২৯এপ্রিল সান্তান, ২৯জুন জুনুমনির মা মারা গেলেন
নয়া ঠাহর গুয়াহাটি: ২৯এপ্রিল ,২৯জুন দুটি একই, তারিখ, একই মৃত্যুর যন্ত্রনা ,আগের ২৯ চলে গেল সান্তনা ,আজ আরেক ২৯শে চলে গেলেন চান মাই , মাকে চিকিৎসা সেবা করে ডায়ালিসিস এর মত রোগের সঙ্গে লড়াই করে এক মাত্র কন্যা ঝুনুমনি হেরে গেল। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একই সঙ্গে ডায়ালেসিস চলছিল সাংবাদিক অমল গুপ্তের পত্নী সান্তনা গুপ্তের আর তাঁর কন্যাসম ঝুনুমুনির মা চান মাই দাসের পাশাপাশি বেড।অসুস্থ বাবা শুক্লেস্বর দাস তাকে গ্রামের বাড়িতে একলা ড3রেখে এসে সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালেসিস করতে আসতো ছোট্ট মেয়েটি। পাশাপাশি আলাপ পরিচয় দৈনন্দিন যন্ত্রনা সমস্যা ভাগ করে নিতে দেখা গেছে।সেই পরিচয় ঝুনুমনি হয়ে উঠলো অমল গুপ্তের মেয়ে আর সান্তনা হয়ে উঠলো মা। সেই দিন থেকে অসমীয়া কন্যা আর বাঙালি সাংবাদিকের বাঙালি মায়ের সম্পর্ক হয়ে উঠলো অবিচ্ছেদ্য , সান্তনা তিন মাস ছিল সর্য্যাসাহি, প্রায় প্রতিদিন ফোন আসতো মায়ের খবর নিত।অমল ও তার অসুস্থ্ মায়ের খবর নিত। সান্তনার বিবাহ বার্ষিকী র দিন সান্তনা হাসপাতালে মৃত্যুর ডোর গোড়ায় সেই দিন ঝুনুমনি র রিংসেরিমনি হল। ঝুনুমনি ফোনে এই খবর দিয়ে বললো বাবা আমাকে আশীর্বাদ করবে যাতে জীবনে সুখী হতে পারি। ও সুখী হয়েছে কিনা জানিনা।আজ জন্মদাতা মা তাকে ছেড়ে চলে গেল। সান্তনা অমল কে ছেড়ে আগেই চলে গেছে। মানুষ মরণশীল মরতেই হবে একদিন। এক অসমীয়া কন্যার র সঙ্গে বাঙালি পরিবারের সম্পর্ক মরমে না।চিরকাল বেঁচে থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই