সোনিয়া আবার করোনা আক্রান্ত
সোনিয়া আবার করোনা আক্রান্ত
তিন মাসে দ্বিতীয়বার
দিল্লি, কেরল সহ চার রাজ্যে করোনা মিছিল
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়
নতুন দিল্লি, ১৩ আগস্ট: দিল্লিতে করোনা আবার মহামারী আকারে প্রকাশ পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩৬ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী গত জুন মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার অবস্থা খারাপ হওয়াতে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রবর্তন নির্দেশালয় দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদের তারিখ পাল্টাতে হয়েছিল। মাত্র দুমাসের ব্যবধানে তিনি আবার করোনা আক্রান্ত হলেন।
এদিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে সনিয়ার কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর দেন। তিনি টুইটে জানিয়েছেন, ‘আজ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সরকারি প্রোটোকল মেনে তিনি আইসোলেশনে থাকবেন।’ প্রসঙ্গত, দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি কোভিড জটিলতা কাটিয়ে সুস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ফের করোনার আক্রমণে আপাতত নিভৃতবাসে ( আইসোলেসনে) রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। গত জুন মাসের প্রথম দিকে কোভিড আক্রান্ত হন সনিয়া গান্ধী। সেই সময় ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ারও কথা ছিল তাঁর। কিন্তু কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট না আসায় সেই সময় হাজিরা পিছিয়ে দিতে হয়। তারপর কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হয়।
কোভিড সংক্রান্ত জটিলতার কারণে জুন মাসের মাঝামাঝি গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেই সময় স্থিতিশীল থাকলেও বেশ কিছু শারীরিক কারণে চিকিৎসকদের নজরে রাখা হয়েছিল। আবার কোভিড আক্রান্ত হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত হোম আইসোলেশনেই থাকছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহেই সোনিয়ার কন্যা তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এমনভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যার ফলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মন্দেভিয়া নিজেই মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫৮১৫ টি মামলা সামনে এসেছে। এনিয়ে এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সাংখ্য দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৭২টি। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ৪ কোটি৩৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ১১২ জন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গেছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে কেরলে ২৪ জন,দিল্লিতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত
সারাদেশে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে গত তিন বছরে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৯৬ জনের।
দৈনিক সংক্রমণের হার ৪.৬৬ শতাংশ। সেখানে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ।
এখনো দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৯,২৬৪ এবং এজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৪,৪৩,০৬৪ জনকে করোনার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে মোট ২০৭.৭২ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে কোবিড ১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান এন কে অরোরা জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন,ভয়ের কোন কারণ নেই। দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের জন্য ৯৯ শতাংশের বেশি বেড হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এদিকে দিল্লিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, রাস্তাঘাটে মাস্ক ব্যবহার না করলে জরিমানা হিসাবে ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ম ভঙ্গের জন্য ৪০০ জনকে ধরে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই