Header Ads

লামডিঙের সবার প্রিয় রাখাল দা আর কোন দিন হাসি মুখে ফটো তুলবেন না

বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহকের মৃত্যুতে লামডিং শোকাগ্রস্ত।। 
   আশীষ কুমার দে :লামডিং তথা আসামের বিখ্যাত পেশাদারী ফটোগ্রাফার  রাখাল ভট্টাচার্য দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর  গতকাল দুপুর ৩টা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৫৬ সালে বড় ভাইয়ের সাথে হাইলাকান্দি চলে আসেন মৈমনসিংহ জেলা ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে। দাদা রেলওয়ের মেক্যানিকাল বিভাগে চাকুরি নিলেও শিল্পী মনোভাবের রাখালদা কিন্তু চিত্র শিল্পী হিসেবেই পরিচিত হন। কৈশোরে ঢাকার কোনো নামী স্টুডিওতে কাজ শেখেন ও পরে লামডিং এসে একটি স্টুডিও খোলেন। তার ছবি তোলার পারদর্শীতা ধীরে ধীরে ছডিয়ে পরে। বলতে গেলে রেলওয়ের নির্ধারিত ফটোগ্রাফার হয়ে যান। তার পারদর্শীতা ছিল পোর্ট্রেট তোলায়। সাদা কালোর মিশ্রণ তিনি ভালো বুঝতেন। সেপিয়া রঙের খেলায় ডার্করুমে ফুটে উঠেছে একের পর এক বিরল ছবি। যারা ছবি বুঝতেন সেই রশিকরা অবশ্যই তার কাছে ছবি তুলিয়েছেন। দুঃখ করতেন এখন ভালো ছবি তোলানোর লোক কমে গেছে। এখন সবাই ঝকঝকে ছবি তুলতে চান। লামডিং বদরপুর রেল লাইনের কিছু বিরল ছবি তার অমুল্য সম্পদ যার নিদর্শন জিএম ও ডিআরএম বিল্ডিং।  
ঘরোয়ার জন্ম লগ্ন থেকেই উনি ছবি তুলে গেছেন। কত হাজার তার হিসাব করা কঠিন। তার তোলা ছবি আমাদের মাধ্যমে পৌছে গেছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও পত্র পত্রিকায়। ঘরোয়ার ৩২ বছরের ডক্যুমেন্টারির কৃতিত্ব ওনার । লামডিং শহরে মেট্রো স্টুডিও ও রাখাল ভট্টাচার্য সমার্থক। অভিন্ন পরিবারকে একসাথে চালিয়ে নিয়ে গেছেন এযাবৎ যার দায়িত্ব এবার অনুজ ভূপালের কাঁধে । তার মৃত্যর ফলে লামডিং হারালো একজন নামী পেশাদার চিত্রগ্রাহক কে। ও এজন ভালো মনের মানুষকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.