"মূর্খ আমি, দীন আমি তবুও মানুষের অন্তহীন ভালবাসা পেয়েছি '
কিছুকথা,
আশুতোষ দাস।
প্রিয় কবি, লেখক ও পাঠক বন্ধু, আন্তর্জাতিক স্তরে nrb news 24, ডটকম আমাকে লাগাতর ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম করার সুযোগ করে দেবার জন্য, আন্তর্জাতিক স্তরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কবি লেখক, সমাজ কর্মীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এবার আবার বাংলা সাহিত্য চর্চার জন্য উনিশের সম্মাননা দিয়ে আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিজের লেখার নান্দনিক সৌষ্ঠব সৌন্দর্যের সঙ্গে মান উন্নয়নে ও নিরন্তর নিষ্ঠায় ব্রতী থাকবো এই আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমার কবিতা, গল্প, নাটক,সিনেমা ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন শিল্প মাধ্যমে একই কথা বলে থাকি, "ভালোবাসার দেদীপ্যমান বহু বৈচিত্র্য জীবনবোধের বহু বর্ণালী সৌন্দর্যের কথা।" জাতপাত ,বর্ণবাদের ,বিরুদ্ধে আমার লেখা বারবার কথাবলেছে। আমার বুকের একপাশে বিশ্বকবির রবীন্দ্রনাথে ঠাকুর অন্যপাশে সাম্যের কবি নজরুল ইসলামের চিন্তা মননের ভাবাদর্শ বহন করে চলেছি। আর হাতে রয়েছে উনিশ একুশের মাতৃভাষার শহিদের জামার উড্ডীন পতাকা। পৃথিবীকে স্বর্গের উদ্যানে গড়ার কাজে আমি এক বাংলা সাহিত্যের সেবায়েত কর্মীমাত্র। , আমার ভুল,ত্রুটি, জেনে ও যে দেশে বিদেশের পাঠক আমায় গ্রহণ করেছেন, সে কেবল পরম পিতা ঈশ্বরের অশেষ দয়ায়। আমার লেখানিয়ে গবেষনা করেছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়াসমিন নীহার।
সে আমাকে স্নেহের জ্যোৎস্না চাঁদরে জড়িয়ে প্রীত করেছে। তার গাইড ও অধ্যাপক সুলেখক আলাউদ্দিন মন্ডল ও আমার আত্মীয় সজ্জ্বন। আরও অনেকে গবেষণা ও বইপত্রে সংযোজন করেছেন তাদের মাঝে উল্লেখ্য আসাম কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাপ্তন উপাচার্য কবি তাত্ত্বিক লেখক তপোধীর ভট্টাচার্য তিনি আমার দুইটি গ্রন্থের ভূমিকায় আলোচনা করেছেন। প্রাপ্তন অধ্যক্ষ পৃত্থিশদেশমুখ্য, অধ্যাপিকা রমাপুরকায়স্থ, কবি বিদ্যুৎচক্রবর্তী, প্রমুখেরা, সবার কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
প্রকাশক কবি মিতা দাস পুরকায়স্থ আমার বইগুলো শোভন সৌন্দর্যে পাঠকের কাছে যথাযথ ভাবে পৌঁছে দিয়েছেন। যাপিত জীবন ও যাত্রাপথে অনেকের অনেক কথাই বলতে হচ্ছে , তাই কেবল তাদের সবার কাছে নতজানু হয়ে ঋণ স্বীকার করছি।
তাই প্রতিদিন আমি বন্ধু, পাঠক, কবি লেখক দের তাদর পরামর্শে সান্নিধ্যে ঋদ্ধ হচ্ছি। এই শহিদ স্নাত বরাক ভুবনের মাটি থেকে কুড়িয়ে পেয়েছি আন্তজাগরণের পাথেয়। আমার কাছে বরাক ভূমি সাধন মার্গের পূণ্যভূমি। আর এখানে যারা সৃজন শীল কর্মে আত্মমগ্ন সবাই সাধক সাধিকা।
