Header Ads

বেতু কান্দি বাঁধ কেলেঙ্কারি তদন্ত ভার সিবিআই এর হাতে দেওয়ার দাবি বি ডি এফের



বেতুকান্দি বাঁধ কাঁটার রহস্য উদঘাটনে সিবিআই এর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক - বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

বেতুকান্দি বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে বরাকের জল শহরে প্রবেশ করায় অপরিসীম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিলচরের লক্ষাধিক লোক। তাই বেতুকান্দি বাঁধ কাটা নিয়ে যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে তার অবসানকল্পে অবিলম্বে সিবিআই এর দায়িত্বভার তুলে দেবার দাবি জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে আমরা দেখেছি যে এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শুধু এই ঘটনার ভিডিও করেছিলেন। নানা সুত্রে খবর আসছে যে এখানে বাঁধ কাঁটার পেছনে জলসম্পদ বিভাগের স্থানীয় আধিকারিকরাও জড়িত ছিলেন। আমরা সন্দেহ করছি যে প্রকৃত দোষী ও বিভাগীয় আধিকারিকদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে।শিলচর তথা বরাক বাসীর স্বার্থে এই কান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন অত্যন্ত জরুরি।

প্রদীপ বাবু বলেন যে আমরা আগেও বলেছি যে এই অঞ্চলের বাঁধের সুরক্ষার জন্য ২০২০ সালে একটি প্রকল্প গৃহীত হয় যার বরাত পান রাজীব লোহিয়া নামে গৌহাটির এক ঠিকাদার যিনি শাসক দলের ঘনিষ্ঠ । ২০২২ সাল অব্দি এই কাজের অর্ধেকও সম্পুর্ন হয়নি অথচ শোনা যাচ্ছে যে ঠিকাদার তার অনেক বেশি পেমেন্ট তুলে নিয়েছেন। এমনকি যা কাজ হয়েছে তা যে খুবই নিম্নমানের তা খালি চোখে দেখলেই বোঝা যায় যারজন্য এই বাঁধের বিভিন্ন স্থান দিয়ে বরাকের জল চুঁইয়ে ঢূকছে এবং সেইসব স্থানে ইতিমধ্যে বাঁধ খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে এইক্ষেত্রে প্রথমেই কাজের গুণগত মান পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সরকারি তরফে মামলা করা এবং তাকে গ্রেপ্তার করাই নিয়ম। কিন্তু তা না করে যেভাবে স্থানীয় কিছু ব্যাক্তিকে ধরপাকড় করা হচ্ছে তাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তিনি বলেন আমরা শুনতে পাচ্ছি যে এই নিম্নমানের কাজকে সুরক্ষা দিতে জলসম্পদ বিভাগের পরামর্শেই বাঁধের এই অংশটি কেটে দেওয়া হয়েছিল এবং যদি তেমনটা হয় তবে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ঘনঘন শিলচর আসছেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন যে শিলচর তথা বরাকের নাগরিকরা এবারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বা ত্রান ইত্যাদি নিয়ে সরকারের ভুমিকায় খুবই ক্ষূব্ধ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন যে যদি তার সৎসাহস থাকে এবং যদি তিনি বাঁধ কান্ডের রহস্য উদঘাটনে আন্তরিক হন তবে এই তদন্ত ভার সিবিআই এর হাতে দিয়ে তা প্রমান করুন। কারণ সিআইডি যেহেতু রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন তাই এদের তদন্ত প্রক্রিয়ায় রাঘব বোয়ালদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রভুত সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন - নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং অবিলম্বে সিবিআই এর হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছি।

বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর যুব শাখার মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে এবারের বন্যায় সাধারণ নাগরিকদের যা ক্ষতি হয়েছে তাঁর তুলনায় পরিবার প্রতি ৩৮০০/- সরকারি অনুদান ঘোষণা হাস্যকর। বলা হচ্ছে দালান গৃহের কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে অথচ আসবাবপত্র সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন গ্যাজেটস যা নষ্ট হয়েছে তাঁর দায় সরকারের নয়। কল্পার্ণব বলেন যে আমরা বারবার বলছি যে এবারের বন্যার যা ভয়াবহতা তাঁতে এটিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষনা করা হোক এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ম মেনে সবাইকে ক্ষতিপূরণ দিক। এটা আমাদের নায্য অধিকার কারণ ভারতের অন্যান্য নাগরিকদের মতো আমাদের থেকেও সরকার ট্যাক্স আদায় করে। সরকার যদি জনগণের এই বিপদে পাশে না দাঁড়ায় তবে আগামীতে এর সঠিক প্রত্যুত্তর পাবে বলে মন্তব্য করেন কল্পার্ণব।
এছাড়া বরাকের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী যারা এবারের বন্যায় সর্বসান্ত হয়েছেন তাদের আর্থিক সহায়তা ও রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে যাতে তারা সহজ শর্ত‌,কম সুদ ও সহজ কিস্তিতে ঋন পেতে পারেন অবিলম্বে সরকারকে সেই ব্যাবস্থা করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.