শুধু ১৫ আগস্ট কেন, ২১ october . ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা উচিত
শুধু ১৫ আগস্ট কেন, ২১ অক্টোবর - ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা উচিত / সিঙ্গাপুরে নেতাজির আজাদ হিন্দ সরকারকে জাপান, চীনসহ ৯টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল
ড: মানস বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তানের জেনারেল নিয়াজীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। আর সেই দিনটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হলেও ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চকে প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপিত করা হয় বাংলাদেশে। ২৬ মার্চ পাকিস্তানের কারাগার থেকে বন্দি অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন ভারত থেকে স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্র এর ব্যতিক্রম কেন ? বিশ্বে এমন নজির অনেক রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও রয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস বৃটিশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়েছেন। কখনো স্থল পথে, কখনো জলপথে, আবার কখনো দুর্গম পাহাড়ী জঙ্গল থেকে। ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরের দাই-তোয়া-গে-কী-জোতে ২১ অক্টোবর নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করেছিলেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বাধীন ভারতের ঘোষণা করেছিলেন। সকাল সাড়ে দশটায় এই অনুষ্ঠানেবিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুসজ্জিত বিশাল মঞ্চে তখন ফুলে ফুলে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অসংখ্য পুষ্পস্তবক এবং ফেস্টুনে লেখা ছিল জয় হিন্দ, জয় ভারত স্লোগান। মঞ্চের পেছনদিকে শোভা পেয়েছিল গান্ধীজীর একটি তৈলচিত্র। মঞ্চের শীর্ষে পতপত করে উড়ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। বরেণ্য বিশ্ব নেতা ও আজাদ হিন্দ ফৌজর সেনা ও সমর্থকদের সম্মুখে সর্বাধিনায়কের সামরিক পোশাক পড়ে নেতাজি মঞ্চে উপস্থিত হলেন ঠিক সকাল দশটায়। করতালির ঝড় ও মুহুর্মুহু 'জয়হিন্দ' ধ্বনির মধ্য দিয়ে নেতাজি ঘোষণা করলেন ভারতের স্বাধীনতা। ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবরের ঠিক সকাল সাড়ে দশটায়। নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকারের সর্বাধিনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করে জাতী ও বিশ্বের উদেশ্যে তিনি বলেছিলেন, 'ঈশ্বরের নামে ভারতবর্ষের ও আমার আটত্রিশ কোটি দেশবাসীর মুক্তির জন্য আমি সুভাষ চন্দ্র বসু এই পবিত্র শপথ গ্রহণ করে বলছি যে, আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এই সংগ্রাম চালিয়ে যাব। চিরকাল ভারতবর্ষের সেবক থেকে স্বদেশবাসী ভাই-বোনেদের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবো। এটাই হবে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্তব্য। স্বাধীনতা লাভের পরও সেই স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রয়োজনে আমার শেষ রক্তবিন্দু দিতেও আমি কুন্ঠাবোধ করবো না'।
নেতাজির শপথ গ্রহণের পরেই একে একে অন্যান্যরাও সেদিন আজাদ হিন্দ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রনায়ক নেতাজি প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়াও নিজের হাতে রেখেছিলেন প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র বিষয়। মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী স্বামীনাথন সাঈগল। তিনি নারী কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসি চ্যাটার্জী - অর্থ। সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে শপথ নেন কর্নেল জে কে ভোঁসলে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ আহমদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ভগত, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম জেড কিয়ানি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ ডি লগনাথন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ নাওয়াজ খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ঈশান কাদির প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বিপ্লবী রাসবিহারী বসু কে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়। এ এম সহায় মন্ত্রী সমমর্যাদা সম্পন্ন সচিব পদে শপথ নেন। সরকার গঠন করে নেতাজি ঘোষণাপত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা, সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও বিদেশী শাসনের অবসানের কথা উল্লেখ করেন। এই অনুষ্ঠান থেকেই সঙ্গে সঙ্গে নেতাজি বৃটিশের বিরুদ্ধে আমৃত্যু সংগ্রামের ডাক দেন। উদাত্ত কণ্ঠে বলেন, 'আমাকে তোমরা রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব' । সঙ্গে সঙ্গে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে আওয়াজ উঠল 'জয় হিন্দ, নেতাজি জিন্দাবাদ, দিল্লি চলো'। এদিনের আজাদ হিন্দ সরকারের জন্ম লগ্নে সারা দক্ষিণ এশিয়ার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতির বন্যা বয়ে গেছে।
