মুখ্যমন্ত্রী র আবার জলমগ্ন শিলচর সফর ,বন্যা দুর্গতরা পানীয় জলের জন্যে হাহাকার করছে।
অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি: মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আজ নিয়ে তিনবার বন্যাদুর্গতদের মাঝে গেলেন। একদল ভুক্তভোগি মহিলার বিক্ষোভের সম্মুখীন হলেন। আজ পর্যন্ত পানীয় জলের সমস্যা মিটল না। মানুষ বাধ্য হয়ে বন্যার দূষিত জল ফুটিয়ে বা ফিল্টারে রেখে পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। জল ফুটাবার গ্যাস সিলিন্ডার কোথায়? সব কালো বাজারে ,কাঠ নেই,কেরোসিন নেই,মোমবাতি নেই। সব কাল বাজারে চলে গেছে।দুর্গন্ধ ,দূষিত জল ,শৌচালয় , নর্দমা র জল আবর্জনা সব একাকার। গরিব শ্রমজীবি মানুষ ঘরে আবদ্ধ হয়ে প্রায় ১৫দিন বাস করছে ।চাল ডালের জ্বলন্ত সমস্যার কথা বলছি না। জল ছাড়া মানুষ বাঁচবে?জল শুকলেই রোগ শুরু হবে। দূষিত জলবাহিত রোগ শিলচর শহরে ছড়াবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সরকার? লাখ লাখ মোটর সাইকেল গাড়ি মোটর জলে ডুবে গেছে।তা মেরামতের মেকানিক কোথায়? শহরে অর্ধেক লাখ খানেক মানুষ আজও অন্ধকারে বাস করছেন। অধিকাংশ ট্রান্সফারমার জলে ডুবে গেছে। ইন্টারনেট মোবাইল বিকল। নৌকা ভাড়া ৪০০ ৫০০,টাকা , আজ বিক্ষুব্ধ মহিলারা অভিযোগ করেছেন পরিবার পিছু মাত্র ১,২বোতলে জল ,দেওয়া হচ্ছে তাও নিয়মিত নয় নিম্ন মানের খাদ্য । মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দুর্গতদের মাঝে চেক বিতরন করেন। আস্বাস দেন ত্রাণ শিবির থেকে ঘরে ফিরলে সরকার সাহার্য্য দেবে । আজ প্রথমে করিমগঞ্জ গিয়ে ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। তার করিমগঞ্জ পরিদর্শন করার দিন বিদ্যুত তার জলে পড়ে দুজন বিদ্যুত স্পিস্ট হয়ে মারা গেছেন। মূখ্য মন্ত্রী জানান আবার ১০দিনের মধ্যে বরাক সফর করবেন বলে জানান। বরাকের স্বাভিমান নিয়ে প্রতিবাদ করা প্রদীপ দত্ত রায় অভিযোগ করেন বেতু কান্দির বাঁধ নির্মাণে গুয়াহাটির এক ঠিকাদারকে ১০কোটি টাকার ঠিকা দেওয়া হয়েছে।আজও কাজ করেনি।তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন। মণিপুরে ভয়ঙ্কর ধসের ফলে ৫০নিখোজ ,বহু হতাহত অসমের শ্রমিক আছে
মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মন্ত্রী পিযুষ হাজারিকা কে সেখানে পাঠান।
কোন মন্তব্য নেই