিয়ে তিনি বলছেন যে বরাকের কর্মপ্রার্থীদের সুবিধা দিতে তিনি এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেননি । যিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন তাঁর থেকে এরকম পরস্পরবিরোধী মন্তব্য এবং দ্বিচারিতা মানায় কি ?

বিডিএফ এর আরেক আহ্বায়ক খাইদেম কান্ত সিং বলেন -

চ) মুখ্যমন্ত্রী এখানে যে উত্তীর্ণদের সংখ্যা জানিয়েছেন এঁদের সবাই নিযুক্তি পাবেন না। কারণ এরপর কম নম্বরের হলেও একটি মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ৫০০০ পদের বিপরীতে কজন এখন অব্দি উত্তীর্ণ হয়েছেন সেটা নয় কজন চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন সেটাই মূল বিবেচ্য। এই মৌখিক পরীক্ষার কি প্রয়োজন তাও দুর্বোধ্য। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবেনা কারন তাতে দুর্নীতির সম্ভাবনা থেকে যায় বলে  ২০১২ সালে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।এরপর ২০১৬ সালে কেন্দ্রের নরেন মোদী সরকারও  একই সিদ্ধান্ত নেন এবং আসাম বিধানসভায় এই মর্মে একটি বিলও পাশ হয়। সাধারণ পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এইসব পদের জন্য মৌখিক পরীক্ষা যে অর্থহীন তা আশাকরি সবাই স্বীকার করবেন। তাই আগের সমস্ত সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে এবারের এই মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল সেই ব্যাপারে আমরা সরকারের কাছে স্পষ্টীকরণ দাবি করছি।

ছ) মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে যারা এই বনধ ডেকেছেন ক্ষতিপূরণ দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে গৌহাটি হাইকোর্টে এজাহার দাখিল করা হবে। এই ব্যাপারে আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি যে কোন সংগঠন বনধ ডাকতেই পারেন। সংবিধান সেই অধিকার দিয়েছে। যদি 
তাতে কাউকে বলপুর্বক দৈনন্দিন কাজে বাধা দেওয়া হয়,যদি কোন সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয় তবে ক্ষতিপূরণ দাবি করার আইনি বিধান রয়েছে। কিন্তু বিগত এই ঐতিহাসিক বনধে সেসব কোন ঘটনা ঘটেনি। সম্পুর্ন শান্তিপূর্ণ এবং গনতান্ত্রিক উপায়ে সেদিন বরাকের জনগন নিজেদের প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছেন।  পিকেটার্স প্রায় ছিলনা, কাউকে কোন জবরদস্তি করা হয়নি। তাই এইসব আইনি হুমকি দিয়ে আমাদের গনতান্ত্রিক কন্ঠরোধ করা যাবেনা। বিজেপি সরকারের আমলে বারবার এই চেষ্টা চলছে। এর আগেও শিলচরের বিধায়ক অস্বাভাবিক পুরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদে কোন নাগরিক পুরকর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে জমা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই হুমকি দিয়ে আমাদের নয় আপামর বরাক বাসীকে অপমান করেছেন ,কারণ সেদিনের এই সফল বনধের কৃতিত্ব আমাদের নয়, এই বনধ ছিল সম্পুর্ণভাবে জনগনের বনধ।

বিডিএফ আহ্বায়ক আইনুল হক মজুমদার এদিন বলেন -

২) বরাকের সুপারি বিপননের উপর অকারণ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে - এটি ছিল ১৮ নভেম্বরের বনধের অন্যতম দাবি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে আগামী মাস থেকে এই বিপনন মুক্ত করে দেওয়া হবে। কিন্তু সব সুপারি ' হাউলি' তে গিয়ে আনলোডিং করতে হবে এবং তারপর পরীক্ষা ক্রমে আবার বাইরে যাবার জন্য লোড করা হবে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি কারণ তা বোধগম্য হয়নি এবং আমরা এর বিরোধিতা করছি। বরাকের সীমান্তে যে চেকগেট রয়েছে তাতে অনায়াসে এই প্রক্রিয়া সম্ভব। এটা হাউলিতে হলে এখানকার ব্যাবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়বে, এবং সেখানে এটি নিয়ে একাধিক সিন্ডিকেট তৈরি হবার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচিত হোক। এছাড়া যারা ' রটা' তৈরি করেছেন অবিলম্বে তাদের জন্য বিপনন অবাধ করা হোক।

৩) আমাদের ডাকা বনধ এর আরেকটি দাবি ছিল, মেঘালয়ে অনুপজাতিদের অকারণ নির্যাতন বন্ধ করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা আমাদের অবাক করেছে। হয়তো রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্যই তিনি এই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। নতুবা নেডার আহ্বায়ক হিসেবে তিনি এই ব্যাপারে বরাক বাসীকে বিশেষতঃ বাঙালিদের আশ্বাস দিতেই পারতেন।তাতে একজন সহমর্মী  হিসেবে বরাকের হিন্দু বাঙালিদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেত। এই উপত্যাকার ভোটারদের প্রতি যদি মুখ্যমন্ত্রীর সত্যিকারের দায়বদ্ধতা থেকে থাকে তবে আশা করব তিনি অনতিবিলম্বে এই ইস্যুতে মুখ খুলবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কারণ মেঘালয়ে অনুপজাতি বিশেষতঃ বাঙালি হিন্দুদের প্রতি নির্যাতন ক্রমবর্ধমান। আগামীতে ক্রিসমাস এবং মেঘালয়ে নির্বাচন ইত্যাদি ছুতোয় এইসব ঘটনা বৃদ্ধি পাবার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।  

বিডিএফ মিডিয়া সেলের আরেক আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন -

৪) মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে লাচিত দিবসে বরাক থেকে লক্ষাধিক রচনা গেছে বলে বরাক বাসীকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা এই প্রসঙ্গে বলতে চাই যে এরজন্য বরাকের জনগন কখনোই আলাদা কৃতিত্ব দাবি করবেন না বলে আমরা বিশ্বাস করি। কারণ তারা সমন্বয়ে বিশ্বাসী এবং এই রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতির সাথে একাত্ম বোধ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে এই উপত্যকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি 'ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণ' ,যা এখানকার নাগরিকদের আবেগের সাথে জড়িত ,সেই ব্যাপারটি নানা অজুহাতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন এড়িয়ে গেছেন।এই ব্যাপারে যেসব যুক্তি তিনি শুনিয়েছেন তা বহুশ্রুত এবং এসব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা আদৌ মনে করিনা। আমরা বিশ্বাস করি বরাকের অধিকাংশ ডিমাসা ভাই বোনরা এই ইস্যুকে সমর্থন করেন,যার প্রমাণ আমরা পেয়েছি এবং দিতেও প্রস্তুত। শিলচর নামের পরিবর্তে 'ভাষা শহিদ স্টেশন' করলে জাতীয় স্তরে কোন সমস্যা হবে বলেও আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আমরা আশা করব যে  বরাক বাসীর আবেগকে সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনতিবিলম্বে এই ফাইলটিতে সম্মতিসুচক সাক্ষর করবেন, বিধানসভায় আরো বিতর্কের জন্য অপেক্ষা না করেই।

৫) রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবে রূপ পায় তা নিয়ে আমাদের সবার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে আমরা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কর্মদক্ষতায় আস্থা রাখি এবং তাই চাইব এবারে যে সব প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে আগামী ছমাসের মধ্যে সবকটির কাজ শুরু হোক। এবং সেক্ষেত্রে আমরা নিজেরা মালা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.