স্বীকৃতি : সরকার গঠনের পর সর্ব প্রথম জাপান এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয় কোন ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর। এরপর একে একে ২৪ অক্টোবর বার্মা (মায়ানমার), ২৭ অক্টোবর ক্রটিয়া , ২৯ অক্টোবর জার্মানি, ১ নভেম্বর মাঞ্চুকু ও চীন, ১৯ নভেম্বর থাইল্যান্ড সরকার স্বীকৃতি দেয় আজাদ হিন্দ সরকারকে। বিশ্বের ৯ টি রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবার পর কার্যতঃ বৃটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন নেতাজি।
এরপর মনিপুরের ইম্ফলের মইরামে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। ব্রিটিশ শক্তিকে পরাজিত করে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন। নেতাজি মইরামে পৌঁছনোর কিছু আগে একটি জীপ নিয়ে নেতাজির অনুগামী শওকাত আলী পতাকা হাতে জীপে অপেক্ষা করছিলেন। নেতাজি হাজির হতেই তিনি পতাকা তুলে দেন নেতাজির হাতে। নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের উপস্থিতিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন।
অনেকেরই অজানা, সেই সময় ব্রিটিশ সেনা মণিপুরের প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে আজাদ হিন্দ ফৌজের রসদ বন্ধ করে দেয়। নেতাজির ভক্ত ডিমাসা মহিলা জয়া থাউসেন হাফ লং থেকে গাড়ি বোঝাই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তুলে দেন নেতাজির হাতে। আরো খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহের জন্য জয়া থা যখন হাফ্লাঙের দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন তখন ব্রিটিশের গোর্খা সেনারা তার পথ আটকে গুলি করে হত্যা করে। আজ নেতাজির অনুগামীরা সেই অবদান স্বীকার করেন। হাফ্লাংয়ের সকলেই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জয়াকে। বেতারে নেতাজি মইরাম থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার এই দিনটিকেও ভারত সরকার আজও যোগ্য মর্যাদা দেয় নি।
১৯৪৩ সালের ২৭ অক্টোবর নেতাজি টোকিও যান একটি সম্মেলনে যোগদান করতে। Greater East Asia সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে নেতাজি সেখানে যান। উক্ত সভায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী তোজো একটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। তিনি জাপান অধিকৃত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আজাদ হিন্দ সরকারের হাতে তুলে দেবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। জাপান বিশ্বাস করতো নেতাজি ভারতের ক্ষমতায় আসতে পারলে জাপানের সঙ্গে বলিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৪৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারতের প্রথম মুক্তাঞ্চল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পা রাখেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন সেখানে আজাদ হিন্দ সরকারের প্রধান মন্ত্রী হিসাবে। সুভাষ চন্দ্র বসু স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেই দ্বীপের নাম বদলে স্বরাজ দ্বীপ রাখেন। নেতাজি সিঙ্গাপুরে ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর প্রথম স্বাধীন আজাদ হিন্দ সরকারের গঠন করেছিলেন। এর পর রেঙ্গুনে তিনি আজাদ হিন্দ সরকার, আজাদ হিন্দ ফৌজের ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট লীগের সদর দপ্তর স্থাপন করেছিলেন। সিঙ্গাপুরের দপ্তর গুলির কাজকর্ম ও চলতে থাকে। নেতাজি মনে করতেন ব্রিটিশ ভারতকে আক্রমণ করতে হলে সীমান্তের কাছে কোন জায়গা বেছে নিতে হবে। বার্মা সেই হিসাবে উপযুক্ত। তাছাড়া বার্মার প্রথম রাষ্ট্র পতি লর্ড বা মো তার বন্ধু। এক ই সঙ্গে দুজনে আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে ল করেছেন। নেতাজি ভারতকে স্বাধীন করতে। বা মো বার্মাকে স্বাধীন করতে সংগ্রাম করেছেন। তাই রেঙ্গুনকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ব্রিটিশ কে শায়েস্তা করতে।
অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার, কোন সরকারই নেতাজির প্রকৃত মুল্যায়ন করেনি নরেন্দ্র মোদী সরকার ছাড়া। নরেন্দ্র মোদী আন্দামান নিকোবর সফরে গিয়ে একটি দ্বীপের নাম সুভাষ চন্দ্র দ্বীপ রাখেন এবং নেতাজির প্রতি সম্মান জানান।আগে কোনদিন এমন হয়নি।
