রাজপথের ডাস্টবিনেও গরিব শিশুরা জীবন খুঁজে পায়
সায়ন গুপ্ত ,চেন্নাই: জানিনা আমার চোখ খুলে গেছে দেখার নাকি জীবন দেখাচ্ছে।চেন্নাই তে একটা সস্তার পাবে সান্ধ্যকালীন টিফিন সেরে, ফুটপাথের একটা চায়ের দোকানে সিগারেট ধরিয়ে ,রাস্তায় দিকে তাকিয়ে আছি।আমার
সামনেই থাকা কর্পোরেশনের ডাস্টবিন থেকে একটা মানুষ চেহারা দেখেই বোঝা যায় পথবাসি ,কিছু একটা বের করার চেষ্টা করছে। প্রথমে ভাবলাম ডাস্টবিন থেকে খাবার বের করেও মানুষ খাবার খাই,সেই দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা হবে আজ।
না তার পরিবর্তে যেটা ঘটলো সেটা আমাকে অবাক করে দিল একটা মধ্য বয়স্ক শারীরিক ভাবে বৃদ্ধ মানুষ টেডি টাইপের একটা পুতুল বের করল। একটা ছয় সাত বছরের বাচ্চা ছেলে টেডি পুতুল পেলে যেরকম আনন্দ পায়, সেই আনন্দ মানুষটার চোখে।
ততক্ষণে আমি সিগারেট ফেলে দিয়ে ক্যামেরা অন করেছি আগেই ,এরপর লোকটার পিছু নিলাম।
মাত্র 50 মিটার হাটার পরেই দেখতে পেলাম ডাস্টবিন থেকে টেডি খোঁজা মানুষটা, সেই পুতুল টা দিল তার বাচ্চার হাতে।
রাস্তায় একটা হাতল হীন চেয়ারে বসে আছে বাচ্চা টা, ঠিক তার পাশেই যীশুখ্রীষ্টের ক্রস আঁকা । পুতুলটা পেয়েই বাচ্চাটা আদর করতে শুরু করল ধুলোমাখা পুতুল কে।
ধুলোমাখা ফুটপাথের রাজপুত্তুর,ধুলো ভিখরি বাপের ডাস্টবিন থেকে এনে দেওয়া এই উপহার কতটা যে দামি ওই বাচ্চা আর তার বাবার চোখের আলো দেখে আজকে উপলব্ধি করেছে।
ফুটপাতেই সত্যি অনুভূতিগুলো বেঁচে থাকে...
কোন মন্তব্য নেই