প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল কে কি অসমের মিডিয়া বয়কট করেছে,? গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না কেন?
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি: ভারতের ইতিহাসে বিরল একজন মুখ্যমন্ত্রী নীরবে ,কোনো প্রশ্ন না করে, বিদ্রোহ না করে মসনদ ছেড়ে দিচ্ছেন। হ্যাঁ আমি সবার প্রিয় সর্বানন্দ সোনোয়াল এর কথা বলছি। যিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ র পরামর্শ কে মাথায় রেখে দিসপুরের মসনদ থেকে সরে দাঁড়ান। মূখ্য মন্ত্রী হিসাবে বসলেন হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। যিনি দেশের দ্বিতীয় জনপ্ৰিয় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সম্মান পেয়েছেন। যা অসমের সংবাদপত্র মাধ্যম এ প্রতিদিন ফলাও করে বেরোচ্ছে।সর্বানন্দ আজাদী কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে গুয়াহাটি তে এলেন মূল্যবান ভাষণ দিলেন শোভা যাত্রা অংশ গ্রহন করলেন গুয়াহাটি কেন্দ্রিক টিভি চ্যানেলগুলো প্রায় বয়কট করলো ,কোনো গুরুত্ত দিল না। সর্বানন্দ অসমকে দেশের ক্রীড়া রাজধানী করার সংকল্প গ্রহণ করে এগাচ্ছেন।তারই মনোনীত আধিকারিক কে সরিয়ে দেওয়া হল। তিনি আয়ুস বিভাগের দায়িত্বে আছেন। বিশ্ব জুড়ে যোগ দিবস এই বিভাগের অধীন।যোগ দিবসের দিনে সংবাদপত্র গুলোতে ফলাও করে বিজ্ঞাপন বেরোলো।সেখানে সর্বানন্দ র ছবি থাকলো না। সর্বানন্দ নিজের গৃহ জেলা ডিব্রুগরে যোগ দিবসে অংশ গ্রহন করেন। কোথায় সভা হল বিশেষ কেউ জানতেই পারলো না। টিভি চ্যানেল গুলি প্রায় বয়কট করলো। রাজ্যে " পেড নিউজ",এর বাড়াবাড়ি চলছে।"" পয়সা ফেক তামাশা দেখো"।সর্বানন্দ টাকা পয়সা বিশেষ খরচ করেন না তাই সর্বানন্দ র নিউজ বেরোয় না বলে একাংশ সাংবাদিকের অভিযোগ উড়িযে দেওয়া যায় না। সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম অসমের বৃহৎ সাংবাদিক যাদের নিয়োগ পত্র নেই চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ ,বেতন নেই ,ভাতা নেই।মালিকের দয়া দক্ষিণ্যে বেঁচে আছে। রাজ্যে হাজারের বেশি পোর্টাল ,ত্রিপুরা বিজেপি সরকার পোর্টাল দের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে অসমে নেই। অসমে যে সব সংবাদ পত্রের নামেই কেউ শোনেনি তারাও বিজ্ঞাপন পায়। কেন্দ্র আইন করে পোর্টাল দের হাত বাঁধতে চাইছে। যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কথা না বলে। অসমের সাংবাদিকদের এই দুরবস্থায় রাস্তায় হাত পেতে ভিক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে সৎ ভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত। তা করা হচ্ছে না। রাজ্যের মানুষ সর্বানন্দ যিনি সৎ ভাবে রাজ্যের উন্নয়নে প্রাণপাত করেছেন তাকেই বয়কট করা হচ্ছে ?
কোন মন্তব্য নেই