জওহরলাল নেহরুর কথা আলাদা। তিনি ছিলেন নেতাজির প্রতি ঈর্ষাকাতর। একই সঙ্গে ব্রিটিশের আজ্ঞাবাহী। তিনিই রাশিয়ায় নেতাজির অবস্থান নিয়ে গোপনে চিঠি লিখেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে লর্ড এটলিকে। সেই চিঠির প্রতিলিপি এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। তিনি আইএনএ (নেতাজির ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি) সচিব শ্যামলাল জৈন কে আসফ আলী রোডে ডেকে পাঠান। সেখানে ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড ওয়াভেল এবং প্রধানমন্ত্রীকে লেখা তার চিঠিতে স্বাক্ষর দিতে বলেন। শ্যামলাল তাতে আপত্তি জানালে নেহেরু নিজেই সই করে চিঠি পাঠিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, তিনি চিঠিতে নেতাজিকে যুদ্ধপরাধী বলেও উল্লেখ করেছিলেন। শ্যামলাল পরবর্তীকালে চিঠিটি কমিশনের কাছে পেশ করেছিলেন। যাই হোক, নেহেরুর পর বহু সরকার এসেছে। নেতাজির প্রতি মনোভাব পাল্টায়
নি।
হিন্দু-মুসলিম-শিখ এমনকি খ্রিস্টানদের নিয়ে গঠিত তার আর্মি অসাধারণ সাহস ও শৌর্যের পরিচয় রেখেছে। স্বাধীনতার পর কলকাতায় এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লর্ড এটলি সাংবাদিকদের কাছে নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, হিন্দু- মুসলিম-শিখ সম্প্রদায় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নেতাজির প্রভাবের ফলে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কেঁপে উঠেছিল। সুভাষ চন্দ্রের জন্য ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। নেহেরু- গান্ধী নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি মৃদু হেসে জবাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বাঙ্গালী ও শিখদের ওপর ব্রিটিশের বিদ্বেষের ফলে স্বাধীনতার সময় শুধুমাত্র বাংলা ও পাঞ্জাবকে টুকরো করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ১৫ আগস্ট ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন ডোমিনিয়নের প্রতিষ্ঠা হবে ভারতবর্ষে। সুচতুর মাউন্টব্যাটেনের ফর্মুলায় ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারলেন না জহরলাল নেহেরু ও মোহাম্মদ আলী জিন্না। দুজনেই বিভক্ত দেশের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরলেন। অথচ নেতাজির সংগ্রাম ছিল ঐক্যবদ্ধ ভারতবর্ষের। নেহেরু ও জিন্না ব্যক্তিগত স্বার্থে জলাঞ্জলি দিলেন প্রকৃত স্বাধীনতার মূল্যবোধকে। নেতাজি যাতে দেশে ফিরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে না পারেন সেজন্য ব্রিটিশের তথা মাউন্টব্যাটেনের স্তাবকতা করে নেহেরু নেতাজির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত করা শুরু করে গেছেন। গুপ্তচর সূত্রে খবর সংগ্রহ করে নেতাজির অবস্থানকে জানিয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লর্ড এটলিকে। যিনি দেশের জন্য এমন আত্মত্যাগ করলেন সেই নেতাজিকে দেশের যুদ্ধ অপরাধী উল্লেখ করে নিজেই দেশদ্রোহীতার কাজ করে গেলেন। সেই ট্রেডিশন এখনো সমানে চলছে। তাই ২১ অক্টোবরকে মর্যাদা দেওয়ার কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। দেশের প্রথম স্বাধীন সরকার রয়ে গেল উপেক্ষিতই। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশকে দেখুন । সেখানে ১৬ ডিসেম্বরের সঙ্গে ২৬ মার্চকেও সমানভাবে পালন করা হয়। বরং ২৬ মার্চকে আরো বেশি সমারোহেই উদযাপিত করা হয়। সেদিন পাকিস্তানের কারাগারে বসেই স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকারের পক্ষ্ থেকে সিঙ্গাপুরে বিশাল অনুষ্ঠানে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর। তাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান, চীন, মায়ানমার, জার্মানি সহ ৯ টি দেশ। এই দিনটিকে মর্যাদা দিয়ে সামান্য বদন্যতা টুকুও দেখাতে পারলো না আমাদের কোন সরকার। এটা লজ্জার। এটা অপমানের। নেতাজির প্রতি বৈরী সুলভ আচরণেরনিকৃষ্টতম ঘটনা। কোটি কোটি দেশ বাসীর উচিত এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠার। নেতাজি লড়াই করে স্বাধীনতা নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ চক্রান্তকরে দেশভাগের মাধ্যমে হাতে তুলে দিয়েছিলেন ১৫ আগস্ট।
নেতাজিকে নিয়ে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদী একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রধান মন্ত্রী হতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কে যোগ্য মর্যাদা দেবার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর তিনি তার মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে লাল কেল্লায় ২১ অক্টোবর ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ঘোষণা ও পালন করেন।
তার আগে আমি প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে পর পর দু ডজন চিঠি ও টুইট করেছি। কিন্তু ২০১৯ সালে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোন আয়োজন করলেন না ২১ অক্টোবর। তাই তার কাছে একলাখ আবেদন পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। নিজেই ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি পাঠিয়েছি।
আমরা চাইনেতাজির জন্মদিন
টিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করুক এবং ২১ অক্টোবর দিনটিকে ভারতের
প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দিক সরকার।
কোন মন্তব্য নেই