ইসকনের রথ যাত্রা নিয়ে জমজমাট দক্ষিণ ত্রিপুরা
নয়া ঠাহর প্রতিনিধি প্রতিনিধি আগরতলা ,৬ জুলাই : ইসকনের রথযাত্রা ঘিরে জমজমাট দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বাইখোড়া। বাইখোড়া জগন্নাথ জিউ মন্দিরের রথযাত্রা এবার ৬৬ বছরে পড়ল। এবারেই রেকর্ড ভিড় হয় রথযাত্রায়। শনিবার থেকে বাইখোড়া বাজারের গুন্ডিচা মন্দিরে শুরু হয়েছে পূজাচর্না, ভাগবত গীতা পাঠ ও সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক সংগীতের আসর। কলকাতা, বিএসএফ ১০৯ বাহিনী ও স্হানীয় শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।ইতিমধ্যেই
সংগীত ও কাব্যের যুগলবন্দীতে দর্শকদের মাতিয়ে দিয়ে গেলেন কলকাতার সংগীত শিল্পী চন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায় ও বাচিক শিল্পী দীপন সেনগুপ্ত। চন্দ্রাণী ও দীপনের - প্রেমময় তুমি - শীর্ষক ভক্তিমূলক গান ও কাব্যের অনুষ্ঠান শুরু হয় দীপন সেনগুপ্তের কন্ঠে- ওম্ ব্রহ্মান্দম্ পরম সুখদম্ কেবলম্ জ্ঞানমূর্তিম্---স্তোস্ত্রে গুরুবন্দনায়। সংগীত শিল্পী চন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায় শুরুতেই সন্ন্যাসী রাজা ছায়াছবির - কা তব কান্তা কস্তে পুত্রা--- গানটি গেয়ে মন জয় করে নেন দর্শক শ্রোতাদের। সুকন্ঠী চন্দ্রানীর গলায়
নবনীদাস ক্ষ্যাপা বাউল' র - দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ... গানটিরও দরাজ প্রশংসা করেন শ্রোতারা।
রবীন্দ্রনাথের সত্য মঙ্গল প্রেমময় তুমি.., উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদি রথে.., আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে. .., গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে...রবীন্দ্র গানগুলিও ছিল উপভোগ্য। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, দ্বিজভূষণ দাস রামপ্রসাদী গান ও লোকগান শুনিয়ে দর্শক শ্রোতাদের সমীহ আদায় করে নেন চন্দ্রানী চট্রোপাধ্যায়। কবিতা ও কাব্যপাঠেও দীপন সেনগুপ্তের সাবলীলতার তারিফ করেন দর্শক - শ্রোতারা। বহু শ্রোতা নিজেদের মুঠোফোন বন্দি করেন চন্দ্রানীর গান। শুক্রবার পর্যন্ত এই ধরনের অনুষ্ঠান চলবে বলে জানান বাইখোড়া ইসকনের প্রাণপুরুষ করুনেশ্বর মাধব দাস ব্রাহ্মচারী।
কোন মন্তব্য নেই