একতরফা হারে পুরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদ বি ডি এফের
নয়া ঠাহর ,শিলচর:
একতরফাভাবে অস্বাভাবিক হারে পুরকর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহৃত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি বিডিএফ এর।
সম্প্রতি নাগরিকদের সম্পত্তির 'সেল্ফ এ্যসেসমেন্ট ' এর জন্য প্রপত্র বিতরণ করেছে শিলচর পুরসভা। কিন্তু তাঁতে যে ভিত্তিবর্ষ ধরা হয়েছে এবং যে হারে কর ধার্য করার কথা বলা হয়েছে তাঁতে নাগরিকদের একধাপে ৭০০ শতাংশ অব্দি কর বৃদ্ধি হতে পারে। এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে বর্তমানে কোন নির্বাচিত পুরবোর্ড নেই,তাই জনগনের কথা পুর প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার কেউ নেই। এই অবস্থায় একজন এক্সিকিউটিভ অফিসারের এই ধরণের অস্বাভাবিক পুরকর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শুধু নিয়মবহির্ভূতই নয় এর পেছনে কোন দুরভিসন্ধি থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন আমরা জানি যে শিলচর পুরসভাকে পুরনিগমে পরিবর্তিত করার কাজ চলছে। তাতে অনেক নতুন এলাকা পুর নিগমে অন্তর্ভুক্ত হবার কথা। এই অবস্থায় এইধরনের অযৌক্তিক পুরকর বৃদ্ধি হলে সেইসব নতুন এলাকার বাসিন্দা যাদের আর্থিক সংস্থান কম এবং যাদের এখন কোন কর দিতে হচ্ছে না তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই এই পুরনিগমের অধীনে আসতে চাইবেন না এবং এতে পুরো প্রক্রিয়ায় আবার জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্তের পিছনে এরকম কোন উদ্দেশ্যও থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
প্রদীপ দত্তরায় আরো বলেন যে পুরকর নিয়মমাফিক কয়েক বছর পরপর বাড়ানো হয় এবং তাঁতে সবাই সহযোগিতা করেন। কিন্তু এটা ভেবে দেখা দরকার প্রান্তিক এবং অবহেলিত এই শহরের সাধারণ জনগনের কতটা পুরকর দেবার ক্ষমতা রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। তিনি বলেন এমনিতেই সাম্প্রতিক প্রলয়ংকরী বন্যায় এই শহরের নাগরিকরা বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর উপর আবার এই ধরনের করবৃদ্ধি হলে সবাই সমস্যায় পড়বেন। তাই অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ফ্রন্টের আরেক আহ্বায়ক পার্থ দাস বলেন যে করবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্নও উঠা স্বাভাবিক যে শহরের নাগরিকরা কতটা পৌর পরিষেবা পাচ্ছেন। তিনি বলেন নাগরিকদের সুষ্ঠু ভাবে জল সরবরাহ করতে ব্যার্থ এই পুরসভা। নালা নর্দমা পরিস্কার বা জমাজলের সমস্যা কিছুরই ঠিকঠাক সমাধান হয়না। সর্বত্র জোড়াতালি দিয়ে কাজ চলছে। শহরের নাগরিকদের বারবার অনুরোধ স্বত্ত্বেও জমাজল নিস্কাশনে পুরসভার ব্যার্থতার কারণে ইদানীং বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। তাই করবৃদ্ধির আগে এসব নিয়ে পদক্ষেপ নিক পুরসভা।
অযৌক্তিক করবৃদ্ধির ব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক ও সাংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পার্থবাবু আরো বলেন যে অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহার না হলে সমভাবাপন্ন সব দল সংগঠনের সাথে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।
কোন মন্তব্য নেই