লামডিং " ঘরোয়া ''তে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক উৎসব উদযাপন
নয়া ঠাহর ,গুয়াহাটি ঘরোয়াতে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আজাদী কা অমৃত মহোৎসব পালন করা হয়। আজকের এই উৎসবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তাদের বলিদান কে স্মরন করা হয় । গত ২০০ বছরের পরাধীনতার পর দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তি শুধু অহিংস পথে হয়নি কয়েক হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রান হারান এই যুদ্ধে। কয়েক হাজার তাদের কিশোর, যৌবন হারিয়ে ফেলেন আন্দামানের সেলুলার জেলে, বা বক্সা , নৈনী এলাহাবাদ ও হাজারীবাগে। ফাঁসাচ্ছ ঝুলতে হয় নিরপরাধীদের । আমাদের উত্তর পূর্ব বিশেষ করে আসামে মুক্তি যুদ্ধের সংগ্রাম ব্যাপক রুপ নেয়, গোপীনাথ বরদলৈ, জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা, কনকলতা বরুয়া, কুশল কোঁওর ও ভোগেশ্বরী ফুকননী ছিলেন অন্যতম। কিন্ত এমন অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন যাদের রাষ্ট্র বা রাজ্য মনে রাখেনি। লামডিং শহরে এমনই একজন “আন সাংগ হিরো” ছিলেন বিনয় ভুষন সরকার। ডিব্রুগরের বিখ্যাত জর্জ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি। ঐ সময়ে নেতাজি সুভাষ বোসের সংস্পর্শে আসেন এবং গুপ্তচরের দায়িত্ব পান ও একাধিকবার আলিপুর কারাগারে আটক ছিলেন। পরে শরত চন্দ্র বোসের তৈরী বলশেভিক পার্টিতে যোগ দিয়ে অভিবক্ত বাংলার শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেন। সেই সময় তিনি শ্রমিক আন্দোলনের প্রতিনিধি হয়ে ভিয়েনা যান। বিনয় বাবু স্বল্প সময়ের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়েতে সাইফার অপারেটর ছিলেন পরে তিনি চাকুরি ছেডে দেন। লামডিং শহরে এসে উনি অনুভব করেন একটি কলেজের প্রয়োজনীয়তা প্রতিষ্ঠা করেন লামডিং কলেজ । পরে নারী শিক্ষার সম্প্রসারে গার্লস স্কুল স্থাপিত হয় ওনার প্রচেষ্টায় । তিনি ভাষা আন্দোলনে জড়িত হয়ে কারাবরণ করেন। লামডিং শহরে ওনার ব্যপক পরিচিতি ছিল তবে ওনার কর্মের সঠিক মুল্যায়ন হয়নি। আজাদী কা অমৃত মহোৎসবে ওনার সুযোগ্যা দ্বিতীয় কন্যা বাবলী দে কে সম্মানিত করেন ডাঃ এল মার এসি এম এস ও শ্রী কে. কে শর্মা সিনিয়র ডিসিএম। সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রীমতী তন্দ্রা আচার্য, নরেন্দ্র গাঙ্গুলি, ইংরেজীতে কবি গুরুর কবিতা পাঠ করেন ডাঃ মার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আশিষ কুমার দে।
কোন মন্তব্য নেই