ভোগবাদী, ধ্বস্ত দীর্ণ সভ্যতার ভেতর স্বপ্নের পৃথিবীর স্বপ্নদেখি আমি ,সেই চিন্তা মননে সঙ্গে যারা এরমত তাদের সতীর্থ আমি, কালের সমুদ্দুরে প্রযুক্তির কত জোয়ার আসছে, যাচ্ছে। আমি সেই সমুদ্দুরের ঢেউ থেকে নিজেকে সমৃদ্ধ করছি , মুর্খআমি, দীন আমি তবু অন্তহীন ভালোবাসা বোধে কালের কাছে জানুপেতে উচ্চারণ করছি অমৃত প্রেমের, , ভালোথেকো পৃথিবী, ভালোথেকো সকল মানুষ। এবার আমার সঙ্গে বিজয়ীর তিলকে যারা সম্মাননা পেয়েছেন বর্ষিয়ান শ্রদ্ধাভাজনীয়া কস্তুরী হোম চৌধুরী, তিনি পারঙ্গম সুলেখিকা। সেই সঙ্গে পেয়েছেন অত্যন্ত ক্ষমতাবান আধুনিক মনিপুরী সাহিত্যের অনুবাদ ও কবি সম্মানিয়া যমুনা লরেন জ্যাম তিনি নজরুল ইসলামের কবিতা মনিপুরীতে অনুবাদ করে খ্যাত। দেশে বিদেশে, বিদ্যুতিক মাধ্যম, অনলাইন অফলাইন বিভিন্ন ভাষার পত্রিকা, এবং বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য এন,আর, বি,নিউজ ২৪ ডটকমের সমন্বয়ক অমর আলী সাহেব, আবাসিক সম্পাদক শাহানারা খাতুন এবং তৎসংপৃক্ত সকলকর্মীকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক খ্যাত সাংবাদিকও সমাজকর্মী রত্মজ্যোতি দত্তের তার সহৃদয় তৎপরতায় ব্যাপক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচারে সহায়ক হয়েছে। তাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। ( জাতীয় কাগজ দিল্লির রবিবার,(হিন্দি) অনলাইন নয়াঠাহর, দৈনিক যুগশঙ্খ,দৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ,দৈনিক গতি , প্রজা মেল( হিন্দি)
সহ দেশ বিদেশের সবাই আমার কৃতঞ্জতা জানাচ্ছি।)
আর যারা ফেইসবুক, হোয়াইট আপ, ম্যাসেঞ্জারে, ব্লোগার, নিবব্লিক, ইষ্টাগ্রাম ইত্যাদি সাইডে সংবাদ পড়ে উৎসাহিত করছেন,সবাই কে জানাচ্ছি প্রীতি ও ভালোবাসা। এই সব সাইডে ও মাঝে মধ্যে লিখি আমি আমার মায়ের আর্শীবাদের অনন্ত মাদুলি হাতে বেঁধে আছে লিখতেই হবে, বাবার স্পষ্ট আর্দশে পেয়েছি উজ্জীবন ,নীতিবাচক কথায় বিশ্বাস নই আমি। আমি আশাবাদী প্রেমের নৃপুর সৃষ্টির নদীতে খেলা করে নিত্যদিন তাই আমি মানুষের কথা,ভালোবাসার কথা, প্রেমের কথা রোজ লিখি।মানুষের সংকট শুধু অর্থের নয়, মানুষের চেতনার খরা, হৃদয়ের দেৈন্যতায় মানুষের শরীরের পশুত্বের লোমে আবৃত, বাঘনখে সংহিস্রতায় ক্লেদাক্ত পংকিলতায় দেবত্ব সৌন্দর্য ম্লান হচ্ছে সাম্প্রতিক বিপন্ন সময়ে । এই ঘেরাটোপ থেকে কবিই দেখাতে পারেন দিশা। কবি,লেখকতো সেই ঈশ্বরের তো কৃর্ত্তনীয়া, আমি তো তারই দোসর, অগ্রজ সুফি, আউল,বাউলের এক ভক্তঅনুগামী পথিক। তাই লিখি কেবল লিখি কবিতা আমার গায়ত্রী মন্ত্র । আমাদের ভালোবাসার ডিঙি কালের সমুদ্দুরে ভেসে ভেসে চলে যাক উত্তরণের সৈকতের কাছে, ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ এ ভাসছে, আমি না হয় একটুখানি সৃষ্টিধান স্বপ্নেের অঙ্গাবরণ অন্যবন্ধুদের সঙ্গে রেখেদিলাম, রেখে গেলাম ডিঙিতে,। ভাসুক বাংলা মায়ের ডিঙিখানি অনন্ত মাঝি গান গেয়ে বলুক /মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা। /আর আমি চেয়ে আছি, কেবল চেয়ে আছি --সেই স্বপ্নের চোখে উদ্ভাস নক্ষত্রের অনন্ত অসীমের দিকে।
কোন মন্তব্য নেই