শিশির স্নাত স্থল পদ্ম নয়,জলে ভেজা শিউলি
শিশির স্নাত স্থল পদ্ম নয়,বৃষ্টি ভেজা শিউলি, মেঘমুক্ত নীলাকাশ নয়, জলভরা মেঘ যেকোনো সময় ঝড়ে পড়বে , শারদীয় পুজোকে ভিজিয়ে নতুন পোষাক নতুন স্বপ্ন সবকে ভেঙে চুরে শেষ করে দেবে।কারণ পরিবেশ প্রকৃতি আর মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। গাছ গাছড়া, পাহাড় প্রকৃতি নদ ,নদী মাটি ,ভুগর্ভর জল ভান্ডার সব নিশ্বেস, সব রাসায়নিক কার্বন বিষে বিষাক্ত,প্রকৃতিও প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। মানুষ বিষ মেশাচ্ছে মানুষই বিষ খাচ্ছে। এই বিষ মানুষের বিবেকে ধাক্কা মেরেছে।মানুষের জীবনের একমাত্র সম্পদ সততা মূল্যবোধ কেও বিষ গ্রাস করেছে,তা ।মানুষের দেহ মনে বাসা বেঁধেছে ,ক্রমশ গভীর হচ্ছে। মানুষ নিজেদের সামান্য সম্পদের জন্যে লালায়িত হয়ে সব বিকিয়ে দিচ্ছে ,নিজেদের স্বভিমান অহংকার রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে ,আগে টাকা যে কোনো মূল্যে রোজকার।বাপ ঠাকুর দার নির্মাণ করা বার্মিজ টিকের তির বর্গার ,মোজাইক করা প্রাসাদ তুল্য অহংকার স্বস্তিকা ,হনুমান ,গণেশ ,কিয়া ভাও দের কাছে জলের দরে বিক্রি করে দিয়ে কলকাতা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ র গর্বের স্মৃতিবিজড়িত প্রাসাদগুলকে বুল ডোজার গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বাঙালি র স্বাভিমান ও ধুল লুন্ঠিত । কোথাও ঠাঁই নেই।বাঙালি দের না অসম না বাংলা ,না ঝাড়খন্ড না ছত্রিশগড় কোথাও নেই।বাঙালি বলে এক জাত ভুলে যেতে হবে। ক্লাবে ক্লাবে মদেরপার্টি , মদ ছাড়া পাটি হয় না, সিন্ডিকেট ,অবশ্যই কালি পুজো তারা তো সবাই শক্তির উপাসক, রবিবার খাসির মাংস খেয়ে ভাত ঘুম,বিকালে খেলা সঙ্গে আড্ডা আর লাল চা রাতে রাজনীতি। এই হচ্ছে আটপৌরে বাঙালি র রোজন মোচা। কোনো ভাষা নেই একদিনের রবীন্দ্রনাথের ভাষাকে তাড়িয়ে দিয়ে ইংরেজি কে আঁকড়ে ধরেছে।অসমের হাজার খানিক বাংলা ভাষার মাধ্যম বিদ্যালয় রাতারাতি অসমীয়া মাধ্যমে রুপান্তরিত হয়ে গেল। বাঙালি রা বাংলা পড়ছে না সবাই ইংরেজি বিদ্যলয় ,পশ্চিমবঙ্গের একই ছবি।আর বাংলা নয় বাঙালি নয়। সবাই সায়েব হতে চায় , ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকিরা এই বাঙলার জন্যে প্রাণ আহুতি দিয়েছিলেন? বাঙালি রা আর পড়ে না,লাইব্রেরী যায় না, মোবাইলে সব সাড়ে। পুজো এলে পুজো সংখ্যা প্রকাশ আর বেশি দিন চলবে না। সব দিকে" পেইড নিউজ আর ফেক নিউজ সাংবাদিকের এর রমরমা .,ভালো লেখা বেরোয় না তাদের কলমে।রাজাকে খুশি করতে কলম ধরে। ভবিষ্যতে আর গুণমান সম্পন্ন ভালো পত্রিকা বেরোবে না। বিজ্ঞাপন চাইতে গেলে ভাবে ভিক্ষা চাইছি।মাত্র ৫০,১০০টাকা ও পকেট থেকে বার করতে চাইনা। সান্তনা চলে গেল ।এই পত্রিকার অন্যতম শুভানধ্যাযি ছিল। বছরে আবদার করতাম।কিছু দাও বললে ইচ্ছার বিরুদ্ধেও দিত। চলে গেছে।এবার সেটুকুও পাবো না।গত সংখ্যার বিজ্ঞাপনের টাকাও পাই নি। পুজোর নেশা , রক্তের নেশা ধার দেনা করেও । বাঙালির সার্বিক
অবক্ষয় বাংলাভাষা নিশ্বেস হওয়ার পথে, বাঙালি ও সেই পথে।বিশ্বে ৩০কোটি বাংলাভাষী মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকবে সগৌরবে তার পাশে মাত্র ৩ শতাংশ বাঙালি হিন্দু রবীন্দ্র নাথ বিবেকানন্দ কে ভাঙিয়ে খাবে, আর
রবিবারে র দুপুরে মাংস আর মদ খেতে খেতেই শেষ হয়ে যাবে। বাঙালি কে অলবিদা জানানোর সময় এসে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই